২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

দুই সপ্তাহে করোনামুক্ত বিটিভির মহাপরিচালক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:০১ অপরাহ্ণ, ১৯ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান চ্যানেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এম এম হারুন অর রশিদ।
মাত্র ১৫ দিনেই সপরিবারে করোনা মুক্ত হয়েছেন এম এম হারুন অর রশিদ। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দ্বিতীয় ফলোআপ পরীক্ষায় তার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

করোনা মুক্ত হওয়ার পর বিটিভির মহাপরিচালক জানিয়েছেন, করোনাকে মোকাবেলা করতে আমরা সাহস হারাইনি। বাসায় থেকে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়েছি। জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেয়েছি। খেয়েছি এন্টিবায়োটিক ‘এজিথ্রোমাইসিন’ (৫দিন, দৈনিক ১টা করে)প্রতিদিন ১টি করে ভিটামিন ডি (২০০০ এমজি), দু’বেলা ২টি করে জিঙ্ক ট্যাবলেট (৬০ এমজি করে) এবং পানিতে গুলিয়ে প্রতিদিন ১ টি করে ভিটামিন সি (CavixC)। আমাদের জ্বর ছিল। ছিল কাশি এবং ছিল খাবারে অরুচি। সামান্য শ্বাসকষ্ট হলেও হাসপাতালে যেতে হবে। শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা বাসায় সম্ভব না। আল্লাহর রহমতে আমাদের ৩ জনের মধ্যে কারোরই শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া ছিলোনা। আমি আমার ব্লাডসুগার কন্ট্রোলে রেখেছি। ব্যায়াম করেছি। এবং রৌদ্র গায়ে মেখেছি। প্রচুর প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করেছি। সব সময় গরম পানি খেয়েছি এবং খাচ্ছি। গরম পানি দিয়ে দিনে ৩/৪ বার গড়গড়া করেছি। নানা উপাচার মিশিয়ে নাকেমুখে গরম পানির ভাপ নিয়েছি।

আমার স্ত্রী নাহীদ সুলতানা নিজের কোভিড-১৯ অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে একেবারে একা (আমাদের বাসায় কাজের লোক নেই ২৫ মার্চ থেকে) আমাদের সেবাযত্ন করেছে। করছে। নানা ধরনের মিশ্রণ, ক্বাথ বানিয়ে আমাদের খাওয়াচ্ছে।লেবুপানি, ফল, ফলের জুস, তূলসীপাতা, আদা, কালোজিরা, মধু,ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাইয়ে সে আমাদের immune system active এবং strong রাখতে যা যা করা সম্ভব করেছে। করছে। পরিষ্কার রাখছে ঘরবাড়ি। কী কী করেছি, খেয়েছি- এসব বললাম একারণে যে এসব টোটকা অন্যদের কাজে লাগতে পারে।

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের একমাত্র কন্যা নিকিতা নন্দিনী নিজে কোভিড-১৯ রোগি হয়েও বাসার অনেক কাজ করেছে। ঘরদোর জীবাণুমুক্ত রেখেছে। দেশে এবং বিদেশে বসবাসকারী আমাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীরা নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। খাবার ও ঔষধ পাঠিয়েছেন। সাহস জুগিয়েছেন। পরিচিত ও অপরিচিত ডাক্তাররা টেলিফোনে আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে আমার দুই শ্যালক ডা. শাহরিয়ার কবীর তুষার এবং ডা. কাওছার (লিয়ন) বলতে গেলে ঘন্টায় ঘন্টায় আমাদের খবর নিয়েছে। ডা. তুষার বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে আমাদের চিকিৎসার সামগ্রিক দায়িত্ব পালন করেছে। IEDCR যথাসময়ে অতি নিষ্ঠার সাথে আমাদের কোভিট-১৯ টেস্ট, ১ম ও ২য় ফলোআপ টেস্ট করে আমাদেরকে করোনামুক্ত সনদ দিয়েছে। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন