২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

বরগুনায় পৌর নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ২০

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:২৯ অপরাহ্ণ, ১০ মার্চ ২০২৪

বরগুনায় পৌর নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনের জের ধরে মোবাইল প্রতীক ও হ্যাঙ্গার প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে আমতলী পৌর শহরের নীচকাঁটা এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থক সবুজ খাঁন ও তার পরিবারের লোকজন আরেক হ্যাঙ্গার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল খাঁনের সমর্থক রাসেদ খাঁন ও তার পরিবারের লোকজন মধ্যে নির্বাচনী জয়-পরাজয় নিয়ে শনিবার রাতে কথা কাটাকাটি হয়।

এর জের ধরে রোববার সকালে সবুজ খাঁন ও তার লোকজন রাসেদ খাঁনের বাড়িতে হামলা করে ঘর ও দুটি অটো গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে রাসেদ খাঁন তার লোকজন নিয়ে সবুজ খাঁনের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এভাবে নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে আহতরা হলো— শহীদুল খাঁন, রেহেনা, ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খাঁন, লিজা, খাদিজা, সালেহা, বশির খাঁন, সাফিয়া, নাজমুল খাঁন, নুর চেহারা, রিজিয়া, রাসেদ ও রবিন খাঁন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক গুরুতর আহত ইলিয়াস, লাইজু, জাকির খাঁন, বশির খাঁন, শহীদুল ও রেহেনাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠায়।

বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত নাজমুল খাঁন বলেন, ‘আমরা সবাই একই বংশের লোক। নির্বাচনী জের ধরে রাসেদ খাঁন ও তার লোকজন আমাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।’ রাসেদ খাঁন বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হয়েই সবুজ খাঁন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। রোববার সকালে সবুজের নেতৃত্বে তার লোকজন আমার ঘর ও দুটি অটো গাড়ি ভাংচুর করে। আমরা এতে বাঁধা দিলে আমাকে ও আমার বাবা মাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, শনিবার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান জয়লাভ করেন। হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে নাজমুল আহসান খান হেরে যান।

22 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন