২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
স্ত্রীর বিলাসী জীবনযাপনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অভিনব এক পথে পা বাড়িয়েছেন বিবিএ পাস করা এক যুবক। ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে বেছে নিয়েছেন চুরির মতো জঘন্য পেশা। স্ত্রীর আকাশছোঁয়া শখ পূরণ করতে গিয়ে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামাজিক সম্মান বিসর্জন দিয়ে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ার এ ঘটনা হতবাক করেছে সবাইকে।
অভিনব এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। পুলিশের জালে সেই ব্যক্তি ধরা পড়ার পর বেরিয়ে আসে এ ঘটনা। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের ট্রান্সপোর্ট নগর এলাকায় একটি চেন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
দিনের আলোয় এক নারীর গলা থেকে চেন ছিনতাই করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের নাম জানতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। পরে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই যুবকের নাম তরুণ পারেক। তিনি রাজস্থানের জমওয়ারমগড় গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বিবিএ পাস করার পর একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তরুণ। একমাস আগেই বিয়ে হয় তার। তবে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর বিলাসবহুল জীবনের চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না তিনি। এরপরই চুরি করার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই জয়পুরে এসে চুরি করতে থাকেন তিনি।
স্ত্রীর বিলাসী জীবনযাপনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অভিনব এক পথে পা বাড়িয়েছেন বিবিএ পাস করা এক যুবক। ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে বেছে নিয়েছেন চুরির মতো জঘন্য পেশা। স্ত্রীর আকাশছোঁয়া শখ পূরণ করতে গিয়ে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সামাজিক সম্মান বিসর্জন দিয়ে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ার এ ঘটনা হতবাক করেছে সবাইকে।
অভিনব এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। পুলিশের জালে সেই ব্যক্তি ধরা পড়ার পর বেরিয়ে আসে এ ঘটনা। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের ট্রান্সপোর্ট নগর এলাকায় একটি চেন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
দিনের আলোয় এক নারীর গলা থেকে চেন ছিনতাই করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের নাম জানতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। পরে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই যুবকের নাম তরুণ পারেক। তিনি রাজস্থানের জমওয়ারমগড় গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বিবিএ পাস করার পর একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তরুণ। একমাস আগেই বিয়ে হয় তার। তবে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর বিলাসবহুল জীবনের চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না তিনি। এরপরই চুরি করার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই জয়পুরে এসে চুরি করতে থাকেন তিনি।
২৯ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩৫
ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ ভেঙে উপত্যাকাটি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া অনাহারে দুই শিশুসহ আরও ১৪ জন মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সময়কার হামলায় মোট তিন শতাধিক বেসামরিক মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে এই তথ্য জানিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এ হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১২০০ জনে পৌঁছেছে।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর মন্ত্রণালয়ের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮০০ জন ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ ভেঙে উপত্যাকাটি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া অনাহারে দুই শিশুসহ আরও ১৪ জন মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সময়কার হামলায় মোট তিন শতাধিক বেসামরিক মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে এই তথ্য জানিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এ হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১২০০ জনে পৌঁছেছে।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর মন্ত্রণালয়ের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮০০ জন ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৩৫
ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙ্গে চারটি গাড়ি মহিসাগর নদীতে পড়ে যাওয়ার মতো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে ভদোদরা জেলায় এ ঘটনায় ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ওই সময় সেতুটি দিয়ে ২টি ট্রাক, ১টি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার পার হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ করে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে এবং গাড়িগুলো নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
জানা যায়, এই সেতুতে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি চলাচল করত। তার মধ্যে ভারী পণ্যবাহী লরি যেমন থাকত, তেমনই ছিল ছোট-বড় গাড়ি। নিত্যদিন যানজট লেগে থাকত। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু দিয়ে যাতায়াত দিন দিন ভয়ের হয়ে উঠছিল। যানজট তো লেগেই থাকত। এখন ওই সেতু সুইসাইড পয়েন্ট! নিত্যদিন দুর্ঘটনা হয়। সেতুর অবস্থা নড়বড়ে। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেননি কেউ।’
বুধবার দুর্ঘটনার সময় যে সব ছবি এবং ভিডিও দেখা গেছে- তা এককথায় ভয়ঙ্কর। দেখা যায়, সেতুর একটি গোটা অংশ নিমেষে ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। একের পর এক গাড়ি নদীতে পড়ে। একটি তেলের ট্যাঙ্কার সেতুর কোণে ছিল, একটুর জন্য এটি রক্ষা পেয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হঠাৎ বিকট আওয়াজ পেলাম। আমার চোখের সামনেই চার-চারটি গাড়ি নদীতে পড়ল। দুটো লরি, একটি বোলেরো এবং একটি পিক আপ ভ্যান সেতু থেকে পড়ল...।’
ভদোদরা প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে সেতু বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। ক্রেন, ডুবুরি লাগানো হয়েছে উদ্ধারকাজে। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ প্যাটেল অবশ্য দাবি করেছেন, রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিয়েছিল সরকার। তিনি বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু তৈরি হয় ১৯৮৫ সালে। প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছে। বিপর্যয়ের আসল কারণ খোঁজা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতু বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২ লাখ করে রুপি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার করে।
ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙ্গে চারটি গাড়ি মহিসাগর নদীতে পড়ে যাওয়ার মতো একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে ভদোদরা জেলায় এ ঘটনায় ৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ওই সময় সেতুটি দিয়ে ২টি ট্রাক, ১টি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার পার হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ করে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে এবং গাড়িগুলো নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
জানা যায়, এই সেতুতে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি চলাচল করত। তার মধ্যে ভারী পণ্যবাহী লরি যেমন থাকত, তেমনই ছিল ছোট-বড় গাড়ি। নিত্যদিন যানজট লেগে থাকত। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর দিকে নজর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু দিয়ে যাতায়াত দিন দিন ভয়ের হয়ে উঠছিল। যানজট তো লেগেই থাকত। এখন ওই সেতু সুইসাইড পয়েন্ট! নিত্যদিন দুর্ঘটনা হয়। সেতুর অবস্থা নড়বড়ে। এ নিয়ে বার বার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেননি কেউ।’
বুধবার দুর্ঘটনার সময় যে সব ছবি এবং ভিডিও দেখা গেছে- তা এককথায় ভয়ঙ্কর। দেখা যায়, সেতুর একটি গোটা অংশ নিমেষে ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। একের পর এক গাড়ি নদীতে পড়ে। একটি তেলের ট্যাঙ্কার সেতুর কোণে ছিল, একটুর জন্য এটি রক্ষা পেয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হঠাৎ বিকট আওয়াজ পেলাম। আমার চোখের সামনেই চার-চারটি গাড়ি নদীতে পড়ল। দুটো লরি, একটি বোলেরো এবং একটি পিক আপ ভ্যান সেতু থেকে পড়ল...।’
ভদোদরা প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ নিয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে সেতু বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। ক্রেন, ডুবুরি লাগানো হয়েছে উদ্ধারকাজে। গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ প্যাটেল অবশ্য দাবি করেছেন, রক্ষণাবেক্ষণে নজর দিয়েছিল সরকার। তিনি বলেন, ‘গম্ভীরা সেতু তৈরি হয় ১৯৮৫ সালে। প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছে। বিপর্যয়ের আসল কারণ খোঁজা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সেতু বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২ লাখ করে রুপি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে। আহতরা পাবেন ৫০ হাজার করে।
০৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:২৮
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-বিরোধী সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চলমান এই সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির হাজার হাজার শরণার্থী পালিয়ে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের কৌশলগত বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেদিন থেকেই চিন রাজ্যের হাজার হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকতে শুরু করেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, চিন রাজ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় ৪ হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে পাড়ি জমিয়েছেন।
মিয়ানমারের চিন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকা বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। মিজোরামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন জনগোষ্ঠীর জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে মিজোরাম।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা মিয়ানমারের নতুন শরণার্থীদের ওই রাজ্যে পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা ৩ হাজার হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাপদাঙ্গা বলেন, ‘‘চিন রাজ্যের এই সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ চলে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের পানি, খাদ্য ও আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি।’’
আর ভারতীয় ওই নিরাপত্তা বলেছেন, রোববার রাত পর্যন্ত রাজ্যের চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামে মোট ৩ হাজার ৯৮০ জন শরণার্থীকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের এই সংখ্যা প্রাথমিক এবং ক্রমাগত তা পরিবর্তন হচ্ছে। শুরুতে অল্প-সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন। তবে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করায় ও সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় আরও বেশিসংখ্যক মানুষ আসতে শুরু করেন। এই বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রকে টেলিফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স।
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-বিরোধী সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চলমান এই সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির হাজার হাজার শরণার্থী পালিয়ে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২ জুলাই মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন রাজ্যের কৌশলগত বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠী চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) ও চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালংরাম (সিডিএফ-এইচ) মাঝে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সেদিন থেকেই চিন রাজ্যের হাজার হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে ঢুকতে শুরু করেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, চিন রাজ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে প্রায় ৪ হাজার শরণার্থী সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে পাড়ি জমিয়েছেন।
মিয়ানমারের চিন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকা বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। মিজোরামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন জনগোষ্ঠীর জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে মিজোরাম।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা মিয়ানমারের নতুন শরণার্থীদের ওই রাজ্যে পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা ৩ হাজার হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাপদাঙ্গা বলেন, ‘‘চিন রাজ্যের এই সংঘর্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষ চলে এসেছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের পানি, খাদ্য ও আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি।’’
আর ভারতীয় ওই নিরাপত্তা বলেছেন, রোববার রাত পর্যন্ত রাজ্যের চাম্পাই জেলার জোখাওথার ও সাইখুমফাই গ্রামে মোট ৩ হাজার ৯৮০ জন শরণার্থীকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের এই সংখ্যা প্রাথমিক এবং ক্রমাগত তা পরিবর্তন হচ্ছে। শুরুতে অল্প-সংখ্যক মানুষ এসেছিলেন। তবে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করায় ও সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় আরও বেশিসংখ্যক মানুষ আসতে শুরু করেন। এই বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রকে টেলিফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সূত্র: রয়টার্স।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.