https://joinnavy.navy.mil.bd/

বিশেষ সংবাদ

তরুণদের দমনে বরিশাল মিডিয়ার কথিত সেই ‘ভগবান’র ‘মস্তিস্কের মিসাইল’ নিক্ষেপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৩৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তরুণদের দমনে বরিশাল মিডিয়ার কথিত সেই ‘ভগবান’র ‘মস্তিস্কের মিসাইল’ নিক্ষেপ

বরিশাল মিডিয়ার নেতৃত্ব দেওয়ার নামে সেচ্ছাচারিতা ও বিরোধী মনোস্কদের কোনঠাসা করে দীর্ঘদিনে প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে তরুণরা ফুঁসে ওঠায় তাদের দমনে এখন নেওয়া হয়েছে দুই পরিকল্পনা। একদিকে মামলা দিয়ে দৌড়ের ওপর রাখা পাশাপাশি তরুণদের কর্মক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠান কর্ণধরদের দ্বারা চাকরিচ্যুৎ করার এই নীল নকশা বাস্তবায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বরিশাল মিডিয়ার কথিত ‘ভগবান’ একজন সাংবাদিক নেতার মস্তিস্ক থেকে আবিস্কৃত ওই পরিকল্পনায় আজ সোমবার দুপুরে দুই তরুণ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গল্প-কাহিনী সাজানো এই মামলার এজাহারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, বিচার-বিশ্লেষণ করলে বাদী যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে তা প্রতীয়মাণ হচ্ছে।

একদিন আগে রোববার বরিশালের একই আদালতে ‘নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খন্দকার রাকিব বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়েরের পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই কাউন্টার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিস্ময়কর বিষয় হলো, সাংবাদিক হাসিব-রাকিবকে আসামি করে সোমবারে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী সোহরাব হোসেনের অভিযোগ হচ্ছে, তার পুত্র আল আমিন সাগরের কাছে চাঁদার প্রেক্ষাপটে তিনি এই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

অথচ ঘটনার সূত্রপাত সেই ০১ সেপ্টেম্বর নগরীর স্বরোডে একজন নারীর অনুরোধে নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল’র সভাপতি হাসিবুল ইসলাম তার বাসার সামনে উপস্থিত হলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বিতর্কিত সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেনর বেশ কয়েকজন অনুসারী অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে খন্দকার রাকিব সেখানে যাওয়া মাত্রা তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।

এই হামলার পেছনের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়েছে জাকিরসহ ৬ জনকে আসামি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে খন্দকার রাকিব মামলা করায় তাকে শায়েস্তা করতেই হাসিবকে ডেকে নিয়ে একটি ফাঁদ পাতা হয়েছিল। যাতে একদিকে হাসিবকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা অন্যদিকে রাকিবকে শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলায় অংশগ্রহণকারীরা জাকিরের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত এবং একজন যুবক ব্যতিত সকলে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ধ্যারাতের ওই ঘটনা গভীর রাতে সমাপ্তি টানার পরদিন জাকির তার নতুন সংগঠন প্রকাশক-সম্পাদক পরিষদের বৈঠক ডেকে দুই তরুণের বিরুদ্ধে নৈতিবাচক সংবাদ প্রকাশে সিদ্ধান্ত নেয়।

দেখা গেছে- পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সমর্থিত বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উল্লেখ করা হয়েছে তানিয়া নামক এক নারীরে একজন যুবকের পক্ষে চাপ সৃষ্টি করতেই হাসিব-রাকিবের সেখানে উপস্থিতি ঘটে। অথচ আজ সোমবার দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নারীর কাছে হাসিব-রাকিব ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয় আল আমিন সাগর নামক এক যুবক প্রতিবাদ করায়। একপর্যায়ে ওই যুবককে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করলে সেখানে সংঘাতে সৃষ্টি হয়। এবং আল আমিন সাগরকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

মামলার এজাহারের সাথে ঘটনার পরদিন প্রকাশিত সংবাদের বেমিল খুঁজে পাওয়ায় অনেকের ধারণা খোড়া অজুহাতে থানায় মামলা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর আদালতে মিথ্যাচারের মাধ্যমে আইনে আশ্রয় নিতে কৌশল নিয়েছে প্রতিপক্ষ। সেখানে মামলার বাদী আল আমিন সাগরের পিতা সোহরাব হোসেন সমুলে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে আদালতের সাথে এক ধরনের প্রতারণা করল।

এদিকে খবর পাওয়া গেছে, বিদ্রোহী তরুণেরা জাকিরসহ কথিত সেই ‘ভগবান’র সাংবাদিকদের প্রতি অনাচারের কারণে মিডিয়ার মধ্যে চলমান বিভাজনে মূলত তরুণদের সাথে পেরে না ওঠায় এখন তাদের কর্মস্থল টার্গেট করে চাকরিচ্যুত করার আরেকটি পরিকল্পনায় হয়েছে। তার আলামত হচ্ছে, ওই দিনের ঘটনার সূত্রপাত টেনে সাংবাদিক নেতা জাকির প্রসঙ্গে দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকায় একটি তথ্যবহুল দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার কৈফিয়ত চেয়ে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে ডাকযোগে আসা ওই নোটিসে প্রতিবেদক মো. আসাদুজ্জামানসহ পত্রিকা মালিকপক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, নচেৎ তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার এক ধরনের সতর্ক বার্তা জানিয়েছে নোটিসদাতা এসএম জাকির হোসেনের পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।

এদিকে আরেকটি সূত্র বলছে, হাসিবুল ইসলামের কর্মক্ষেত্র জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাথেও ওই মহলটি যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যাতে তাকে চাকরিচ্যুৎ করা যায়। সেই লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ একটি অভিযোগপত্র সাজিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা মিসাইল আকারে ওই পত্রিকা দপ্তরে নিক্ষেপে সুযোগের অপেক্ষমান রয়েছে। উল্লেখ্য হাসিব ওই দৈনিক পত্রিকাটির প্রকাশলগ্ন থেকে বরিশাল ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, প্রবীণদের সাথে নবীণদের এই নীতিগত দ্বন্দ্বে সামাজিক-প্রশাসনিক মহল বিস্মিত এবং মৌনভাবে নিন্দা প্রকাশ করলেও নেতৃত্ব ধরে রাখাসহ প্রতিশোধ নেওয়ার স্বার্থে তারা সমঝোতা বা নমনীয় হতে নারাজ। বরং কিভাবে বিদ্রোহী তরুণদের দমন করা যায়, এনিয়ে দফায় দফায় বৈঠক অব্যাহত রেখেছে কথিত ‘ভগবাগরুপী’ এক সাংবাদিক নেতার পত্রিকা কার্যালয়ে, যাকে কী না মাজার হিসেবে এখন আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সেই সূত্রটি জানায়, আজ সন্ধ্যায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আগামীর পরিকল্পনা কি হবে তা নিয়ে সেই মাজারে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সম্ভবত অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে এসএম জাকিরের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত এজাহারটি থানায় মামলা গ্রহণ পরবর্তী যাতে আসামিদের হয়রানি না করা হয়, সে লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রভাবিত প্রাথমিক প্রস্তাব রয়েছে।

তাছাড়া তাদের পক্ষের মামলার দুই আসামি হাসিব-রাকিবকে যেকোন পন্থায় আটকে পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখার ছক আঁকা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ, একদিনের ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলার এজাহার থানা পুলিশকে গ্রহণে বিচারকের নির্দেশনামা আজ বিকেল নাগাদ কাউনিয়া থানায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল মিডিয়ার এই বিভাজনের লড়াই এবং নেতৃত্ব থাকা ব্যক্তি-বর্গের অতীত ইতিহাস অবগত ও স্বরোডের ওই হামলার ঘটনায় তারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মাঝে কৌশলী পন্থা গ্রহণ করেছে। যাতে কোন পক্ষই নাখোশ না হয়। কিন্তু কথিত সেই ‘ভগবানরুপী’ সাংবাদিক নেতা লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যেমন যোগাযোগ রাখছেন, তেমনই তাদের স্বপক্ষে অন্তত ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় একটি অংশকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন দরজায় কড়া নাড়ছেন।

তাদের ভেতরকার আরেকটি সূত্র আভাস দিয়ে বলছে, তরুণরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠার পেছনে কারা সাহস যুগিয়েছে এবং অর্থের যোগান কিভাবে আসছে তা নির্ণয় করে সেই পথ রোধে বেশ কয়েকজন গুপ্তচরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এসব খবর আর গোপন থাকছে না। ফলে বরিশালের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও প্রগতিশীল ধারার সংবাদকর্মীরা এখন ক্রমান্বয়ে তরুণদের পক্ষে সমর্থন দিতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবে বিভাজনের রেখা দীর্ঘায়িত হলে কলম রেখে সংঘাত-রক্তপাত অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে, এমনটিই চাচ্ছেন নেতৃত্ব অভিলাসী চক্রটি।’

আরও পড়ুন:

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল। 

আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়। 

রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। 

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন। 

এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

‎‎‎‎‎সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।

তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর  এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।

পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.