৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ইন্দ্রজিৎ আমার সাথে প্রতারণা করেছে, আমার মৃত্যুর জন্য ও দায়ি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩৮ অপরাহ্ণ, ১২ আগস্ট ২০১৭

ঝালকাঠির রাজাপুরের পশ্চিম চারাখালি হাফেজ উদ্দিন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ কুমার দাসের বিয়ের প্রলোভন ও প্রেমে প্রতারিত হয়ে ওই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ১ রোলধারী ছাত্রী বর্নিতা হাওলাদার (১৫) চিরকুট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টার পর দীর্ঘ ২ মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শনিবার বিকেলে মারা গেছে।

পুলিশ ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে এবং ছাত্রীর পরিবার এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বর্নিতা দক্ষিণ তারাবুনিয়া গ্রামের বিপুল হাওলাদারের মেয়ে এবং ইন্দ্রজিৎ পশ্চিম চারাখালি গ্রামের রমেশ চন্দ্র সাথের ছেলে ।

স্কুলছাত্রী বর্নিতার ভাই বিপ্লব হাওলাদার জানান, বর্নিতার স্কুলের শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ কুমার দাস বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বর্নিতার সাথে প্রেমে সম্পর্ক গড়ে বাড়িতে যাওয়া-আসার করতেন। সম্প্রতি বর্তিতার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের চেষ্টা করে বিয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে মেয়ে দেখা শুরু করে। এই খবর নিয়ে তাদের মধ্যে মন বিরোধ শুরু হলে বর্তিতাকে গিফট দেয়া মোবাইল ফোনটি ইন্দ্রজি কৌশলে নিয়ে গিয়ে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এসব ঘটনার জেরে গত ৮ জুন গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বর্নিতা।

পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথম রাজাপুর, পরে বরিশাল শেবাচিম ও সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করালেও তার অবস্থার কোন উন্নতি না হয়ে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত, নিমোনিয়া ও বুকে কফ জমে নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকলে চিকিৎসকরা তার বাচাঁর আশা ত্যাগ করে তাকে ৩ আগস্ট বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে শনিবার তার মৃত্যু হয়।

স্কুলছাত্রী বর্নিতার ভাই বিপ্লব হাওলাদার আরও জানান, বর্নিতা প্রথম শ্রেণি থেকেই প্রতি ক্লাসে ১ রোল ছিল এবং যথেষ্ট মেধাবী হওয়ায় তার স্বপ্ন ছিল জজ হওয়ায়। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও ইংরেজিতে বক্তব্য দিতো বর্নিতা। বর্ণিতার স্ব-হস্তে লেখা চিরকুটেরও তার জজ হওয়ার স্বপ্ন এবং তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্কুলের শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ কুমার দাসকেই দায়ি করা হয়েছে।

পরিবারের প্রতি তার অনুরোধ ইন্দ্রকে যেন শেষ করে দেয়।

অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে এক প্রভাবশালীর ইন্দনে স্থানীয় একটি মহল এ ঘটনা শুরু থেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবং ওই ছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

 

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন