
০১ জুন, ২০২৫ ১০:১৮
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক
স্থান পেয়েছেন ছাত্রলীগ-ছাত্রসমাজের নেতাকর্মীরাসহ বিতর্কিতরাও
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’
ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক
স্থান পেয়েছেন ছাত্রলীগ-ছাত্রসমাজের নেতাকর্মীরাসহ বিতর্কিতরাও
বরিশালের ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল ঘোষিত সদ্য কমিটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই কমিটিতে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগসহ অনেক অছাত্র স্থান পাওয়ায় পদবঞ্চিত একটি বৃহৎ অংশ সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, যা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন ধরে তোলপাড় চলছে। পাশাপাশি পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের ফেসবুকে তীর্যক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোস এবং ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নবগঠিত কমিটির অনেকে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে আবার কেউ জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন ছাত্রসমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। অনেকের আবার ছাত্রত্বও নেই। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে, যা তামাশার সামিল।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরিশাল সদর ব্যতিত ৯টি উপজেলার ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি ঘোষণা করে বরিশাল জেলা ছাত্রদল। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান এই কমিটি অনুমোদন করেন। মূলত এ কমিটির অনুলিপি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লেই ফেসবুককে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ আছে, বাবুগঞ্জ সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক সাকিব, তিনি উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতাও ছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে দুদিন ধরে নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কমিটি ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা বাবুগঞ্জে কর্মিসভা করেছেন। সেখানে সাকিবের সাথে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এরপরেও সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকেই সভাপতি করা হয়েছে। ফলে ত্যাগিরা উপেক্ষিত রয়েছেন এবং তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সভাপতি সাকিব বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ছাত্রদল নেতার দাবি, কোরামভিত্তিক জটিলতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি আল-আমিনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের পদে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ ওই কলেজের ছাত্র নন বলে জানা গেছে, যা নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
চরকালেখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশের কাছে অভিযোগ করেন, কমিটিতে ত্যাগিদের রাখা হয়নি। এবং সম্পাদক মারুফ বিল্লাহ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, এমনকি তার ছাত্রত্বও নেই।
তবে আল-আমিন বলছেন, ‘তিনি ছাত্রদল করে অনেক নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এবং আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামিও হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমূলে মিথ্যে বলে দাবি করেন আল আমিন।
চরকালেখান আদর্শ ডিগ্রি কলেজে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে জানিয়ে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার কাশেমাবাদ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রদলের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গৌরনদীর আওয়ামী লীগের নেতা হারিছুর রহমান হারিছের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কমিটিতে তিনি স্থান পাওয়া নিয়ে সমালোচনা চলছে। এছাড়া জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ার বিভিন্ন কলেজের নতুন কমিটি নিয়েও একই ধরনের বিতর্ক চলমান রয়েছে।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরিশালে কমিটি ঘোষিত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৮, মেহেন্দিগঞ্জের ৯, হিজলার ৪, বানারীপাড়ার ৫, উজিরপুরের ৭, বাবুগঞ্জের ৪, মুলাদীর ৯, গৌরনদীর ৫ ও আগৈলঝাড়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতেই স্বৈরাচারের দোসর এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও সেখানে জেলার নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে। ফলে এখানে গঠনতন্ত্র উপেক্ষিত রয়েছে, এই বিষয়টি অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তবে কমিটিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেছেন সভাপতি তারেক আল ইমরান এবং সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান।
নেতাদ্বয় রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পক্ষকালের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং মো. আরিফুল ইসলাম বরিশালে অবস্থান করেন এবং তারাই সকলের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেছেন। এমনকি বরিশাল বিএনপির কার্যালয়ে প্রার্থীদের ডেকে সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলার নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন। বলা যায়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে স্বচ্ছতার সাথে, যেখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
কমিটি যদি স্বচ্ছতার সাথে দেওয়া হয় তাহলে এত বিতর্ক কেনো, এমন প্রশ্নে উত্তরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান জানান, এক সঙ্গে এতগুলো কমিটি ঘোষণার অতীত উদাহরণ নেই বললেই চলে। ৭০০ কর্মীকে এক সাথে ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অনেকে বাদ পড়েছেন। তারাই সম্ভবত ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে নেতিবাচক পোস্ট করে চলছেন। কিন্তু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রূপ স্বজনপ্রীতি বা অনিয়ম করা হয়নি।’

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হঠাৎ করেই বরিশালে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। ফলে জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এবং বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার মো. রাফি।
তিনি আরও জানান, এ বছর এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক। কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।
এদিকে বরিশালের উপজেলাগুলোতে সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। সকালে পুরো জেলা ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক কবির হোসেন বলেন, আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে। তবে ১০টার পর সূর্যের আলো দেখা গেলেও হালকা বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে।
বরিশাল নতুন বাজারের ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা মজিবুর বলেন, সকালে ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকায় গ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেরি হয়ে গেছে। তাই বেচাকেনা কমে গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৩৬
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তাঁর পক্ষ থেকে এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আসমা উল হুসনার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বুধবার পূর্বাহ্নে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে আসা ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বরিশাল-৩ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক এবি পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সুজন তালুকদার এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী। এসময় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আজাদ সজীব ও রাজীব খানসহ এবি পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জি.এম রাব্বী বলেন, 'দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর না হয়ে বরং সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। শরীফ ওসমান হাদির মতো কোনো প্রার্থী যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনার শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন তথা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে কার্যকর নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বপ্রথম ওসমান হাদির খুনিচক্রের সকলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারের সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে।'

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:০৮
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস
মর্যাদার আসন বরিশাল-৫ (সদর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের আসন বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার বক্তব্য, এই আসনের সঙ্গে তাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয় জড়িয়ে আছে। অন্য কেউ এই আসন চাইতে পারবে এমন প্রশ্নই ওঠে না।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বরিশাল-৫ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালকে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে একই আসনে ফয়জুল করিম নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘বরিশাল-৫ আমাদের আমিরের আসন। এখানে আমাদের জন্ম, দাদার জন্ম, বাবার জন্ম। এটি অবশ্যই আমাদের থাকবে। ৮ দলীয় জোটের অন্য শরিকরা এ আসন চাইবে এমন প্রশ্নই আসে না।’
তিনি উল্টো প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি কি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের আসনটি চাইতে পারি? না, সেটা সম্ভব নয়।’
আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ‘জামায়াতসহ সমমনা আট দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। যে আসনে যে দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে, সেই আসন সেই দলকেই দেওয়া হবে। দলভিত্তিক আসন বণ্টনের পর সংশ্লিষ্ট দলই তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবে।’
ফয়জুল করিম আরও বলেন, ‘দল চাইলে আমি বরিশাল-৫ ও বরিশাল-৬ আসনের যেকোনো একটিতে বা উভয় আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখনো সমান সুযোগের মাঠ তৈরি হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস ও হুমকির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ফয়জুল করিম। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি। সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ফয়জুল করিম লাঙল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ১১.৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে হাতপাখা প্রতীকে ভোটে লড়েন ফয়জুল করিম। তিনি ১১.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও তৃতীয় হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান ফয়জুল করিম। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান ২৭,০৬২ ভোট। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ৮৭,৮০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ফয়জুল করিমের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৩,৮২৮।
এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে বরিশাল সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাস নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল জেলা আমির আবুল হাসানাত মো. নুরুল্লাহ পান ৫,৭০৪ ভোট।
পরে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বরিশাল-৫ আসনে অংশ নেন। তিনি পান ৪,৬৬৭ ভোট। ১৯৯৬ সালের পর এই আসনে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত।
বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইসলামী সমমনা ৮ দলীয় জোটের মধ্যে এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। দলীয় সিদ্ধান্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বরিশাল টাইমস

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.