
২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৩৫
বরিশাল মিডিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার নামে সেচ্ছাচারিতা ও বিরোধী মনোস্কদের কোনঠাসা করে দীর্ঘদিনে প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে তরুণরা ফুঁসে ওঠায় তাদের দমনে এখন নেওয়া হয়েছে দুই পরিকল্পনা। একদিকে মামলা দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখা পাশাপাশি তরুণদের কর্মক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠান কর্ণধরদের দ্বারা চাকরিচ্যুৎ করার এই নীল নকশা বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
বরিশাল মিডিয়ার কথিত ‘ভগবান’ একজন সাংবাদিক নেতার মস্তিস্ক থেকে আবিস্কৃত ওই পরিকল্পনায় আজ সোমবার দুপুরে দুই তরুণ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গল্প-কাহিনী সাজানো এই মামলার এজাহারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, বিচার-বিশ্লেষণ করলে বাদী যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে তা প্রতীয়মাণ হচ্ছে।
একদিন আগে রোববার বরিশালের একই আদালতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খন্দকার রাকিব বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়েরের পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই কাউন্টার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ময়কর বিষয় হলো, সাংবাদিক হাসিব-রাকিবকে আসামি করে সোমবারে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী সোহরাব হোসেনের অভিযোগ হচ্ছে, তার পুত্র আল আমিন সাগরের কাছে চাঁদার প্রেক্ষাপটে তিনি এই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
অথচ ঘটনার সূত্রপাত সেই ০১ সেপ্টেম্বর নগরীর স্বরোডে একজন নারীর অনুরোধে নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম তার বাসার সামনে উপস্থিত হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বিতর্কিত সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেনর বেশ কয়েকজন অনুসারী অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে খন্দকার রাকিব সেখানে যাওয়া মাত্রা তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।
এই হামলার পেছনের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়েছে জাকিরসহ ৬ জনকে আসামি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে খন্দকার রাকিব মামলা করায় তাকে শায়েস্তা করতেই হাসিবকে ডেকে নিয়ে একটি ফাঁদ পাতা হয়েছিল। যাতে একদিকে হাসিবকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা অন্যদিকে রাকিবকে শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলায় অংশগ্রহণকারীরা জাকিরের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত এবং একজন যুবক ব্যতিত সকলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ধ্যারাতের ওই ঘটনা গভীর রাতে সমাপ্তি টানার পরদিন জাকির তার নতুন সংগঠন প্রকাশক-সম্পাদক পরিষদের বৈঠক ডেকে দুই তরুণের বিরুদ্ধে নৈতিবাচক সংবাদ প্রকাশে সিদ্ধান্ত নেয়।
দেখা গেছে- পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সমর্থিত বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উল্লেখ করা হয়েছে তানিয়া নামক এক নারীরে একজন যুবকের পক্ষে চাপ সৃষ্টি করতেই হাসিব-রাকিবের সেখানে উপস্থিতি ঘটে। অথচ আজ সোমবার দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নারীর কাছে হাসিব-রাকিব ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয় আল আমিন সাগর নামক এক যুবক প্রতিবাদ করায়। একপর্যায়ে ওই যুবককে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করলে সেখানে সংঘাতে সৃষ্টি হয়। এবং আল আমিন সাগরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
মামলার এজাহারের সাথে ঘটনার পরদিন প্রকাশিত সংবাদের বেমিল খুঁজে পাওয়ায় অনেকের ধারণা খোড়া অজুহাতে থানায় মামলা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতে মিথ্যাচারের মাধ্যমে আইনে আশ্রয় নিতে কৌশল নিয়েছে প্রতিপক্ষ। সেখানে মামলার বাদী আল আমিন সাগরের পিতা সোহরাব হোসেন সমুলে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে আদালতের সাথে এক ধরনের প্রতারণা করল।
এদিকে খবর পাওয়া গেছে, বিদ্রোহী তরুণেরা জাকিরসহ কথিত সেই ‘ভগবান’র সাংবাদিকদের প্রতি অনাচারের কারণে মিডিয়ার মধ্যে চলমান বিভাজনে মূলত তরুণদের সাথে পেরে না ওঠায় এখন তাদের কর্মস্থল টার্গেট করে চাকরিচ্যুত করার আরেকটি পরিকল্পনায় হয়েছে। তার আলামত হচ্ছে, ওই দিনের ঘটনার সূত্রপাত টেনে সাংবাদিক নেতা জাকির প্রসঙ্গে দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকায় একটি তথ্যবহুল দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার কৈফিয়ত চেয়ে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ডাকযোগে আসা ওই নোটিসে প্রতিবেদক মো. আসাদুজ্জামানসহ পত্রিকা মালিকপক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, নচেৎ তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার এক ধরনের সতর্ক বার্তা জানিয়েছে নোটিসদাতা এসএম জাকির হোসেনের পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
এদিকে আরেকটি সূত্র বলছে, হাসিবুল ইসলামের কর্মক্ষেত্র জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাথেও ওই মহলটি যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যাতে তাকে চাকরিচ্যুৎ করা যায়। সেই লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ একটি অভিযোগপত্র সাজিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা মিসাইল আকারে ওই পত্রিকা দপ্তরে নিক্ষেপে সুযোগের অপেক্ষমান রয়েছে। উল্লেখ্য হাসিব ওই দৈনিক পত্রিকাটির প্রকাশলগ্ন থেকে বরিশাল ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, প্রবীণদের সাথে নবীণদের এই নীতিগত দ্বন্দ্বে সামাজিক-প্রশাসনিক মহল বিস্মিত এবং মৌনভাবে নিন্দা প্রকাশ করলেও নেতৃত্ব ধরে রাখাসহ প্রতিশোধ নেওয়ার স্বার্থে তারা সমঝোতা বা নমনীয় হতে নারাজ। বরং কিভাবে বিদ্রোহী তরুণদের দমন করা যায়, এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক অব্যাহত রেখেছে কথিত ‘ভগবাগরুপী’ এক সাংবাদিক নেতার পত্রিকা কার্যালয়ে, যাকে কী না মাজার হিসেবে এখন আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সেই সূত্রটি জানায়, আজ সন্ধ্যায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আগামীর পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে সেই মাজারে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সম্ভবত অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে এসএম জাকিরের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত এজাহারটি থানায় মামলা গ্রহণ পরবর্তী যাতে আসামিদের হয়রানি না করা হয়, সে লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রভাবিত প্রাথমিক প্রস্তাব রয়েছে।
তাছাড়া তাদের পক্ষের মামলার দুই আসামি হাসিব-রাকিবকে যেকোন পন্থায় আটকে পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখার ছক আঁকা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ, একদিনের ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলার এজাহার থানা পুলিশকে গ্রহণে বিচারকের নির্দেশনামা আজ বিকেল নাগাদ কাউনিয়া থানায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল মিডিয়ার এই বিভাজনের লড়াই এবং নেতৃত্ব থাকা ব্যক্তি-বর্গের অতীত ইতিহাস অবগত ও স্বরোডের ওই হামলার ঘটনায় তারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মাঝে কৌশলী পন্থা গ্রহণ করেছে। যাতে কোন পক্ষই নাখোশ না হয়। কিন্তু কথিত সেই ‘ভগবানরুপী’ সাংবাদিক নেতা লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যেমন যোগাযোগ রাখছেন, তেমনই তাদের স্বপক্ষে অন্তত ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় একটি অংশকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন দরজায় কড়া নাড়ছেন।
তাদের ভেতরকার আরেকটি সূত্র আভাস দিয়ে বলছে, তরুণরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠার পেছনে কারা সাহস যুগিয়েছে এবং অর্থের যোগান কিভাবে আসছে তা নির্ণয় করে সেই পথ রোধে বেশ কয়েকজন গুপ্তচরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসব খবর আর গোপন থাকছে না। ফলে বরিশালের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও প্রগতিশীল ধারার সংবাদকর্মীরা এখন ক্রমান্বয়ে তরুণদের পক্ষে সমর্থন দিতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে বিভাজনের রেখা দীর্ঘায়িত হলে কলম রেখে সংঘাত-রক্তপাত অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে, এমনটিই চাচ্ছেন নেতৃত্ব অভিলাসী চক্রটি।’
বরিশাল মিডিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার নামে সেচ্ছাচারিতা ও বিরোধী মনোস্কদের কোনঠাসা করে দীর্ঘদিনে প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে তরুণরা ফুঁসে ওঠায় তাদের দমনে এখন নেওয়া হয়েছে দুই পরিকল্পনা। একদিকে মামলা দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখা পাশাপাশি তরুণদের কর্মক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠান কর্ণধরদের দ্বারা চাকরিচ্যুৎ করার এই নীল নকশা বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
বরিশাল মিডিয়ার কথিত ‘ভগবান’ একজন সাংবাদিক নেতার মস্তিস্ক থেকে আবিস্কৃত ওই পরিকল্পনায় আজ সোমবার দুপুরে দুই তরুণ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গল্প-কাহিনী সাজানো এই মামলার এজাহারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, বিচার-বিশ্লেষণ করলে বাদী যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে তা প্রতীয়মাণ হচ্ছে।
একদিন আগে রোববার বরিশালের একই আদালতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খন্দকার রাকিব বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়েরের পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই কাউন্টার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ময়কর বিষয় হলো, সাংবাদিক হাসিব-রাকিবকে আসামি করে সোমবারে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী সোহরাব হোসেনের অভিযোগ হচ্ছে, তার পুত্র আল আমিন সাগরের কাছে চাঁদার প্রেক্ষাপটে তিনি এই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
অথচ ঘটনার সূত্রপাত সেই ০১ সেপ্টেম্বর নগরীর স্বরোডে একজন নারীর অনুরোধে নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম তার বাসার সামনে উপস্থিত হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বিতর্কিত সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেনর বেশ কয়েকজন অনুসারী অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে খন্দকার রাকিব সেখানে যাওয়া মাত্রা তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।
এই হামলার পেছনের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়েছে জাকিরসহ ৬ জনকে আসামি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে খন্দকার রাকিব মামলা করায় তাকে শায়েস্তা করতেই হাসিবকে ডেকে নিয়ে একটি ফাঁদ পাতা হয়েছিল। যাতে একদিকে হাসিবকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা অন্যদিকে রাকিবকে শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলায় অংশগ্রহণকারীরা জাকিরের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত এবং একজন যুবক ব্যতিত সকলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ধ্যারাতের ওই ঘটনা গভীর রাতে সমাপ্তি টানার পরদিন জাকির তার নতুন সংগঠন প্রকাশক-সম্পাদক পরিষদের বৈঠক ডেকে দুই তরুণের বিরুদ্ধে নৈতিবাচক সংবাদ প্রকাশে সিদ্ধান্ত নেয়।
দেখা গেছে- পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সমর্থিত বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উল্লেখ করা হয়েছে তানিয়া নামক এক নারীরে একজন যুবকের পক্ষে চাপ সৃষ্টি করতেই হাসিব-রাকিবের সেখানে উপস্থিতি ঘটে। অথচ আজ সোমবার দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নারীর কাছে হাসিব-রাকিব ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয় আল আমিন সাগর নামক এক যুবক প্রতিবাদ করায়। একপর্যায়ে ওই যুবককে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করলে সেখানে সংঘাতে সৃষ্টি হয়। এবং আল আমিন সাগরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
মামলার এজাহারের সাথে ঘটনার পরদিন প্রকাশিত সংবাদের বেমিল খুঁজে পাওয়ায় অনেকের ধারণা খোড়া অজুহাতে থানায় মামলা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতে মিথ্যাচারের মাধ্যমে আইনে আশ্রয় নিতে কৌশল নিয়েছে প্রতিপক্ষ। সেখানে মামলার বাদী আল আমিন সাগরের পিতা সোহরাব হোসেন সমুলে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে আদালতের সাথে এক ধরনের প্রতারণা করল।
এদিকে খবর পাওয়া গেছে, বিদ্রোহী তরুণেরা জাকিরসহ কথিত সেই ‘ভগবান’র সাংবাদিকদের প্রতি অনাচারের কারণে মিডিয়ার মধ্যে চলমান বিভাজনে মূলত তরুণদের সাথে পেরে না ওঠায় এখন তাদের কর্মস্থল টার্গেট করে চাকরিচ্যুত করার আরেকটি পরিকল্পনায় হয়েছে। তার আলামত হচ্ছে, ওই দিনের ঘটনার সূত্রপাত টেনে সাংবাদিক নেতা জাকির প্রসঙ্গে দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকায় একটি তথ্যবহুল দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার কৈফিয়ত চেয়ে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ডাকযোগে আসা ওই নোটিসে প্রতিবেদক মো. আসাদুজ্জামানসহ পত্রিকা মালিকপক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, নচেৎ তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার এক ধরনের সতর্ক বার্তা জানিয়েছে নোটিসদাতা এসএম জাকির হোসেনের পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
এদিকে আরেকটি সূত্র বলছে, হাসিবুল ইসলামের কর্মক্ষেত্র জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাথেও ওই মহলটি যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যাতে তাকে চাকরিচ্যুৎ করা যায়। সেই লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ একটি অভিযোগপত্র সাজিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা মিসাইল আকারে ওই পত্রিকা দপ্তরে নিক্ষেপে সুযোগের অপেক্ষমান রয়েছে। উল্লেখ্য হাসিব ওই দৈনিক পত্রিকাটির প্রকাশলগ্ন থেকে বরিশাল ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, প্রবীণদের সাথে নবীণদের এই নীতিগত দ্বন্দ্বে সামাজিক-প্রশাসনিক মহল বিস্মিত এবং মৌনভাবে নিন্দা প্রকাশ করলেও নেতৃত্ব ধরে রাখাসহ প্রতিশোধ নেওয়ার স্বার্থে তারা সমঝোতা বা নমনীয় হতে নারাজ। বরং কিভাবে বিদ্রোহী তরুণদের দমন করা যায়, এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক অব্যাহত রেখেছে কথিত ‘ভগবাগরুপী’ এক সাংবাদিক নেতার পত্রিকা কার্যালয়ে, যাকে কী না মাজার হিসেবে এখন আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সেই সূত্রটি জানায়, আজ সন্ধ্যায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আগামীর পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে সেই মাজারে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সম্ভবত অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে এসএম জাকিরের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত এজাহারটি থানায় মামলা গ্রহণ পরবর্তী যাতে আসামিদের হয়রানি না করা হয়, সে লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রভাবিত প্রাথমিক প্রস্তাব রয়েছে।
তাছাড়া তাদের পক্ষের মামলার দুই আসামি হাসিব-রাকিবকে যেকোন পন্থায় আটকে পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখার ছক আঁকা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ, একদিনের ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলার এজাহার থানা পুলিশকে গ্রহণে বিচারকের নির্দেশনামা আজ বিকেল নাগাদ কাউনিয়া থানায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল মিডিয়ার এই বিভাজনের লড়াই এবং নেতৃত্ব থাকা ব্যক্তি-বর্গের অতীত ইতিহাস অবগত ও স্বরোডের ওই হামলার ঘটনায় তারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মাঝে কৌশলী পন্থা গ্রহণ করেছে। যাতে কোন পক্ষই নাখোশ না হয়। কিন্তু কথিত সেই ‘ভগবানরুপী’ সাংবাদিক নেতা লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যেমন যোগাযোগ রাখছেন, তেমনই তাদের স্বপক্ষে অন্তত ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় একটি অংশকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন দরজায় কড়া নাড়ছেন।
তাদের ভেতরকার আরেকটি সূত্র আভাস দিয়ে বলছে, তরুণরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠার পেছনে কারা সাহস যুগিয়েছে এবং অর্থের যোগান কিভাবে আসছে তা নির্ণয় করে সেই পথ রোধে বেশ কয়েকজন গুপ্তচরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসব খবর আর গোপন থাকছে না। ফলে বরিশালের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও প্রগতিশীল ধারার সংবাদকর্মীরা এখন ক্রমান্বয়ে তরুণদের পক্ষে সমর্থন দিতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে বিভাজনের রেখা দীর্ঘায়িত হলে কলম রেখে সংঘাত-রক্তপাত অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে, এমনটিই চাচ্ছেন নেতৃত্ব অভিলাসী চক্রটি।’

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৫
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.