২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

স্বরুপকাঠি নৌ-পুলিশ সদস্য বাবুলের বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:১৫ অপরাহ্ণ, ০৭ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল:: পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের জানমালের রক্ষাকর্তা। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বও তাদের। কিন্তু জনগণের রক্ষক যখন ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়, তখন দেশের জনগণের জানমালের কি হবে? এমনই প্রশ্ন জনসাধারণের। আর বর্তমানে এ বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য জড়িয়ে পড়েছে নানামুখী অপরাধ-অপকর্মে। তেমনি পুলিশের একজন অসাধু সদস্য বহু অপকর্মের হোতা পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল বাবুল।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বরুপকাঠি নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত আছেন কনস্টেবল বাবুল। আর এই সুবাদে তিনি স্থানীয় জেলেদের থেকে মাসোয়ারা আদায়, মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মাসোয়ারা আদায়, অভিযানের তথ্য পাচারসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এত অভিযোগ থাকলেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে তার এই অপকর্মে ফাঁড়ির কিছু অসাধু কর্মকর্তারাও জড়িত। তাই এত অপকর্ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন এই অপরাধী।

এলাকার সাধারণ জেলেরা জানান, কিছুদিন পূর্বেও চিরাপাড়া এলাকায় স্বরূপকাঠি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল বাবুল মাসোহারা আদায় করতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে ফাঁড়িতে ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি অভিযুক্ত বাবুলের বিরুদ্ধে। এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাবুল। মাসান্তর জনপ্রতি জেলেদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা মাসোয়ারা আদায় করে। আবার তা না দিলে জেলেদের পড়তে হয় হুমকির-ধামকির মধ্যে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কনস্টেবল বাবুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন আর স্বরূপকাঠিতে কর্মরত নাই। সাতক্ষীরায় রয়েছি।’ কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল বাবুল এখনও পিরোজপুর স্বরূপকাঠি নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুঠোফোনে স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানান, আমরা কিছু বললে আমাদের জাল ধরে নিয়ে যাবে তাই আমাদের নাম প্রকাশ করবেন না। সরকার কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করলেও বাবুল মাসোয়ারা নিয়ে অবৈধ পন্থায় জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়।

তারা আরও জানান, নদীতে অভিযান শুরুর আগ মুহূর্তেই ফোন দিয়ে জেলেদের সতর্ক করে দেন কনস্টেবল বাবুল। আর জেলেরাও সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাসোয়ারা দিয়ে অবৈধ মাছ ধরা কার্যক্রম।

এ সকল বিষয়ে নৌ-পুলিশ খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) দ্বীন মোহাম্মদ জানান, ‘আমি কোন অভিযোগ পাইনি। এখন বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত করবো এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে’।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন