২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ভয় দেখিয়ে টাকা না দিয়ে মাছ নিলেন পুলিশের এসআই হেলাল

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৪৫ অপরাহ্ণ, ২৮ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: কথায় আছে জনগনের বন্ধু পুলিশ। কিন্তু রাজাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হেলাল একটু আলাদা। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, রিক্সা চালক সহ পুলিশের সাহায্য পেতে আসা অসহায় মানুষদের কাছে এক আতঙ্কের নাম।
অভিযোগ রয়েছে কখনো কখনো রিক্সায় উঠে ভাড়া না দিয়ে ধমক দিয়েই নেমে যায় গন্তব্যে। মাছের ডালায় মাছ পছন্দ হলেই হাটা শুরু করেন মাছ নিয়ে। বিক্রেতার জোড়াজুড়িতে মাঝে মধ্যে কম টাকা ধরিয়ে দিলেও বেশিরভাগই চলে যান টাকা না দিয়ে। কোনো ঘটনার তদন্তের ভার তার কাছে পরলে আর্থিক সুবিধা যেই পক্ষ থেকে বেশি পান সেই পক্ষের হয়েই লড়তে থাকেন অন্য পক্ষের সাথে নিজ প্রতিপক্ষ মনে করে।
জানাগেছে, মাছ বিক্রেতা বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামের মতিউর রহমান সিকদারের ছেলে আসলাম সিকদার দক্ষিন বাংলার বিভিন্ন উপজেলার হাটে বাজারে ঘুরে ঘুরে দশ বাছর যাবত মাছ বিক্রি করেন। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস সংলগ্ন বাদুরতলা রাস্তার মুখে মাছ বিক্রি করার সময় তার সাথেও এসআই হেলাল করেন তার স্বভাবজাত আচরণ। ৬৫০ টাকা কেজি দরের মাছ জোড়াজুড়ি করে হুমকি দিয়ে নিয়ে যান ৫০০ টাকা দরে। বিক্রেতার এমন ঘটনা দেখে এক রিক্সা ড্রাইভার বলেন এই লোক তার রিক্সায় ভ্রমন করে পুলিশ বলে টাকা না দিয়ে চলে জান কয়েকদিন আগে।
প্রত্যক্ষদর্শী, সাজ্জাদ, ইছাসহ স্থানীয় একাধিক লোক সাংবাদিকদের জানান, বিকেল বেলা পুলিশের এসআই হেলাল মাছ কিনতে আসে। মাছ বিক্রেতার কাছে এক কেজি মাছের দাম জিজ্ঞেস করে তিনি ৬৫০ টাকা দাম বলেন। পুলিশ ৪০০ টাকা দাম রেখে মাছ দিতে বলায় মাছ না দেওয়ায় তিনি রেগে যান। এরপর এখানে মাছ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। পরে তিনি ৫০০টাকা দিয়ে জোর করে মাছ নিয়ে যান। এরমধ্যে এক রিক্সা চালক এসে বলেন এই পুলিশ আমার দুইদিন রিক্সা ভাড়া দেয়নি।
মাছ বিক্রেতা আসলাম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, রাজাপুর থানার এসআই হেলাল চোখ বড় করে ভয় দেখিয়ে ৬৫০ টাকা দামের মাছ ৫০০টাকায় জোর করে নেন৷ আমি মাছ দিতে না চাওয়া আমাকে ৫ মিনিটের মধ্যে এখান থেকে মাছ বিক্রি না করে চলে যেতে বলেন। তিনি পুলিশের লোক তার সাথে আমি কিছু পারবো না ১৫০টাকা লসে হলো। এর আগেও আরেকদিন অন্য একজন পুলিশ ৩০০টাকা না দিয়ে জোর করে মাছ নিছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই হেলাল বলেন, আমার কাছে ৫৮০ টাকা দাম চাইছে আমি ৫০০টাকায় নিছি। তবে তাকে বলেছিলাম এখানে মাছ বিক্রি না করে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে৷ এবিষয়ে রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আসলে এটা ঠিক না। যদি এরকম করে থাকে তাহলে আমরা দেখবো।
214 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন