primary-ads

সারাদেশ

আ. লীগের ছায়ায় ধনপতি হতে চান উপজেলা বিএনপি সভাপতি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩০ জুলাই, ২০২৫ ১২:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আ. লীগের ছায়ায় ধনপতি হতে চান উপজেলা বিএনপি সভাপতি

সাধারণ পরিবারের সন্তান মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান অপু ওরফে অপু চাকলাদার অবৈধ পন্থায় হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের বহু নেতার ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতি, প্রতারণা ও অর্থ পাচার করে তিনি অবৈধ সম্পদের মালিক হন। তিনি এবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সাইবার অপরাধ, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ছয়টি মামলা করেছে।

এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, প্রতারণাসহ আরো ২৭টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন। তবে এখানেই শেষ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ভয়াবহ জালিয়াতি ও শুল্ক ফাঁকির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম’-এ প্রবেশ করে তিন হাজার ৬৬১টি চালান অবৈধভাবে খালাস করা হয়। এই কাজে ব্যবহৃত হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড।

আর এই জালিয়াতির মূল হোতা হিসেবে অনুসন্ধানে নাম আসে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অপুর মালিকানাধীন ‘মেসার্স চাকলাদার সার্ভিস’-এর। এর বাইরে ‘এমআর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’-এর নামে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বোতাম ও সেফটিপিন আমদানির নামে এলসি খুলে বেনসন ব্র্যান্ডের সিগারেট আমদানি করা হয়। এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয় ‘এমআর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’। বিতর্কিত এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক অপু ও তাঁর ভাই মিজানুর রহমান দীপু।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তাঁরা সরকারি কর্মকর্তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড চুরি করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের স্বয়ংক্রিয় খালাস ব্যবস্থায় বারবার ঢুকে সরকারি বিধি-বিধান উপেক্ষা করে শত শত কনটেইনার অবৈধভাবে খালাস করেন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্য খালাসের অনুমতিপত্র ভুয়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক দুই কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে দুই বছরে তিন হাজার ৭৭৭টি চালান অবৈধভাবে খালাসের তথ্য-প্রমাণ এনবিআরের হাতে রয়েছে। সূত্র জানায়, এই অপরাধ সংঘটনে একজন প্রভাবশালী শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদ ছিল।

অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মকর্তা শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন এবং ‘হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের’ সুবিধা নিয়েই অপু-দীপুরা যেমন রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তেমনি আওয়ামী মাফিয়াদের অর্থপাচার ও লুটের প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন।

অপু চাকলাদার বিএনপির রাজনীতি এবং তাঁর ভাই মিজানুর রহমান দীপু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক দল ভিন্ন হলেও তাঁদের দুর্নীতির জোট ‘এক’। অভিযোগ আছে, তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ‘মাফিয়ারাজ্য’ গড়েছেন। জানা গেছে, শেখ পরিবারের পরিচয় ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

অপু ও দীপু বর্তমানে ঢাকার অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি ও দামি গাড়ির মালিক। দেশে-বিদেশে রয়েছে বিপুল অর্থ ও বিনিয়োগ। দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকের অনুসন্ধানেও তাঁদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের বৃহত্তম আইনজীবী সংগঠন ঢাকা বারের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন আইনজীবী অপু চাকলাদারের জামিন করাতে গিয়ে আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের আদালতে অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান দীপুর নেতৃত্বে একদল আইনজীবী অপু চাকলাদারের জামিন আবেদন করেন।

কিন্তু মামলার বিষয়বস্তু ও অপরাধের ধরন বিবেচনায় জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই আইনজীবীরা এজলাসে হট্টগোল করেন। বিচারককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন এবং এজলাস ছাড়ার জন্য চাপ দেন।

বিচারকের বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি ঢাকা বারের অ্যাডহক কমিটির ব্যানারে সপ্তাহজুড়ে আদালত বর্জন করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে সময় বিচারকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ ওই বিচারকের পক্ষে পাল্টা বিবৃতি দেয়।

জুলাই গণহত্যা মামলার অন্যতম আসামি মিজানুর রহমান দীপু চাকলাদার অসংখ্য মামলার আসামি। তিনি পলাতক আছেন। তাঁকেও গোপনে আশ্রয় দিচ্ছেন হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার। অভিযোগ আছে, অপু ও দীপু মিলে রাষ্ট্রের অর্থ লুট ও পাচারের সমন্বিত চক্র গড়ে তুলেছেন, যারা প্রভাব বিস্তার করে দেশের রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থার একাধিক স্তরে। লৌহজং উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অপু চাকলাদারের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি শেখ পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে মেগাদুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

লৌহজং উপজেলা বিএনপির ওই নেতারা আরো বলেন, এ রকম আওয়ামী-ঘনিষ্ঠ একজন দুর্নীতিবাজ লোক উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে থাকলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। নতুন প্রজন্ম দুর্নীতিমুক্ত ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব দেখতে চায়। অপু চাকলাদারের মতো ব্যক্তিদের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি কোনো ইতিবাচক কমিটমেন্ট নেই। এদিকে বারবার যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত অপুর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

যশোরে স্বর্ণের বারসহ এক পাচারকারী বিজিবির হাতে আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যশোরে স্বর্ণের বারসহ এক পাচারকারী বিজিবির হাতে আটক

যশোর সদর উপজেলা চুড়ামনকাঠি মুরাদনগর বাজারের পাশে মাহমুদ প্রোপেন রিফুয়েলিং স্টেশনের সামনে থেকে ৪২০ গ্রাম ওজনের দুইটি স্বর্ণবারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৪৯ বিজিবি)। আটক ব্যক্তির নাম জাহিদ মন্ডল (৩৬)। 

তিনি রাজবাড়ী জেলার পদমদী উপজেলার দোপপাড়া গ্রামের হান্নান মন্ডলের ছেলে।এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।যশোরীয় বস্ত্র

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান,, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে যশোর ৪৯ বিজিবির একটি টহল দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন জাহিদকে আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের কোমরে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ৪২০ গ্রাম ওজনের ২টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। 

আটক জাহিদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, ঢাকার ধোলাইপাড় এলাকার একটি চোরাচালান চক্র থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে যশোর হয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৪০ টাকা।

বিএনপির কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন

৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপির কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় দোকান ভাড়া চাওয়ায় মো. জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া (৫৭) নামের এক দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ওই ইউনিয়নের মৃত তালেব আলী ভূঁইয়ার ছেলে।

নিহতের পরিবার জানিয়েছে, বিএনপির পার্টি অফিস হিসেবে ভাড়া দেওয়া দোকানের বকেয়া ভাড়া চাওয়ায় মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মেম্বারসহ ১২ জন মিলে জাহাঙ্গীরকে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

নিহত জাহাঙ্গীরের ছেলে রাসেল বলেন, সকাল ৯টার দিকে আমার বাবা বকেয়া ভাড়া চাইতে গেলে তোতা মেম্বার (৭০), তার ছেলে খোকন (৩৫), রাসেল (৩০), বেণু হাজীর ছেলে আলম (৪৫) ও সাদ্দামসহ ছয়-সাতজন মিলে তাকে ধরে পার্টি অফিসে নিয়ে যান এবং সেখানেই মারধর করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ৫ আগস্টের পর বিএনপির কার্যালয় হিসেবে দোকানটি ভাড়া নেন তোতা মেম্বার। এটি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারীদের অফিস হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সকালে বকেয়া ১০ হাজার টাকা ভাড়া চাইলে তোতা মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘বিএনপির অফিসের কীসের ভাড়া?’ একপর্যায়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যে জাহাঙ্গীর তোতা মেম্বারকে ধাক্কা দিলে, তার অনুসারীরা তাকে পার্টি অফিসে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, একটি দোকানের ভাড়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

হিজলা উপজেলায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩০ জুলাই, ২০২৫ ১৭:১৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হিজলা উপজেলায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

বরিশালের হিজলা উপজেলায় মেমানিয়া ইউনিয়নের বাংলা বাজার নামক স্থানে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা যুবককে উদ্ধার করে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার সময় বাংলা বাজার থেকে দুই দোকানের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিটে মারা যায়।

জানাজায় বিদ্যুৎপৃষ্ট মৃত্যু মুন্না ১৬ চরমেমানিয়া গ্রামের সহিদ বাগার ছেলে। হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শেখ আমিনুল ইসলাম জানান এ সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করতে চায়। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমতি জন্য পাঠানো হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.