প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বরিশালে আগমনকে কেন্দ্র করে আনন্দ উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না মোটেও। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বৃহস্পতিবার বিকেলে জনসভার মধ্য দিয়ে মানুষের বাঁধ ভাঙা জোয়ার তা প্রমাণ করে দিয়েছে। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিও কেড়েছে বরিশালের মানুষ। লাখো মানুষ সমাবেত হওয়ার নেপথ্যে বরিশাল মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বিশেষ ভুমিকা ছিল।
অবশ্য এই নেতা ওই সমাবেশেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থীতা হওয়ার বিষয়টি। এক্ষেত্রে আগ্রহের কমতি ছিল না অনুসারীদের মনেও।
যে কারণে সাদিক মেয়র প্রার্থী হিসেবে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই এমন শ্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড নিয়ে অনুসারীদের মাঠে দেখা গেছে। বিশেষ করে আ’লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলের আশপাশেও এমন শ্লোগান সংবলিত ব্যানার নিয়ে তার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঘোরাঘুরি করেছে। কিন্তু এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আসছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
এমনকি আলোচনায় শোনা যায়নি। তাছাড়া বরিশাল মহানগর আ’লীগের এই নেতার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে শীর্ষ নেতারাও কোন আভাস দেননি। ফলশ্রুতিতে সাদিক অনুসারীরা হতাশ হয়েছেন। কারণ সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীদের ভাবনা ছিল এই জনসভা থেকেই আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিক নির্দেশনা আসবে। সেই সাথে তাদের নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নামটিও মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করবেন।
কিন্তু তেমনটি না হওয়ায় অনুসারীরা হতাশ হয়েছেন জানিয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাদিককে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই শ্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড নিয়ে ঘুরেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চের পাশেও ছিলেন। যে বিষয়টি খোদ আ’লীগ সভানেত্রী প্রত্যক্ষ করেছেন বলে তার ধারণা (!) কিন্তু সাদিক আব্দুল্লাহর মেয়র প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি তার বক্তৃতায় পরিস্কার করেননি। তবে অন্য কারও নাম ঘোষণা করেননি।
এক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বরিশালের প্রেক্ষাপট দেখে গেলেন, ঢাকায় গিয়ে নিবেন সিদ্ধান্ত কে হচ্ছেন বরিশাল সিটিতে আ’লীগের মেয়র প্রার্থী। এমন বাস্তবতায় সাদিক বিরোধীদের ভাষ্য হচ্ছে, সাদিক আব্দুল্লাহ সিটি নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা থাকলে তা জনসভায়ই প্রকাশ পেত।
যে কারণে কারও নামই তিনি ঘোষণা দেননি। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের আলোচনায় জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম ও যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুনের নামটি শোনা গেছে। আগামী সিটি নির্বাচনে এই দুইজনের মধ্যে কেউ আ’লীগের প্রার্থীতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’’
শিরোনামOther