২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আইনি লড়াইয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানকে হারিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:২১ অপরাহ্ণ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা:: নির্বাচনে ভোটে পরাজিত হলেও আইনি লড়াইয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে হারিয়ে নির্বাচনের দুই বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।
পরে ওই বছরের ২১ এপ্রিল ফোরকানের ঋণ খেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দীন আহমেদ ছজু।
এ মামলায় বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এক আদেশে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ছজুকে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফোরকানকে আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশ করতে বলেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের শাখা থেকে নিজ নামে এক বছর মেয়াদে ১৮ লাখ টাকা ঋণ তোলেন ফোরকান। যা সুদে আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়া নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বনানী ট্রেডার্সের নামেও এক বছর মেয়াদে ঋণ তোলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে আসলে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখে। যথা সময়ে এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় নাম ওঠে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণ খেলাপির এ তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপী ঋণের তালিকাভূক্ত তথ্য গোপন করে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। এ জন্য তার মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা সামসুউদ্দিন ছজু বলেন, আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি, বাংলাদেশের নির্বাচনী মামলার ইতিহাসে এটি যুগান্তকারী রায় বলে মনে করছি। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবেই। বিজ্ঞ আইনজীবীদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, এখন পর্যন্ত কোনও আদেশ আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি। আদালতের আদেশ কপি পেলে আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে জানাবো।
8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন