৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

গণমাধ্যম কি জনগণের টাকায় চলে?

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ২৯ এপ্রিল ২০২১

গণমাধ্যম কি জনগণের টাকায় চলে? (শুধু তরুণদের জন্য লেখা)

নিয়ন মতিয়ুল >> দেশের মিডিয়া খাতের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশ করা বা না করা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইছে এখনও। গণমাধ্যমের ওপর প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। একই সঙ্গে দেশে যে নিরপেক্ষ, সত্যনিষ্ঠ, সাহসী সাংবাদিকতার দিন শেষ হয়ে গেছে নানাভাবে সেটাই বলার চেষ্টা চলছে। আর এসব ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই (সোশ্যাল মিডিয়া) মূলধারার গণমাধ্যমের বিকল্প হিসেবে ভাবার চেষ্টা করছেন অনেকে।

তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, গণমাধ্যম আর সাংবাদিকতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা ক্ষোভের ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই গণমাধ্যমকর্মী। নিজ পেশার প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধতা নিয়ে যারা আগে থেকেই সোচ্চার ছিলেন। অনেকে গণমাধ্যম ছেড়ে বিকল্প পেশা খোঁজার চেষ্টাও করছেন। তাদের অনেকে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। পাশাপাশি মেধাবী অনেক সংবাদ ব্যবস্থাপকও বদলে যাওয়া সাংবাদিকতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন। এমনকি দেশ বরেণ্য সম্পাদকদের বিতর্কিত ভূমিকার কড়া সমালোচনাও হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে সেটাই এখন স্পষ্ট।

গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার হয়েছিল গেল ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায়। উচ্চ মহলে নানা দেন দরবারের পর গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে সেই রাতেই গুলশান থানায় মামলা নেয় পুলিশ। মামলায় বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার পরেই সংশ্লিষ্ট একটি অডিও ভাইরাল হয়। তাছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় বিভিন্ন ধরনের আলামত, ছয়টি ডায়েরি এবং স্বামী-স্ত্রীর মতো বাঁধিয়ে রাখা মুনিয়া ও আনভীরের ছবিও উদ্ধার হয়। কোনো গণমাধ্যমে ছোট্ট একটি খবর লিখতে এর চেয়ে বেশি তথ্যের প্রয়োজন পড়ে কি? অথচ বেশিরভাগ গণমাধ্যমই খবরটি অবিশ্বাস্যভাবে এড়িয়ে যায়। এ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। গণমাধ্যম আর সংবাদকর্মীদের প্রতি শালীন-অশালীন ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেটিজেনরা।

অবশ্য, মামলা দায়েরের পরই পুলিশের পক্ষ থেকে আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুরও করেন। পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর অবস্থান, মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কারও অপরাধ থাকলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। যদিও মুনিয়া ইস্যুতে সরকারের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই দিয়েছিলেন অনেকে। তারপরেও বেশিরভাগ গণমাধ্যমের অবিশ্বাস্যরকম এই নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাতে গোনা যে দু’একটি অনলাইনে খবরটা প্রকাশিত হয়েছে তাও ছিল অনেকটাই অসম্পূর্ণ, প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ কী?

আবার পরদিন সহজলভ্য তথ্যের ভিত্তিতে বেশিরভাগ পত্রিকার ভেতরে, শেষ বা প্রথমপাতায় সিঙ্গেল, ডাবল বা তিন কলামে যেসব খবর প্রকাশ করা হলো তা নিয়ে ছিল বিস্ময় জাগানো উচ্ছ্বাস, গর্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন গ্রুপে সেগুলো ফলাও করে প্রদর্শনও করা হলো। কোন সম্পাদক কতটা সাহসিকতার সঙ্গে খবরটি প্রকাশ করেছে তা নিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়তে লাগলেন সংবাদকর্মীরা। ছোট এক সংবাদ প্রকাশের জন্য সংবাদকর্মী তথা দেশের জনগণের এত বাহবা বুঝি কোনো সম্পাদকের পক্ষেই ইতিহাসে লাভ করা সম্ভব হয়নি। সে বিচারে গণমাধ্যমের স্মরণকালের ইতিহাসে এটা বিরলই বটে। ভাবতে অবাক লাগে, একটি ঘটনার মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্তে নেমেছে, প্রয়োজনীয় বহু তথ্য উপাত্তও হাতের নাগালে। তারপরও সেই খবর প্রকাশ করার যে উল্লাস বা সাহসিকতার বুক ফোলানো গর্ব দেখতে হলো- বিশ্ব গণমাধ্যমের ইতিহাসে সত্যিই তা সোনার হরফে লেখা থাকবে!

তবে বিরল এসব ঘটনায় যে বিস্ময় বা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে, তা যৌক্তিক বলে মনে করছেন না অনেক গণমাধ্যমকর্মী। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান আর সাংবাদিকতা যে এক সূত্রে গাঁথা নয়, দুটো ভিন্ন বিষয় সেটিও সাধারণ মানুষের কাছে খোলাসা করার চেষ্টা চলছে। মূলত, গণমাধ্যমও যে বিনিয়োগকারীদের একটা (বুদ্ধিবৃত্তিক) বিজনেস, কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়, সে বিষয়টিও পরিষ্কার হচ্ছে ধীরে ধীরে। গণমাধ্যম বা সাংবাদিকতার কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার পরিধি যে দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে সেটাও এখন অসহনীয় বাস্তবতা।

এ প্রসঙ্গে উল্টো দিকের কিছু প্রশ্ন উঠতেই পারে। সত্যিই কি গণমাধ্যম বা সাংবাদিকতাকে এভাবে অভিযুক্ত বা আক্রমণ করা যৌক্তিক? গণমাধ্যম কি সবার সব দাবি বা প্রত্যাশা পূরণ করতে বাধ্য? আরেকটু কঠিন করে বললে, গণমাধ্যম বা সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক কি জনগণ দেয় যে তাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য থাকবে তারা! কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গণমাধ্যম দাঁড় করানোর পর মাসে মাসে বিশাল অংকের অর্থের জোগান দেয়ার কাজটি কেন করেন বিনিয়োগকারীরা? তা কি শুধুই সমাজে ন্যায়, নীতি, আদর্শ প্রতিষ্ঠায় প্রবল ঝুঁকি মাথায় নিয়ে জনগণের সামনে সত্য ‍উন্মোচন করতে নাকি বিনিয়োগের সমূহ অর্থ মুনাফাসহ ফেরত পাওয়ার জন্য?

এ বিচারে জনগণের অর্থে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা আলোচনায় আসতে বাধ্য। মূলত, সরকারি গণমাধ্যমেরই তো পুরোপুরি দায় থাকে জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা, তাদের সামনে সমাজ ও রাষ্ট্রের যাবতীয় সত্য উন্মোচন করা। যারা অসহায়, ন্যায় বঞ্চিত- তাদের কথা তুলে ধরা। সমাজে বসবাসকারী এমন কোনো প্রভাবশালী বা শিল্পপতি তো নেই যারা রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী। তাহলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেরই তো উচিত যেসব অন্যায়কারী, আইনের অপব্যবহারকারীদের বিষয়ে বেসরকারি গণমাধ্যম লিখতে ভয় পায়, জনস্বার্থে তাদের মুখোশ সাধারণ মানুষের সামনে খুলে ধরা। সেটাই হয় জনগণের কাছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের আসল জবাবদিহিতা। অথচ বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখি- সরকারি গণমাধ্যম জনগণের সমস্যাকে সমস্যাই মনে করে না। রাষ্ট্রের প্রশাসন আর ক্ষমতাসীনদের গৌরব বর্ণনা করাই যেন তাদের নৈতিক দায়িত্ব। জনগণের দাবি, ক্ষোভ নিয়ে তারা অনেকটাই নির্বিকার। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া সরকারি সাংবাদিকদের এমন ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার দায় নিয়ে কখনও আলোচনাই হয় না!

মূলত, গেল শতাব্দীর শেষের দশক থেকেই বিশ্বের বেশিরভাগ গণমাধ্যমে জনস্বার্থকে বিনিময় মূল্যের মাপকাঠিতে মাপা শুরু হয়েছে। যেখানে জনগণের ভাগ্যে কিছুই থাকে না। উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীনদের অংশীদার। আর তাদের সুবিধাভোগী দাসে পরিণত হতে হচ্ছে গণমাধ্যমকর্মীদের। প্রকৃত সত্য প্রকাশে দ্বিধাহীন-ভয়হীন হতে পারছেন না তারা। এতে গণমাধ্যম তার প্রকৃত চরিত্র খুইয়ে ক্রমাগত জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। জনগণও আর প্রকৃত সত্যের কাছে পৌঁছুতে পারছে না। তবে এর মধ্যেই কিছু কৌশলী ও দাপুটে সাংবাদিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খেয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে গিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হচ্ছেন। তাদের চরিত্র নিয়ে কথা বললেই চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে অন্য গণমাধ্যমকর্মীদের।

বিখ্যাত মার্কিন দার্শনিক নোম চমস্কি সারাবিশ্বে সমাদৃত হলেও নিজ দেশের মূল ধারার গণমাধ্যমে কিন্তু প্রবলভাবে উপেক্ষিত। কারণটা হলো গণমাধ্যম সম্পর্কিত তার ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট বা ‘প্রপাগান্ডা মডেল’। এই তত্ত্বে তিনি তুলে ধরেছেন, ক্ষমতাসীন বা প্রভাবশালীদের স্বার্থবিরোধী কোনো সংবাদই প্রকাশ করতে পারে না গণমাধ্যম। মডেলে পাঁচটি ফিল্টারের কথা বলেছেন, যার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদকর্মীদের লেখা সংবাদ আটকে যায়। এসব ফিল্টার হলো- গণমাধ্যমের মালিকানা, বিজ্ঞাপন, সোর্সের সীমাবদ্ধতা, সমালোচনা এবং সন্ত্রাস বা মৌলবাদ। চমস্কির সোজা সাফটা বক্তব্য, জনগণ হচ্ছে বিভ্রান্ত পশুর পালের মতো। বল প্রয়োগে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ না থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ‘ক্যালকুলেটেড ম্যানুফ্যাকচার অফ কনসেন্টের’ মাধ্যমে। আর অপ্রিয় এসব সত্যভাষণের কারণেই গণমাধ্যমের মূলধারার শত্রু হয়ে ওঠেন তিনি।

