পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও পাস করেছে এক ছাত্রী। সে জিপিএ৪.৬৭ পেয়েছে। তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আরেক ছাত্রকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুল সংশোধন করা হচ্ছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে পিইসি-২০১৭এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় উপজেলার ৫৭ নম্বর আন্ধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জিপিএ৪.৬৭ পেয়ে পাস করেছে।
অথচ সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। শনিবার (০৬ জানুয়ারি) ওই ছাত্রীর পাসের ঘটনাটি জানাজানি হয়। অপর দিকে ৫০ নম্বর আংগুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিলেও ফলাফলে তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়।
ওই ছাত্রের বাবা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ছেলে পরীক্ষার প্রবেশপত্র জমা দিয়ে স্থানীয় কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন রেজাল্ট শিট না থাকায় সে ভর্তি হতে পারছে না।
আংগুলকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদা বেগম ও আন্ধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Other