২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাইকে চড়ে ২৯ দেশ পাড়ি দিয়ে সাতক্ষীরায় রোমানিয়ার তরুণী

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাইকে চড়ে ২৯ দেশ পাড়ি দিয়ে সাতক্ষীরায় রোমানিয়ার তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ২৯টি দেশ মোটরবাইকে ভ্রমণ করে সাতক্ষীরা এসেছেন রোমানিয়ান তরুণী এলিনা। তার সঙ্গে এসেছেন ইটালিয়ান বন্ধু আন্দ্রেয়া ও ইলারিও লাভাররা।

এলিনার শখ যাযাবরের মতো বাইকে চড়ে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানো এবং নতুন নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। রোমানিয়া থেকে আগত এই তরুণী বাংলাদেশে এসে মুগ্ধ হয়েছেন। তার লক্ষ্য বাইকে চড়ে সারা বিশ্ব ভ্রমণ করা। সেই সঙ্গে করতে চান কিছু সামাজিক কাজও। নিতে চান কয়েকজন শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব।

মূলত ইটালিয়ান বন্ধু আন্দ্রেয়ার আমন্ত্রণে মিলান শহর থেকে গত ২৯ জানুয়ারি এলিনা বাইকে চড়ে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সাতক্ষীরায় প্রবেশ করেছেন। আর ৩০ জানুয়ারি এসেছেন ইটালিয়ান নাগরিক ইলারিও লাভাররা।

রোমানিয়ান তরুণী এলিনা একসেন্থি পেশায় একজন নাট্যশিল্পী। একইসঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবেও কাজ করেন। ২৯ জানুয়ারি ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাইকে চড়ে সাতক্ষীরায় প্রবেশ করে তিনি উঠেছেন বেসরকারি সংস্থা ‘ঋশিল্পী’র আবাসিক ভবনে। তিনি সাতক্ষীরায় থাকবেন প্রায় এক মাস।

এলিনা একসেন্থি জানান, ২৯টি দেশ বাইকে চড়ে ঘুরতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর। তিনি হার্লি ডেভিডসন কোম্পানির ৮০০ সিসির একটি বাইক চালান। আর ইটালি থেকে আসা আন্দ্রেয়া ভেসপা মোটরবাইকের ভক্ত। তার বাইকটি ২০০ সিসির।

ভেসপায় চড়ে এখন পর্যন্ত তিনি ভ্রমণ করেছেন ৭টি দেশ। সময় লেগেছে ৭ মাস। তিনি এবং এলিনা একইসঙ্গে দুটি বাইক চালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। সাতক্ষীরায় তিনি এসেছেন বেশ কয়েকজন শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে।

তিনি আরও বলেন, আমি এখানে আসার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমন্ত্রণ পেয়ে আমি এখানে এসেছি। সাতক্ষীরার মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছে। ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল অনলুস নামের এই প্রতিষ্ঠানে আমি কয়েকদিন থাকবো। কীভাবে এখানকার মানুষের কাজে লাগতে পারি সেটাই আমার চিন্তার বিষয়বস্তু। এবারের ভ্রমণে ইটালি থেকে শুরু করে ২৯টি দেশ পেরিয়ে তারপর বাংলাদেশে এসেছি। তবে তার আগে আফ্রিকার ৭টি দেশ ভ্রমণ করেছিলাম। মোট ৩৬টি দেশ বাইকে চড়ে ভ্রমণ করেছি।

তিনি বলেন, এখানকার খাবার অনেক সুস্বাদু। আমি মনে করি রাস্তাই আমার বাড়ি। আমি এভাবেই বেঁচে থাকতে চাই। আন্দ্রেয়া বলেন, আমি ভেসপা বাইকের অনেক বড় ফ্যান। এটা ইটালিয়ান সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। ভেসপা চালিয়ে আমি ৭টি দেশ ভ্রমণ করেছি।

বাইকে চড়ে বিভিন্ন দেশে যাওয়াটা আমি উপভোগ করি। আমি সাতক্ষীরায় কয়েকটি গরিব পরিবারের বাচ্চাদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এসেছি। ঋশিল্পী ভবনে আমি থাকছি। এখানে দুই মাস থাকার কথা থাকলেও আরও প্রায় মাসখানেক বেশি থাকা লাগবে।

ঋশিল্পীর ম্যানেজার আল মামুন হোসেন জানান, এলিনা ও আন্দ্রেয়া দুজনে বন্ধু। দুজনেরই শখ বাইকে চড়ে দেশবিদেশ ভ্রমণ করা। এলিনা ৮০০ সিসির হার্লি ডেভিডসন বাইক চালায় আর আন্দ্রেয়া ২০০ সিসির ভেসপা চালায়। তারা এখানে কয়েকটি শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবেন। এছাড়া দুজনেরই লক্ষ্য মোটরসাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণ করা। মূলত ঋশিল্পীর মধ্যস্থতায় এদেশের শিশুদের উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন