২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ভোলা টু চরফ্যাশন সড়কের পাঁচ বেইলি ব্রিজ এখন মৃত্যুকূপ!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:০৭ অপরাহ্ণ, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গ্যাস সমৃদ্ধ ভোলা থেকে চরফ্যাশন পর্যন্ত অনেকগুলো ব্রিজ আছে। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে নির্মিত পাঁচটি স্টিল কাঠামোর বেইলি ব্রিজ রয়েছে। ত্রিশ বছরের অধিক বয়সের এ ব্রিজগুলো যেন আজ মৃত্যুর কুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। এখন পাঁচ টনের অধিক যানবাহন চলাচলের সাইনবোর্ড নোটিশ দিয়েই দায়সারা দায়িত্ব সারছে জেলা সড়ক বিভাগ।

সাময়িক মেরামত করে চলার ব্যবস্থা ব্রিজগুলোকে মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত করেছে। এখন আর গার্ডার ব্রিজ ছাড়া ভাবা যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয় জনগন ও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী। এ ব্রিজগুলো হলো- বাংলাবাজার, বকসেআলী, বোরহানউদ্দিন, ডাওরি ও চরফ্যাশনের শশীভূষণ বেইলি ব্রিজ।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, কয়েক বছরের চলাচলের জন্য তৈরি করা ৯০ দশকের ব্রিজগুলো আজ আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। একটি বাস পার না হওয়া পর্যন্ত অন্য একটি রিক্সাও চলতে পারছে না এ ব্রীজে। বর্ষার সময় বেশি আতঙ্কে থাকতে হয় মোটরসাইকেল আরোহীদের। সামান্য এদিক ওদিক হলেই পিছলে যায় মোটরসাইকেল। অনেকের জীবনহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

এ বিষয়ে ভোলা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ভোলা এখন শিল্পনগরী হিসেবে রূপান্তর হওয়ার পথে। তাই প্রচুর ওভার লোডেড ট্রাক, লরি চলাচল করে। বিশেষ করে ভোলায় অনেকগুলো পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। তাই বড় বড় যন্ত্রপাতিসহ প্রতিনিয়ত এরকম ১২-১৮ চাকার লরি আসা-যাওয়া করছে। এ ছাড়াও তরমুজ, ধান ও সবজির গাড়ি সারা বছর চলাচল করে। এ পর্যন্ত প্রতিবছর কেবল মেরামতই করা হচ্ছে। ভোলা জেলা সড়ক বিভাগ এই ৫টি ব্রিজের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার ডিজাইনের কাজ চলছে। আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যে এর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবো।

ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ৮০-৯০ জন যাত্রী নিয়ে দশ-বারো টনের ৬০টি বাস প্রতিদন বিশ মিনিট পরপর ভোলা থেকে চরফ্যাশন চলাচল করে। দশ ফুটের চওড়া এই বেইলি ব্রীজে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ভোলা সড়ক বিভাগের সাথে বার আলোচনা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই এখন আল্লাহপাকের ওপর ভরসা করে চলছি।

আমরা প্রতিনিয়ত ভোলা টু চরফ্যাশন রুটে বাসে যাতায়াত করি। বাসের ভেতর থেকে বুঝতে পারি ব্রিজগুলো কতটা নড়বড়ে হয়ে আছে। এর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। মনে হয়, যেন আশি সিটের বাসটা এখনই মানুষসহ ব্রিজ ভেঙে পড়ে যাবে। এই ভীতিকর পরিস্থিতির কথা জানালেন মাইওয়ান এর ভোলা জেলা ম্যানেজার মাসুদ হাসান।

ভোলার হাজারো মানুষের এখন দাবি একটাই- এ পাঁচটি বেইলি ব্রিজকে দ্রুত গার্ডার ব্রিজে রুপান্তর করে মানুষের চলাচল নিরাপদ করা হোক।’

15 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন