https://joinnavy.navy.mil.bd/

আন্তর্জাতিক

১০০ টাকা ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

১০০ টাকা ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ

ভারতের ছত্তিশগড় হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, ন্যায়বিচার পেতে দেরি হলেও তা কখনো অস্বীকার করা হয় না। মধ্যপ্রদেশ স্টেট ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের একজন বিলিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন জগেশ্বর প্রসাদ অবস্থী।

২০০৪ সালে ১০০ রুপি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। কিন্তু গত ৩৯ বছর ধরে এই মামলার আইনি লড়াই চালিয়ে নিজেকে অবশেষে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন জগেশ্বর প্রসাদ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি বিভু দত্ত গুরু আগের রায় সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়েছেন। কারণ তিনি এই মামলার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ খুঁজে পাননি।

মামলাটি ছিল ১৯৮৬ সালের। সে সময় অভিযোগ করা হয়েছিল, জগেশ্বর প্রসাদ বকেয়া বিল নিষ্পত্তির জন্য কর্মচারী অশোক কুমার বর্মার কাছে ১০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট দেখতে পান এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা মামলায় গুরুতর ত্রুটি ছিল।

নিম্ন আদালতের রায়ের ত্রুটি হিসেবে হাইকোর্ট বলেছেন, ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ দিতে কোনো স্বাধীন সাক্ষী ছিল না। ছায়া সাক্ষী স্বীকার করেছেন, যে তিনি কথোপকথন শোনেননি এবং ঘুষ গ্রহণও দেখেননি।

এ ছাড়া সরকারি সাক্ষীরা ২০-২৫ গজ দূরে ছিলেন, ফলে লেনদেন দেখতে পাওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জব্দ করা ঘুষের টাকা একটি ১০০ টাকার নোট ছিল নাকি দুটি ৫০ টাকার নোট ছিল, তা স্পষ্ট ছিল না।

জগেশ্বর কোর্টে জানান, কথিত ওই ঘটনার সময় তাঁর বিল পাসের কোনো ক্ষমতা ছিল না এবং সেই ক্ষমতা তিনি এক মাস পরে পেয়েছিলেন। আদালত এই যুক্তির সঙ্গে একমত হন যে, শুধুমাত্র ঘুষের টাকা পাওয়া গেলেই অপরাধ প্রমাণিত হয় না, এর পেছনে উদ্দেশ্য ও দাবির প্রমাণ থাকা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি রায় উল্লেখ করে বিচারক বলেন, এই ফাঁদটি ব্যর্থ হয়েছিল। তাই নিম্ন আদালতের সাজা অগ্রহণযোগ্য।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত জগেশ্বর সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। পরে বদলি হন অন্যত্র। ওই সময়ে অর্ধেক বেতনে চাকরি চালাতে হয়েছে তাঁকে। পদোন্নতি হয়নি, বাড়েনি বেতন। সন্তানদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর মানসিক চাপে ভুগে স্ত্রী মারা গেছেন। জগেশ্বর প্রসাদ বলেন, ‘আমি সততার জন্য পরিচিত ছিলাম... কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’

অবসরের পরও তাঁকে পেনশন দেওয়া হয়নি। জীবিকা নির্বাহের জন্য স্কুলের প্রহরীর কাজ করেছেন, করেছেন নানা খণ্ডকালীন চাকরি। আদালতের তারিখ আর শুনানিতেই গেছে যৌবন ও বার্ধক্য। এখন তিনি আর নতুন করে কোনো মামলা লড়ার শক্তি পান না। শুধু বাড়ি মেরামতের জন্য সামান্য আর্থিক সাহায্য চান সরকারের কাছে।

আরও পড়ুন:

দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন বন্ধ

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

 দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন বন্ধ

কেন্টাকিতে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) শনিবার (৮ নভেম্বর) জরুরি নির্দেশ জারি করে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে।

গত মঙ্গলবার ইউপিএস পরিচালিত একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ বিমান লুইসভিল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যায়। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন ক্রু সদস্যও ছিলেন।

দুর্ঘটনার পরপরই ইউপিএস ও ফেডেক্স নিজেদের এমডি-১১ বহর সাময়িকভাবে গ্রাউন্ড করে, আর বিমান প্রস্তুতকারক বোয়িং (যা ১৯৯৭ সালে ম্যাকডনেল ডগলাস অধিগ্রহণ করে) সকল অপারেটরকে একই পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

এফএএ-এর জরুরি নির্দেশে বলা হয়, বিমানটির বাম ইঞ্জিন ও পাইলন উড্ডয়নের সময় আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এই ধরনের ত্রুটি অন্য একই নকশার বিমানে বিদ্যমান বা ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে বলে সংস্থা নির্ধারণ করেছে।

ইউপিএস জানিয়েছে, তারা সতর্কতার স্বার্থে এবং নিরাপত্তার কারণে তাদের এমডি-১১ বহর সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এই মডেল তাদের পুরো বহরের প্রায় ৯ শতাংশ।

ফেডেক্স-ও জানিয়েছে, তারা তাদের ২৮টি এমডি-১১ বিমান চলাচল (মোট ৭০০ বিমানের বহর থেকে) বন্ধ রেখেছে।

উভয় সংস্থাই জানিয়েছে, তারা বোয়িংয়ের সুপারিশ অনুসারে কাজ করছে।

বোয়িং এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এমডি-১১ ফ্রেইটারের তিনটি অপারেটরকেই উড্ডয়ন স্থগিতের পরামর্শ দিয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অতিরিক্ত প্রকৌশল বিশ্লেষণ সম্পন্ন না হয়।

গাজায় গণহত্যা : নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাজায় গণহত্যা : নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিস শুক্রবারের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত ৩৭ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির রয়েছেন। তবে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। খবর আল জাজিরার।

এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‌‌‘গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগ এনেছে তুরস্ক। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় পরিকল্পিতভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছেন তারা।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জন নিহত হয়; ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেয়; ... গাজা অবরোধ করা হয় এবং ভুক্তভোগীদের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় তুরস্ক নির্মিত তুর্কি-ফিলিস্তিনি মৈত্রী হাসপাতালে গত মার্চে ইসরায়েলের বোমা হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে তুরস্কের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিডিয়ন সার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, অত্যাচারী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সর্বশেষ এই পদক্ষেপকে ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল।

অপরদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাকে তুরস্কের জনগণ এবং তাদের নেতাদের আন্তরিক অবস্থানের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ন্যায়বিচার, মানবতা এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তুর্কি জনগণ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রায় এক বছর পর তুরস্কের এই ঘোষণা সামনে এলো।

গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় তুরস্কও যোগ দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছে।

জুমার নামাজ চলাকালে ইন্দোনেশিয়ার মসজিদে বিস্ফোরণ, আহত ৫৪

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জুমার নামাজ চলাকালে ইন্দোনেশিয়ার মসজিদে বিস্ফোরণ, আহত ৫৪

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক স্কুল কমপ্লেক্সের মসজিদে শুক্রবারের (৭ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।

জাকার্তা পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে উত্তর জাকার্তার কেলাপা গাডিং এলাকায়। আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর, এবং অনেকের শরীরে দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।

জাকার্তা শহরের পুলিশপ্রধান আসেপ এদি সুহেরি স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের টেপে এবং ঘটনাস্থলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মসজিদের ভবনে বড় ধরনের ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.