২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ৬ বছরের কারাদণ্ড

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ, ০১ এপ্রিল ২০২১

সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ৬ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ঝালকাঠি >> আদালতে হাজির হলেও  রায় ঘোষণার আগেই পালিয়ে গেছে আসামি নুরুল আমিন সিকদার। বুধবার (৩১ মার্চ) বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হকের আদালত ওই আসামিকে ৬বছরের কারাদণ্ড এবং তিন কোটি টাকা জরিমানা করেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাসুদুল হক খান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘রায় ঘোষণার আগে আসামির উপস্থিতির বিষয়টি বিচারককে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু রায় ঘোষণার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমার ধারণা, সাজার বিষয়টি বুঝতে পেরে আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যায়।

আদালত রায়ে একই সঙ্গে অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত নগরীর আলেকান্দা এলাকায় নির্মিত পাঁচতলা বিশিষ্ট লাচিন ভবন (বর্তমানে ওই ভবনে আয়কর বিভাগের সার্কেল অফিস), স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে নগরীর আলেকান্দা এলাকার ১২ শতাংশ জমি ও নাবালক ছেলে আদিল আমিন লাচিনের নামে রাজধানীর ঢাকার বড় মগবাজারে থাকা ইস্টার্ন টিউলিপ ভবনের ১৬২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন।

ওই সম্পদ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা বরিশাল ও ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অর্পণ করা হয়েছে। এছাড়া নুরুল আমিন সিকদারের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে তার এক কপি আদালতে দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রবিউল আলম এহাজারের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঝালকাঠি জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারের বিরুদ্ধে বরিশাল দুদকের সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমত উল্লাহ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, নুরুল আমিন সিকদার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধভাবে এক কোটি ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪১ টাকা স্থাবর ও মূল্যবান সম্পদ অর্জন করে। লাচিন ভবন ও ইস্টার্ন টিউলিপ ভবনের ফ্ল্যাটের নির্মাণ ব্যয় ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৮ টাকার তথ্য গোপন এবং উজিরপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে দানপত্র দলিলে নিজ নামে ছয় জন নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে ৪.২৫ শতাংশ জমি ক্রয়ের তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে অভিযুক্ত করে ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক এমএইচ রহমতউল্লাহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় দেন।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন