২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও নিয়োগ পাননি বরিশালের জান্নাত, অত:পর…

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩২ অপরাহ্ণ, ১২ নভেম্বর ২০১৮

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও নিয়োগ না পাওয়ার অভিযোগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার যুগ্ম জেলা জজ ৩য় আদালতে নিয়োগ না পাওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ মামলাটির আদেশ দানে পরবর্তী দিন ধার্য্যরে নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত বাকেরগঞ্জ গাভীখোলা এলাকার মুনসুর আলী সিকদারের মেয়ে মাহফুজা আক্তার, বরিশাল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্য্যালয়ের ৩য় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্য সচিব সহকারি পরিচালক (সিসি), জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক, জেলা নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সভাপতি বরিশাল জেলা প্রশাসক, জেলা নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্য সিভিল সার্জন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অর্থ), উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব।

মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন বরিশাল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনস্থ অফিসসমূহের রাজস্ব খাতভ‚ক্ত শূন্য পদ পূরণের জন্য ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে অস্থায়ী ভিত্তিতে লোক নিয়োগের জন্য বরিশাল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন/ইউনিটের আওতাভ‚ক্ত স্থায়ী বাসিন্দাদের নিকট থেকে শর্তসাপেক্ষে নির্ধারিত ফরমে আবেদন আহবান করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (পুরুষ)এর ৮টি পদ, পরিবার কল্যাণ সহকারি (মহিলা) এর ৭টি পদে, এবং আয়া (মহিলা) এর ৪টি পদে লোক নিয়োগের আহবান করা হয়। পরিবার কল্যাণ সহকারি (মহিলা) এর ৭টি পদের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ২টি মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস ১০ নম্বর গারুড়িয়া ইউনিয়নের ভান্ডারীকাঠি গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড, ১/ক ইউনিটের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ায় তার নিয়োগ লাভের সকল যোগ্যতা থাকায় ২ নম্বর সহকারি পরিচালক (সিসি) বরাবরে পরিবার পরিকল্পনা সহকারি (মহিলা) পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছর ৩০ এপ্রিল জান্নাতুল ফেরদৌসকে ২৫ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে প্রবেশপত্র প্রেরণ করে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জান্নাতুল ফেরদৌস যথারীতি উত্তীর্ণ হয়। এছাড়া ১৩ আগষ্ট জান্নাতুল ফেরদৌস ও মাহফুজা আক্তারসহ ৫ জন জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। জান্নাতুল ফেরদৌস মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২৭ নম্বর উত্তীর্ণ হয়। ওই পরীক্ষায় মাহফুজা আক্তার ১৩ নম্বর পায়। কিন্তু মাহফুজা আক্তার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হয়েও সহকারি পরিচালকসহ অন্যান্যদের যোগসাজসে কাগজপত্র সৃজন করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

এছাড়া ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করে সহকারি পরিচালকসহ অন্যান্যরা মাহফুজা আক্তারকে বে-আইনীভাবে ১ম স্থান দেখিয়ে নির্বাচিত করেন। এ ঘটনায় নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন