৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, ২৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঝালকাঠিতে হু হু করে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতারা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা করে। হঠাৎই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় শহরের কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ক্রেতারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই লাগামহীন দেশের কাঁচা মরিচের বাজার। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৫ জুন সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির ঘোষণার প্রভাব পড়েনি কাঁচা মরিচের দামে। বরং আমদানির ঘোষণার পরও কেজিতে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর গতকাল ঝালকাঠির খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দামে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে। ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাত্রাতিরিক্ত দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের কোনো সংকট নেই। সব সবজি বিক্রেতার কাছেই পর্যাপ্ত কাঁচা মরিচ রয়েছে।

বাজার করতে আসা রাসেল খান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘গত দুইদিন আগেও তিনশ টাকায় এক কেজি কাঁচামরিচ কিনেছি। আজ না কিনেই বাসায় ফিরতে হবে।’

সালমা বেগম নামের এক নারী ক্রেতা বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে এ অবস্থা। ৭০০ টাকা মরিচের কেজি এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

আর এমন আকাশ ছোঁয়া দামের ব্যাপারে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের বাজারে পাইকারিতে দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।এ বিষয়ে ঝালকাঠি বড় বাজার কমিটির সহ-সভাপতি মো. কবির হাওলাদার বলেন, ঈদের কারণেই পাইকারি বাজার চড়া। ৭০০ টাকায় বিক্রি করেও খুব বেশি লাভ থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘বরিশাল থেকে সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ সাড়ে ৫০০ টাকা পাইকারি কিনতে হয়েছে। মাত্র ২০ কেজি মরিচ আনতে পেরেছি। তার ওপর পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। তবে ঈদের পর এমন দাম আর থাকবে না।’

21 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন