৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

দশমিনায় এবার আরেক চেয়াম্যান আত্মসাত করলো হতদরিদ্রদের চাল!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩১ অপরাহ্ণ, ১৪ জুলাই ২০২০

বার্তা পরিবেশক পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর দশমিনায় স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হতদিরদ্রদের চাল আত্মসাতের অভিযোগ মিলেছে। অন্তত চার মাসের চালবঞ্চিত দরিদ্র শ্রেণির মানুষ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিচার চেয়েছে। চাল আত্মসাত ও বিচারের আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার অপরাহ্নে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করে বিচারের অভয় দিয়েছেন।

ভুক্তভোগীদের দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৪ নম্বর দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭২৪ জন হতদরিদ্রের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সব সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ভিজিডির কার্ড নিয়ে নেন ৪ নম্বর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

এরপর ২০১৯ সাল ও ২০২০ সালের ছয় মাসসহ মোট ১৮ মাসের মধ্যে ১৪ মাসের চাল বিভিন্ন কিস্তিতে বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে গত ৫ জুলাই চাল দেবে বলে সুবিধাভোগীদের ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন তিনি। এরপর এক মাসের চাল দিয়ে সুবিধাভোগীদের কার্ড দিয়ে দেন চেয়ারম্যান। কার্ড হাতে আসার পর সুবিধাভোগীরা দেখেন ১৮ মাসের টিপ সই। অথচ তাদের ১৪ মাসের চাল দিয়ে বাকি চার মাসের চাল আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান।

সুবিধাভোগী রুনিয়া ও শাহনাজসহ কয়েকজনের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ১৪ মাসের চাল দিয়ে বাকি চার মাসের চাল আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড় এসব কার্ড করে দিতেও ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের অনেক ক্ষমতা। তার সামনে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বরিশালটাইমসকে জানান, আমি দুই বারের চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কিংবা চাল কম দিয়েছি এমন কোনো নজির আমার বিরুদ্ধে নেই।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন