২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২৩
নরসিংদীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে টনসিল অপারেশনের সময় রাহা মনি (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে পৌরশহরের হেমেন্দ্র সাহা মোড় এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাহা মনি রায়পুরা উপজেলার হাঁটুভাঙা এলাকার নিজামুল হক ও তানিয়া আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাহা মনি এক মাস ধরে গলায় টনসিলের সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় করের চিকিৎসাপত্রে ওষুধ খেয়েও ভালো হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ডা. তন্ময় করের কাছে রাহা মনিকে নিয়ে গেলে তিনি অপারেশনের কথা বলেন।
পরে ডাক্তারের পরামর্শে টনসিল অপারেশনের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাহা মনিকে। রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেশিয়া দেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুদীপ্ত সাহা এবং অপারেশন করেন নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় কর। কিন্তু অপারেশনের প্রায় এক ঘণ্টা পরই মারা যায় রাহা মনি। পরিবারের দাবি ভুল চিকিৎসায় তাদের একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই চিকিৎসককে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই চিকিৎসককে হেফাজতে নিয়ে নরসিংদী মডেল থানায় নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা নিজামুল হক বলেন, অপারেশন করার পর আমাদের বলেছে ১৫ মিনিট পর জ্ঞান ফিরবে। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও মেয়ের জ্ঞান ফিরছে না। পরে ডাক্তারকে ফোন দিলে ডাক্তার এসে আমার মেয়েকে আবার ওটিতে নিচ্ছে, আমি বারবার যাওয়ার চেষ্টা করলেও আমাকে যেতে দেয়নি তারা।
অনেকক্ষণ পর আমি জোর করে ওটিতে গিয়ে আমার মেয়ের পায়ে হাত দিয়ে দেখি পা ঠান্ডা, তখনি আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ে আর নেই। আমার মরা মেয়েকে ঢাকায় নিতে হবে, আইসিউতে রাখতে হবে বলে আমাদের সঙ্গে তারা ছলচাতুরি করে। আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলেছে।
লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন, অপারেশন করার পর বেডে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শিশুর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে আবার ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয়। শিশুটিকে ঢাকার জন্য রেফার্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যেই মারা যায়।
শিশুটির অপারেশনে সহায়তাকারী অ্যানেস্থেলজিস্ট ডা. সুদীপ্ত সাহা বলেন, ৭টার দিকে শিশুটির টনসিলের অপারেশন সফলভাবে শেষ হওয়ার পর সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটিকে বেডে দেওয়া হয়। পরে আমরা অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে যাই। সাড়ে ৮টার দিকে নার্স ফোন দেয় বাচ্চা শ্বাস নিচ্ছে না এবং কালো হয়ে যাচ্ছে। পরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালে এসে বাচ্চাটিকে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধপত্র দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ডাক্তার হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে বাচ্চাটির জীবন বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি । অ্যানেসথেসিয়া, অপারেশন সবকিছুই সফলভাবে করা হয়েছিল, তাতে কোনো গাফিলতি ছিল না।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, লাইফ কেয়ার হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নরসিংদীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে টনসিল অপারেশনের সময় রাহা মনি (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে পৌরশহরের হেমেন্দ্র সাহা মোড় এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাহা মনি রায়পুরা উপজেলার হাঁটুভাঙা এলাকার নিজামুল হক ও তানিয়া আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাহা মনি এক মাস ধরে গলায় টনসিলের সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় করের চিকিৎসাপত্রে ওষুধ খেয়েও ভালো হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ডা. তন্ময় করের কাছে রাহা মনিকে নিয়ে গেলে তিনি অপারেশনের কথা বলেন।
পরে ডাক্তারের পরামর্শে টনসিল অপারেশনের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাহা মনিকে। রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেশিয়া দেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুদীপ্ত সাহা এবং অপারেশন করেন নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় কর। কিন্তু অপারেশনের প্রায় এক ঘণ্টা পরই মারা যায় রাহা মনি। পরিবারের দাবি ভুল চিকিৎসায় তাদের একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই চিকিৎসককে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই চিকিৎসককে হেফাজতে নিয়ে নরসিংদী মডেল থানায় নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা নিজামুল হক বলেন, অপারেশন করার পর আমাদের বলেছে ১৫ মিনিট পর জ্ঞান ফিরবে। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও মেয়ের জ্ঞান ফিরছে না। পরে ডাক্তারকে ফোন দিলে ডাক্তার এসে আমার মেয়েকে আবার ওটিতে নিচ্ছে, আমি বারবার যাওয়ার চেষ্টা করলেও আমাকে যেতে দেয়নি তারা।
অনেকক্ষণ পর আমি জোর করে ওটিতে গিয়ে আমার মেয়ের পায়ে হাত দিয়ে দেখি পা ঠান্ডা, তখনি আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ে আর নেই। আমার মরা মেয়েকে ঢাকায় নিতে হবে, আইসিউতে রাখতে হবে বলে আমাদের সঙ্গে তারা ছলচাতুরি করে। আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলেছে।
লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন, অপারেশন করার পর বেডে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শিশুর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে আবার ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয়। শিশুটিকে ঢাকার জন্য রেফার্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যেই মারা যায়।
শিশুটির অপারেশনে সহায়তাকারী অ্যানেস্থেলজিস্ট ডা. সুদীপ্ত সাহা বলেন, ৭টার দিকে শিশুটির টনসিলের অপারেশন সফলভাবে শেষ হওয়ার পর সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটিকে বেডে দেওয়া হয়। পরে আমরা অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে যাই। সাড়ে ৮টার দিকে নার্স ফোন দেয় বাচ্চা শ্বাস নিচ্ছে না এবং কালো হয়ে যাচ্ছে। পরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালে এসে বাচ্চাটিকে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধপত্র দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ডাক্তার হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে বাচ্চাটির জীবন বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি । অ্যানেসথেসিয়া, অপারেশন সবকিছুই সফলভাবে করা হয়েছিল, তাতে কোনো গাফিলতি ছিল না।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, লাইফ কেয়ার হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা করেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোমনার আসাদপুর এলাকায় ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন মহসিন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মহসিনের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ওই দিন দুপুরে পুলিশ মহসিনকে আটক করে। একইদিন রাতে ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহসিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বৃহস্পতিবার।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসাদপুর এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোক জড়ো করে একযোগে আসাদপুর এলাকার কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ এবং আবদু শাহ মাজার মোট ৪টি মাজারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আসাদপুর এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য। পুড়ে যাওয়া মাজারের সামনে কথা হয় গ্রেপ্তার যুবকের মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলেকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম।
এরপরও আমাদের মাজার ও বাসা বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হলো? পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারলো না কেন? এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হই। টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। জীবনটা কোনো মতে রক্ষা করেছি।
ওসি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে পোস্ট দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একদল উশৃঙ্খল মানুষ তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এ ঘটনায় ২২০০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা করেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোমনার আসাদপুর এলাকায় ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন মহসিন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মহসিনের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ওই দিন দুপুরে পুলিশ মহসিনকে আটক করে। একইদিন রাতে ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহসিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বৃহস্পতিবার।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসাদপুর এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোক জড়ো করে একযোগে আসাদপুর এলাকার কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ এবং আবদু শাহ মাজার মোট ৪টি মাজারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আসাদপুর এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য। পুড়ে যাওয়া মাজারের সামনে কথা হয় গ্রেপ্তার যুবকের মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলেকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম।
এরপরও আমাদের মাজার ও বাসা বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হলো? পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারলো না কেন? এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হই। টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। জীবনটা কোনো মতে রক্ষা করেছি।
ওসি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে পোস্ট দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একদল উশৃঙ্খল মানুষ তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এ ঘটনায় ২২০০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
দিনাজপুরের বিরামপুরে চুরির টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর জোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম সাজু ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল বিক্রেতা। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর দুজনেই পলাতক। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সাজেদুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজেদুলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। এ বিষয়ে রায়হানকে সন্দেহ হওয়ায় চুরি যাওয়া টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাচাতো ভাই নুরন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।
পরে পরিবারের লোকজন সাজেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে সাজেদুলের মৃত্যু হয়।
মৃতের মা ছায়েদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়হান আমার ছেলে সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। কিন্তু সাজেদুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা তার ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। প্রতিবেশী রায়হান কবিরকে টাকা চুরির বিষয়টি অবগত করলে সে চুরি করেনি বলে জানায়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রায়হান তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার দিনাজপুর নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ি এলাকায় সাজেদুল মারা যান।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুরে চুরির টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর জোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম সাজু ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল বিক্রেতা। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর দুজনেই পলাতক। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সাজেদুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজেদুলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। এ বিষয়ে রায়হানকে সন্দেহ হওয়ায় চুরি যাওয়া টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাচাতো ভাই নুরন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।
পরে পরিবারের লোকজন সাজেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে সাজেদুলের মৃত্যু হয়।
মৃতের মা ছায়েদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়হান আমার ছেলে সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। কিন্তু সাজেদুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা তার ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। প্রতিবেশী রায়হান কবিরকে টাকা চুরির বিষয়টি অবগত করলে সে চুরি করেনি বলে জানায়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রায়হান তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার দিনাজপুর নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ি এলাকায় সাজেদুল মারা যান।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় রশি টেনে ডাকাতির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন উখিয়ার তরুণ মাহমুদুল্লাহ। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল্লাহ উখিয়ার বালুখালীর শিয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাত্র ২২ দিন আগে রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যান। বাবা-মাও আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাদের দুই শিশু সন্তান পুরোপুরি অনাথ হয়ে পড়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমেছে গভীর শোক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় ডাকাতরা রশি টেনে মোটরসাইকেল থামায়। এরপর আরোহীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মাহমুদুল্লাহ। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ডাকাতরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। গভীর রাতে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। তারা দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ডাকাত দলের হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মহাসড়কে ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় রশি টেনে ডাকাতির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন উখিয়ার তরুণ মাহমুদুল্লাহ। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল্লাহ উখিয়ার বালুখালীর শিয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাত্র ২২ দিন আগে রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যান। বাবা-মাও আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাদের দুই শিশু সন্তান পুরোপুরি অনাথ হয়ে পড়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমেছে গভীর শোক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় ডাকাতরা রশি টেনে মোটরসাইকেল থামায়। এরপর আরোহীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মাহমুদুল্লাহ। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ডাকাতরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। গভীর রাতে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। তারা দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ডাকাত দলের হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মহাসড়কে ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.