২৭ জুন, ২০২৫ ১৪:৪০
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামী এজাবুল হক বুলি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রশিবির হত্যায় কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কলেজে উপস্থিত না হলেও বেতন তুলেছিলেন নিয়মিতই। এদিকে, দীর্ঘ অনুপস্থিতির মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমন অবস্থায় সেই পলাতক অধ্যক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাবুল হক বুলি দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পরে হঠাৎ উপস্থিত হয়েছেন কলেজে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে স্বপদে বসাতে কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান।
সেই আ.লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ হিসেবে বসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। এমনকি এনিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে সভাও করেছেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এসময় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে সকলের উপস্থিতিতে কয়েকজন শিক্ষককে উচ্চস্বরে ধমকও দেন তিনি।
কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ০৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেন, সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি।
এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে এই মামলায় জামিন পান এজাবুল হক বুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন কলেজ শিক্ষক ও এক কর্মচারী বলেন, গত ১০ মাস থেকে পলাতক ছিলেন আ.লীগ নেতা অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি। কিন্তু বেতন তুলেছিলেন ঠিকই। এখন হঠাৎ করেই গতকাল (২৫ জুন) কয়েক মিনিটের জন্য কলেজে এসেছিলেন।
আজকে (২৬ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজে আসেন। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে কলেজে উপস্থিত হন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এমনকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে পরীক্ষা কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বলেন। মূলত তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।
সভাচলাকালীন সময়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের ধমকও দেন সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান। এসময় তিনি তার কথামতো কমিটি গঠন করে চলার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন। ভিডিও ফুটেজেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে, আ.লীগ নেতা ও শিবির হত্যা মামলার আসামিকে অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা বাধায় বসাতে জামায়াত নেতার এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষকরা।
কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সভা শেষে বের হওয়ার সময় এবিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান বলেন, এনিয়ে এই কলেজে আসা তিনবার হয়েছে। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে।
তাই পরিবেশ ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করার চেষ্টা করছি। এমনকি তাকে (অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি) তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে স্বপদে বাসাতে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ অস্বীকার করেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান।
এনিয়ে সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি বলেন, আমাকে পদে বসাতে নয়, তিনি এলাকার একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের পরিবেশ ঠিক করতেই এসেছিলেন।
দীর্ঘদিন কেন অনুপস্থিত ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে মব তৈরির কারণে আসতে পারিনি। আর ২০১৮ সালের পর থেকে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামী এজাবুল হক বুলি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রশিবির হত্যায় কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কলেজে উপস্থিত না হলেও বেতন তুলেছিলেন নিয়মিতই। এদিকে, দীর্ঘ অনুপস্থিতির মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমন অবস্থায় সেই পলাতক অধ্যক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাবুল হক বুলি দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পরে হঠাৎ উপস্থিত হয়েছেন কলেজে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে স্বপদে বসাতে কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান।
সেই আ.লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ হিসেবে বসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। এমনকি এনিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে সভাও করেছেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এসময় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে সকলের উপস্থিতিতে কয়েকজন শিক্ষককে উচ্চস্বরে ধমকও দেন তিনি।
কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ০৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেন, সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি।
এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে এই মামলায় জামিন পান এজাবুল হক বুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন কলেজ শিক্ষক ও এক কর্মচারী বলেন, গত ১০ মাস থেকে পলাতক ছিলেন আ.লীগ নেতা অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি। কিন্তু বেতন তুলেছিলেন ঠিকই। এখন হঠাৎ করেই গতকাল (২৫ জুন) কয়েক মিনিটের জন্য কলেজে এসেছিলেন।
আজকে (২৬ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজে আসেন। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে কলেজে উপস্থিত হন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এমনকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে পরীক্ষা কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বলেন। মূলত তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।
সভাচলাকালীন সময়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের ধমকও দেন সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান। এসময় তিনি তার কথামতো কমিটি গঠন করে চলার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন। ভিডিও ফুটেজেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে, আ.লীগ নেতা ও শিবির হত্যা মামলার আসামিকে অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা বাধায় বসাতে জামায়াত নেতার এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষকরা।
কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সভা শেষে বের হওয়ার সময় এবিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান বলেন, এনিয়ে এই কলেজে আসা তিনবার হয়েছে। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে।
তাই পরিবেশ ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করার চেষ্টা করছি। এমনকি তাকে (অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি) তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে স্বপদে বাসাতে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ অস্বীকার করেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান।
এনিয়ে সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি বলেন, আমাকে পদে বসাতে নয়, তিনি এলাকার একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের পরিবেশ ঠিক করতেই এসেছিলেন।
দীর্ঘদিন কেন অনুপস্থিত ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে মব তৈরির কারণে আসতে পারিনি। আর ২০১৮ সালের পর থেকে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা করেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোমনার আসাদপুর এলাকায় ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন মহসিন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মহসিনের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ওই দিন দুপুরে পুলিশ মহসিনকে আটক করে। একইদিন রাতে ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহসিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বৃহস্পতিবার।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসাদপুর এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোক জড়ো করে একযোগে আসাদপুর এলাকার কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ এবং আবদু শাহ মাজার মোট ৪টি মাজারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আসাদপুর এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য। পুড়ে যাওয়া মাজারের সামনে কথা হয় গ্রেপ্তার যুবকের মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলেকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম।
এরপরও আমাদের মাজার ও বাসা বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হলো? পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারলো না কেন? এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হই। টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। জীবনটা কোনো মতে রক্ষা করেছি।
ওসি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে পোস্ট দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একদল উশৃঙ্খল মানুষ তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এ ঘটনায় ২২০০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা করেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোমনার আসাদপুর এলাকায় ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন মহসিন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মহসিনের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ওই দিন দুপুরে পুলিশ মহসিনকে আটক করে। একইদিন রাতে ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহসিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বৃহস্পতিবার।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসাদপুর এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোক জড়ো করে একযোগে আসাদপুর এলাকার কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ এবং আবদু শাহ মাজার মোট ৪টি মাজারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আসাদপুর এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য। পুড়ে যাওয়া মাজারের সামনে কথা হয় গ্রেপ্তার যুবকের মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলেকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম।
এরপরও আমাদের মাজার ও বাসা বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হলো? পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারলো না কেন? এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হই। টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। জীবনটা কোনো মতে রক্ষা করেছি।
ওসি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে পোস্ট দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একদল উশৃঙ্খল মানুষ তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এ ঘটনায় ২২০০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
দিনাজপুরের বিরামপুরে চুরির টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর জোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম সাজু ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল বিক্রেতা। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর দুজনেই পলাতক। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সাজেদুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজেদুলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। এ বিষয়ে রায়হানকে সন্দেহ হওয়ায় চুরি যাওয়া টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাচাতো ভাই নুরন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।
পরে পরিবারের লোকজন সাজেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে সাজেদুলের মৃত্যু হয়।
মৃতের মা ছায়েদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়হান আমার ছেলে সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। কিন্তু সাজেদুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা তার ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। প্রতিবেশী রায়হান কবিরকে টাকা চুরির বিষয়টি অবগত করলে সে চুরি করেনি বলে জানায়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রায়হান তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার দিনাজপুর নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ি এলাকায় সাজেদুল মারা যান।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুরে চুরির টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর জোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম সাজু ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল বিক্রেতা। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর দুজনেই পলাতক। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সাজেদুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজেদুলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। এ বিষয়ে রায়হানকে সন্দেহ হওয়ায় চুরি যাওয়া টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাচাতো ভাই নুরন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।
পরে পরিবারের লোকজন সাজেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে সাজেদুলের মৃত্যু হয়।
মৃতের মা ছায়েদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়হান আমার ছেলে সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। কিন্তু সাজেদুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা তার ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। প্রতিবেশী রায়হান কবিরকে টাকা চুরির বিষয়টি অবগত করলে সে চুরি করেনি বলে জানায়।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রায়হান তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার দিনাজপুর নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ি এলাকায় সাজেদুল মারা যান।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় রশি টেনে ডাকাতির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন উখিয়ার তরুণ মাহমুদুল্লাহ। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল্লাহ উখিয়ার বালুখালীর শিয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাত্র ২২ দিন আগে রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যান। বাবা-মাও আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাদের দুই শিশু সন্তান পুরোপুরি অনাথ হয়ে পড়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমেছে গভীর শোক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় ডাকাতরা রশি টেনে মোটরসাইকেল থামায়। এরপর আরোহীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মাহমুদুল্লাহ। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ডাকাতরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। গভীর রাতে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। তারা দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ডাকাত দলের হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মহাসড়কে ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় রশি টেনে ডাকাতির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন উখিয়ার তরুণ মাহমুদুল্লাহ। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মাহমুদুল্লাহ উখিয়ার বালুখালীর শিয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাত্র ২২ দিন আগে রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যান। বাবা-মাও আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাদের দুই শিশু সন্তান পুরোপুরি অনাথ হয়ে পড়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমেছে গভীর শোক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় ডাকাতরা রশি টেনে মোটরসাইকেল থামায়। এরপর আরোহীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মাহমুদুল্লাহ। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ডাকাতরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। গভীর রাতে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। তারা দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ডাকাত দলের হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মহাসড়কে ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.