যাত্রীদের হাতে আটক ডাকাত মনসুর আলী শেখ (৫৫) যশোর কোতোয়ালি থানার নুরপুর গ্রামের মৃত আকবর আলী শেখের ছেলে।
সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন- বরিশাল শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম তাঁতিবাজার থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ কিনে পারাবাত-১২ লঞ্চে করে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন। ওই ব্যবসায়ী কেবিনে আসার পর তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ স্বর্ণ আছে বলে তল্লাশি শুরু করে।
কথামতো স্বর্ণ বের করে দিতে রাজি না হওয়ায় ব্যবসায়ীকে প্রচণ্ড মারধর করতে থাকে ডাকাতরা। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের যাত্রী ও লঞ্চের স্টাফরা এগিয়ে আসে এবং এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে তার সাথে থাকা বেশ কয়েকজ ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
আটক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির কথা স্বীকার করে সঙ্গীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে।
পুলিশ জানায়- সংঘবদ্ধ এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সদরঘাট এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও যাত্রীর কাছে পুলিশ পরিচয়ে মালামাল লুটে নেয়। বিশেষ করে তাদের টার্গেট থাকে বরিশালগামী লঞ্চ যাত্রীরা। এরা পেশাদার ডাকাত বলেও জানান তিনি।
ব্যবসায়ী আমিরুল বলেন, সবসময়ের মতো রোববার সন্ধ্যায় তাঁতিবাজার থেকে দোকানের জন্য ১৭ ভরি স্বর্ণ কিনে বরিশালের উদ্দেশে পারাবত লঞ্চের কেবিনে ওঠেন। কেবিনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে আমার কাছে অবৈধ স্বর্ণ আছে বলে পকেট ও ব্যাগ তল্লাশি শুরু করে স্বর্ণ বের করতে বলে। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় মারধর করতে থাকে ডাকাতরা। ওই সময় তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলছিল।
শিরোনামবরিশালের খবর