যদি বাস্তবতা এটাই হয়, তাহলে বেসরকারি খাতের গণমাধ্যমের ওপর এত দাবি, এত প্রত্যাশার চাপ কেন? আর কেনই বা সাংবাদিকতার শিকড়-বাকড় নিয়ে টানা হেঁচড়া, উপড়ে ফেলার চেষ্টা। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেসরকারি খাতের গণমাধ্যমের কাছে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা সেটা একান্তই নৈতিক কিংবা অভ্যাসগত। স্বাধীনতার যে স্বপ্ন আর আদর্শ নিয়ে বিগত শতকের মধ্যভাগে দেশের গণমাধ্যমের পথ চলা তা অর্ধশতকেও যে টিকে থাকবে- এমন নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারে না। শুধু বাংলাদেশই নয়, পুঁজিবাদের আগ্রাসন আর কর্তৃত্ববাদী শাসকদের কবলে পড়া বিশ্ব গণমাধ্যমের চেহারাই যেখানে আমূল বদলে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের গণমাধ্যমের প্রথাগত রূপের যে বদল ঘটবে সেটাই তো স্বাভাবিক। আর সেটা মেনে নিয়েই নতুন দিগন্ত খুঁজে নেয়ার প্রয়াস থাকতে হবে।

আবার এ কথাও সত্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমের আজকের যারা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারীরা যাদের হাতে বুদ্ধিবৃত্তিক বিজনেস (গণমাধ্যম) দাঁড় করানোর দায়িত্ব অর্পণ করেন, তাদের অদক্ষতা, দলদাসত্ব, মেরুদণ্ডহীনতা আর প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিও কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কম দায়ী নয়। ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তারা চরম অদক্ষ আর মেরুদণ্ডহীন বলেই গণমাধ্যমের সাহসী ভূমিকার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় চাপ, ডিজিটাল আইনের মতো খোঁড়া যুক্তিকে বেশি বেশি তুলে ধরেন। দেশে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানামুখী সংকটের মুখে তাদের পরিচালিত গণমাধ্যম আশার আলো দেখাতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সরকারের পথ প্রদর্শক না হয়ে আজ্ঞাবহ আর রাজনৈতিক দলের পরামর্শক না হয়ে দাস হয়ে পড়েন। তরুণ বা গণমাধ্যমে নবাগতদের পড়া বা গণমাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর দক্ষতা নেই অনেকেরই।

আবার অপ্রিয় হলেও সত্য, টকশো কাঁপানো অনেক গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব জাতির উদ্দেশ্যে যেসব বাণী বর্ষণ করেন, বাস্তব জীবনে সেগুলোর কোনো প্রয়োগই দেখা যায় না। কথায় ও কাজে মিল না থাকা এসব টকশোওয়ালাকে আর বিশ্বাস করতে চান না তরুণ সংবাদকর্মীরা। গণমাধ্যমকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে দেশবরেণ্য অনেক সম্পাদকের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি বা উদ্যোগ চোখেই পড়ে না। সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক বা ব্যবস্থাপকদের এসব অপচর্চার সুযোগে বিনিয়োগকারীরা তাদের দাস হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে যান বলেই মনে করেন তরুণ গণমাধ্যমকর্মীরা। তরুণদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এক মেধাবী সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, টকশো করে যারা বিরাট সাইনবোর্ড বানিয়ে, মিডিয়া মালিকদের দাসত্ব করে, নানা কোম্পানির উপহারের টাকায় পাহাড় বানিয়েছে, এরা কালের গহব্বরে হারিয়ে যাবে একদিন।

নানামুখী অব্যবস্থাপনা, মেধাহীনতা, অদক্ষতা, দলদাসত্ব আর সৃজনশীলতাবিমুখতার কারণেই গণমাধ্যমের মূলধারা দিন দিন উপেক্ষিত হয়ে পড়ছে। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পাঠকরা। মূলধারার বিকল্প হিসেবে খুব দ্রুতই বিশ্বব্যাপী কমিউনিটিভিত্তিক সাংবাদিকতার প্রসার ঘটছে। দলবদ্ধ এই সাংবাদিকতার সোর্স একেবারেই উন্মুক্ত। যেখানে সবাই লেখক, সবাই পাঠক। মূলধারার গণমাধ্যমের ফাঁপা গর্বের সুযোগ নিয়েই নতুন দিনের নতুন ধারার বিকাশ দ্রুততর হচ্ছে।

(এলোমেলো ভাবনা: ২৯ এপ্রিল, ২০২১। নিউ এলিফেন্ট রোড, ঢাকা।)

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন