২৭ মে, ২০২৫ ১৬:৩০
সরকারি বিভিন্ন সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে অনলাইনে ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করেছে নাগরিক সেবা বাংলাদেশ।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই কার্যক্রমের পাইলট প্রকল্প শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রশিক্ষিত নাগরিক সেবা উদ্যোক্তগণ এই সেবাগুলো নাগরিক সেবা কেন্দ্র থেকে সাধারণ নাগরিকদের প্রদান করবেন।
পাইলট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেত এলাকায় নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে গুলশান ও উত্তরার কেন্দ্র ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে নীলক্ষেত কেন্দ্রও কার্যক্রম শুরু করবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং সরকারের আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই সেবার উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, নানাবিধ হয়রানি রোধে ও ভোগান্তিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।”
একইভাবে সেবার সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এক ঠিকানায় প্রয়োজনীয় সকল সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী সেবা কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও আইসিটি বিভাগকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এই সেবার আওতায় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য নিয়মিতভাবে সেবার আপডেট ও সমন্বয়ের বিষয়ে জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, “সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলে সেবা এর আওতায় আনা যায় সবগুলোকে দ্রুত নিয়ে আসা।”
এসময় বিভিন্ন নাগরিক সেবার প্রসঙ্গ টেনে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “এমন ব্যবস্থা আমাদেরকে অবশ্যই দাঁড় করাতে হবে যাতে জন্ম গ্রহণ করা মাত্রই শিশুরা জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়ে যায়। এটাই যেন হয় তার নাগরিক স্বীকৃতি।”
নাগরিক সেবা কেন্দ্রের পরিচালনা ও মালিকানা সম্পর্কে তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা জায়গার মালিকদের সাথে চুক্তি করে ভাড়া পরিশোধ করবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাড়া হ্রাসকৃত হারে নির্ধারিত হবে। উদ্যোক্তারা নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইউটিলিটির দায়িত্ব নিবেন। সেবা মান বজায় না রাখলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
তিনি বলেন, "নাগরিক সেবা বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি সেবা প্রদানের প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলার একটি আন্দোলন—যার ভিত্তি প্রযুক্তি এবং চালিকা শক্তি স্থানীয় উদ্যোক্তাবৃন্দ। অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও সম্প্রসারণশীল এই উদ্যোগ সারাদেশে নাগরিক সেবার আকর্ষণীয় রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম হবে।”
আইসিটি বিভাগের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, শূণ্য বাজেটে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দেশের বিদ্যমান সম্পদ বব্যাবহার করেই সামনে এগিয়ে চলা সম্ভব।
তিনি বলেন, নাগরিক সেবা বাংলাদেশ" শীর্ষক এই উদ্যোগের মাধ্যমে পোস্ট অফিসসহ অব্যবহৃত সরকারি স্থাপনাগুলোকে রূপান্তর করে আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেসে পরিণত করা হবে এবং সেগুলো স্থানীয় উদ্যোক্তা দ্বারা পরিচালিত হবে।
তিনি জানান, নাগরিকদের জন্য হাঁটা-দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত এই নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্থানীয় উদ্যোক্তারা জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, কর ফাইলিংসহ বিভিন্ন সরকারি ডিজিটাল সেবা প্রদান করবেন।
এই মডেলটি যেমন সরকারি সেবা নাগরিকদের জন্য সহজলভ্য করবে, তেমনি দেশের যুবসমাজ ও নারীদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে জানিয়ে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, “সামাজিক ব্যবসার নীতিমালায় অনুপ্রাণিত ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চালিত এই উদ্যোগ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের প্রতিচ্ছবি।”
তিনি বলেন, এই সেবার লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যা নাগরিকদের জন্য কার্যকর এবং সহজলভ্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করবে এবং একই সাথে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, নাগরিক সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হবার জন্য প্রথম ধাপে আবেদনকারীদের মধ্য কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০ জন নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়। তাদের ডিজিটাল লিটারেসি, গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সেবা প্রদানে নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে ১০০ জন উদ্যোক্তাকে (৫০ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষ) সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
সরকারি বিভিন্ন সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে অনলাইনে ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করেছে নাগরিক সেবা বাংলাদেশ।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই কার্যক্রমের পাইলট প্রকল্প শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রশিক্ষিত নাগরিক সেবা উদ্যোক্তগণ এই সেবাগুলো নাগরিক সেবা কেন্দ্র থেকে সাধারণ নাগরিকদের প্রদান করবেন।
পাইলট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেত এলাকায় নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে গুলশান ও উত্তরার কেন্দ্র ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে নীলক্ষেত কেন্দ্রও কার্যক্রম শুরু করবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং সরকারের আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই সেবার উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে, নানাবিধ হয়রানি রোধে ও ভোগান্তিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।”
একইভাবে সেবার সহজ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এক ঠিকানায় প্রয়োজনীয় সকল সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী সেবা কেন্দ্র তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও আইসিটি বিভাগকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এই সেবার আওতায় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য নিয়মিতভাবে সেবার আপডেট ও সমন্বয়ের বিষয়ে জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, “সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলে সেবা এর আওতায় আনা যায় সবগুলোকে দ্রুত নিয়ে আসা।”
এসময় বিভিন্ন নাগরিক সেবার প্রসঙ্গ টেনে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “এমন ব্যবস্থা আমাদেরকে অবশ্যই দাঁড় করাতে হবে যাতে জন্ম গ্রহণ করা মাত্রই শিশুরা জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়ে যায়। এটাই যেন হয় তার নাগরিক স্বীকৃতি।”
নাগরিক সেবা কেন্দ্রের পরিচালনা ও মালিকানা সম্পর্কে তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা জায়গার মালিকদের সাথে চুক্তি করে ভাড়া পরিশোধ করবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাড়া হ্রাসকৃত হারে নির্ধারিত হবে। উদ্যোক্তারা নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইউটিলিটির দায়িত্ব নিবেন। সেবা মান বজায় না রাখলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
তিনি বলেন, "নাগরিক সেবা বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি সেবা প্রদানের প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলার একটি আন্দোলন—যার ভিত্তি প্রযুক্তি এবং চালিকা শক্তি স্থানীয় উদ্যোক্তাবৃন্দ। অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও সম্প্রসারণশীল এই উদ্যোগ সারাদেশে নাগরিক সেবার আকর্ষণীয় রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম হবে।”
আইসিটি বিভাগের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, শূণ্য বাজেটে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দেশের বিদ্যমান সম্পদ বব্যাবহার করেই সামনে এগিয়ে চলা সম্ভব।
তিনি বলেন, নাগরিক সেবা বাংলাদেশ" শীর্ষক এই উদ্যোগের মাধ্যমে পোস্ট অফিসসহ অব্যবহৃত সরকারি স্থাপনাগুলোকে রূপান্তর করে আধুনিক কো-ওয়ার্কিং স্পেসে পরিণত করা হবে এবং সেগুলো স্থানীয় উদ্যোক্তা দ্বারা পরিচালিত হবে।
তিনি জানান, নাগরিকদের জন্য হাঁটা-দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত এই নাগরিক সেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্থানীয় উদ্যোক্তারা জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, কর ফাইলিংসহ বিভিন্ন সরকারি ডিজিটাল সেবা প্রদান করবেন।
এই মডেলটি যেমন সরকারি সেবা নাগরিকদের জন্য সহজলভ্য করবে, তেমনি দেশের যুবসমাজ ও নারীদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে জানিয়ে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, “সামাজিক ব্যবসার নীতিমালায় অনুপ্রাণিত ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চালিত এই উদ্যোগ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের প্রতিচ্ছবি।”
তিনি বলেন, এই সেবার লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যা নাগরিকদের জন্য কার্যকর এবং সহজলভ্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করবে এবং একই সাথে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, নাগরিক সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা হবার জন্য প্রথম ধাপে আবেদনকারীদের মধ্য কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০ জন নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়। তাদের ডিজিটাল লিটারেসি, গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সেবা প্রদানে নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে ১০০ জন উদ্যোক্তাকে (৫০ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষ) সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৬ জুলাই, ২০২৫ ২১:৩৮
রাজধানীর গুলশানে এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ। তবে বাকি চারজনের পরিচয় তাৎক্ষাণিক পাওয়া যায়নি।
গুলশান থানা সূত্র জানায়, ওই পাঁচজন কয়েকদিন আগে পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মি আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেদিন ১০ লাখ টাকা নিয়েও আসেন তারা। আজ শনিবার বাকি টাকা আনতে গেলে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিস্তারিত আসছে....
রাজধানীর গুলশানে এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ। তবে বাকি চারজনের পরিচয় তাৎক্ষাণিক পাওয়া যায়নি।
গুলশান থানা সূত্র জানায়, ওই পাঁচজন কয়েকদিন আগে পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মি আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেদিন ১০ লাখ টাকা নিয়েও আসেন তারা। আজ শনিবার বাকি টাকা আনতে গেলে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিস্তারিত আসছে....
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১২:৪৪
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা রাতের আঁধারে কিছু করতে চাই না, দিনের আলোতেই সব কার্যক্রম হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেই আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই আধুনিক হুমকি অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে যে কোনো প্রযুক্তিনির্ভর হস্তক্ষেপ রোধে আমরা সতর্ক আছি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে।
মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা রাতের আঁধারে কিছু করতে চাই না, দিনের আলোতেই সব কার্যক্রম হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেই আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই আধুনিক হুমকি অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে যে কোনো প্রযুক্তিনির্ভর হস্তক্ষেপ রোধে আমরা সতর্ক আছি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে।
মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
২৪ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪৫
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আর দলীয় প্রতীক থাকছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। উপদেষ্টা তার পোস্টে লেখেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক। আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত এ সংক্রান্ত ৪টি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলো আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে না। সব প্রার্থী হবেন নির্দলীয়, যাদের এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও এ বিষয়ে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এই বিধান তুলে দিলে অনেক যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তি, যারা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারব্যবস্থা পাঁচটি স্তরে বিভক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ- মোট ৪ হাজার ৫৮১টি। এ ছাড়া রয়েছে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ, ৬৪টি জেলা পরিষদ (এর মধ্যে তিনটি পার্বত্য জেলা), ৩৩০টি পৌরসভা এবং ১২টি সিটি করপোরেশন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন বেতন কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি লেখেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ বৃহস্পতিবার জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন বেতন কমিশন গঠন করেছে। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান এই বেতন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২০১৫ সালের ঘোষিত পে স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে মানুষের প্রকৃত আয় হ্রাস পাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক সক্ষমতা পুনর্মূল্যায়নের লক্ষ্যে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে একটি নতুন পে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আর দলীয় প্রতীক থাকছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। উপদেষ্টা তার পোস্টে লেখেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক। আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত এ সংক্রান্ত ৪টি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে।
এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলো আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে না। সব প্রার্থী হবেন নির্দলীয়, যাদের এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও এ বিষয়ে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এই বিধান তুলে দিলে অনেক যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তি, যারা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন, তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারব্যবস্থা পাঁচটি স্তরে বিভক্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ- মোট ৪ হাজার ৫৮১টি। এ ছাড়া রয়েছে ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ, ৬৪টি জেলা পরিষদ (এর মধ্যে তিনটি পার্বত্য জেলা), ৩৩০টি পৌরসভা এবং ১২টি সিটি করপোরেশন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন বেতন কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি লেখেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ বৃহস্পতিবার জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন বেতন কমিশন গঠন করেছে। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান এই বেতন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২০১৫ সালের ঘোষিত পে স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে মানুষের প্রকৃত আয় হ্রাস পাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক সক্ষমতা পুনর্মূল্যায়নের লক্ষ্যে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে একটি নতুন পে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.