বরিশাল নগরীর সড়কপথের কেন এই বেহালদশা এর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম দিতে পারেননি। শুধু আশার বাণী শোনালেন, শিগগিরই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এভাবে আশার বাণী সিটি মেয়রও শুনিয়েছেন গত বছরের বাজেট অনুষ্ঠানে। সেখানে উন্নয়ন বরাদ্দও তুলে ধরা হয়েছিল। তার পরে এক বছর পূর্ণ হয়ে নতুন বাজেট (অর্থবছর ২০১৯-২০) ঘোষণা হয়েছে গত ৩১ জুলাই। সেখানেও উন্নয়নে ফুঁলঝুড়ি ও সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে কথা জোরালোভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে- সময় যাচ্ছে ঠিকই, বরিশাল উন্নয়নতো দূরের কথা, সড়কপথে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ সড়কের ইট-পাথর উঠে বিশালকায় গর্তে পরিণত হয়েছে। এনিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল উন্নয়নে অন্তরায় কোথায়?
সদ্যঘোষিত বাজেটে সিটির সড়ক, ড্রেন ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ/উন্নয়ন এবং বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের জন্য ১৭০ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে রাস্তা, ড্রেন ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার অংক তুলে ধরা হয়।
সুতরাং বাজেটে বরাদ্দ আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। কেন এই দুরাবস্থা সেই সিটি কর্পোরেশন না দিতে পারলেও সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে রেহাই নেই, এমনটি ভেবেই এখন নগরবাসীকে পথ চলতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বরিশাল নগরীর আওতাধীন ৫৯৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে পিচঢালা সড়কের আয়তন ২৬৭ কিলোমিটার। সিটি কর্পোরেশনের দাবি, বেহাল সড়কের পরিমাণ মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। কিন্তু নগরী ঘুরে দেখা যায়- সদর রোড, বগুড়া রোড ও হাসপাতাল রোড ব্যতিত আর কোথাও মশৃণ সড়ক নেই। যেন ভাঙারি নগরীতে পরিণত হয়েছে বরিশাল।
শহরের সড়কের বেহালদশার কারণ সম্পর্কে জানতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিবাত সাদিক আব্দুলল্লাহ’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।’
বরিশালের খবর, বিশেষ খবর