২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুলের ‘স্মৃতি ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৩১ পূর্বাহ্ণ, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুলের ‘স্মৃতি ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঐতিহ্যবাহী জনপদ বরিশাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলা পুলিশের গৌরবগাঁথা ভূমিকা নিয়ে ‘স্মৃতি ৭১: মহান মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলা পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি বই সম্পাদনা করেছেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম। বুধবার বরিশাল পুলিশ লাইন্সের গ্রাটিচিউট হলে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বরিশাল জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. জামিল হাসান। গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সদস্য সিরাজ উদদীন আহমেদ এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন মাহবুব উদ্দীন আহমদ বীর বিক্রম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, বরিশাল কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক এবং শিক্ষাবিদ প্রফেসর শাহ সাজেদা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।

বইটির সম্পাদক এসপি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বরিশাল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ৩৪৭ পুলিশ সদস্য তাদের চাকরি, এমনকি জীবনের মায়া পর্যন্ত ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশের স্বাধীনতার জন্য। তৎকালীন জেলা পুলিশ আদেশ বহিতে সে সকল বিস্মৃতপ্রায় দলিল রয়েছে। ‘স্মৃতি ৭১ : মহান মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলা পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক গ্রন্থটি অগ্নিঝরা একাত্তরের একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রামাণ্য দলিল।

ওয়াহিদুল ইসলাম আরও বলেন, রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বুলেটটি নিক্ষেপ করে ২৫ মার্চ ১৯৭১। তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশের পুলিশের ন্যায় বরিশাল জেলা (তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলা) পুলিশ লাইনসের অস্ত্রাগার খুলে দেওয়া হয়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। অস্ত্রাগারটি খুলে দেওয়ার কারণে তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম হোসেনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।

বরিশাল জেলা পুলিশের এসব গৌরবগাঁথা ও আত্মত্যাগ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার জন্য আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ পাঠক, গবেষক, নতুন প্রজন্মসহ সর্বমহলে বইটি সমাদৃত হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

18 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন