বার্তা পরিবেশক, অণনলাইন:: নারায়ণগঞ্জে ধারের ৫ হাজার টাকার জন্য মোঃ রহিম (৩০) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারই বন্ধু। এ ঘটনায় ঘাতক আসিফসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন এ তথ্য জানান।

নিহত রহিম মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সর্দারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইমান আলীর ছেলে। সে ইলেক্ট্রিক কাজ করতো বলে জানা যায়।

এর আগে নিহত রহিমের মা রহিমা বেগম শুক্রবার রাতেই ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসিফ ও ফারুকসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়।

ঘটনার রাতেই ঘাতক আসিফের মা রাজিয়া বেগম ও খালা সসুলতানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার ভোরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার পাঁচগাও এলাকা থেকে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ঘাতক আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহতের পরিবার জানায়, রহিমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে আসিফ। সে একই এলাকার মৃত আমির খসরু মিয়ার ছোট ছেলে। এছাড়া সে মাঝে মাঝেই আসিফের ফোন-ফ্যাক্সের দোকানে গান শুনতে যেতো।

আটক হওয়ার পর আসামি আসিফের মা রাজিয়া বেগম জানান, নিহত রহিম ও তার ছেলে আসিফ একসাথেই নেশা করতো। রহিম আসিফের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ধার নিয়েছিলো। এ টাকার জন্য হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে বলে জানান রাজিয়া বেগম। তবে তিনি হত্যার বিষয়ে কিছুই জানেন না।

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর মাসদাইর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন হত্যাকারী আসিফের মা রাজিয়া বেগম ও খালাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ভোরে ঘাতক আসিফকে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার পাঁচগাও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি আসলাম আরও জানান, হত্যার পরপরই আসিফের মা রক্তমাখা ছুরি ধুয়ে তাকে সাহায্য করে এবং খালা সুলতানা তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এর আগে শুক্রবার নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করে ওসি আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু হত্যাতাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হবে। শীঘ্রই প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।