২৭ জুন, ২০২৫ ১৪:৪০
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামী এজাবুল হক বুলি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রশিবির হত্যায় কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কলেজে উপস্থিত না হলেও বেতন তুলেছিলেন নিয়মিতই। এদিকে, দীর্ঘ অনুপস্থিতির মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমন অবস্থায় সেই পলাতক অধ্যক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাবুল হক বুলি দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পরে হঠাৎ উপস্থিত হয়েছেন কলেজে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে স্বপদে বসাতে কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান।
সেই আ.লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ হিসেবে বসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। এমনকি এনিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে সভাও করেছেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এসময় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে সকলের উপস্থিতিতে কয়েকজন শিক্ষককে উচ্চস্বরে ধমকও দেন তিনি।
কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ০৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেন, সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি।
এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে এই মামলায় জামিন পান এজাবুল হক বুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন কলেজ শিক্ষক ও এক কর্মচারী বলেন, গত ১০ মাস থেকে পলাতক ছিলেন আ.লীগ নেতা অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি। কিন্তু বেতন তুলেছিলেন ঠিকই। এখন হঠাৎ করেই গতকাল (২৫ জুন) কয়েক মিনিটের জন্য কলেজে এসেছিলেন।
আজকে (২৬ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজে আসেন। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে কলেজে উপস্থিত হন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এমনকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে পরীক্ষা কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বলেন। মূলত তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।
সভাচলাকালীন সময়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের ধমকও দেন সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান। এসময় তিনি তার কথামতো কমিটি গঠন করে চলার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন। ভিডিও ফুটেজেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে, আ.লীগ নেতা ও শিবির হত্যা মামলার আসামিকে অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা বাধায় বসাতে জামায়াত নেতার এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষকরা।
কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সভা শেষে বের হওয়ার সময় এবিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান বলেন, এনিয়ে এই কলেজে আসা তিনবার হয়েছে। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে।
তাই পরিবেশ ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করার চেষ্টা করছি। এমনকি তাকে (অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি) তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে স্বপদে বাসাতে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ অস্বীকার করেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান।
এনিয়ে সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি বলেন, আমাকে পদে বসাতে নয়, তিনি এলাকার একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের পরিবেশ ঠিক করতেই এসেছিলেন।
দীর্ঘদিন কেন অনুপস্থিত ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে মব তৈরির কারণে আসতে পারিনি। আর ২০১৮ সালের পর থেকে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামী এজাবুল হক বুলি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রশিবির হত্যায় কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কলেজে উপস্থিত না হলেও বেতন তুলেছিলেন নিয়মিতই। এদিকে, দীর্ঘ অনুপস্থিতির মধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানান কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমন অবস্থায় সেই পলাতক অধ্যক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাবুল হক বুলি দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পরে হঠাৎ উপস্থিত হয়েছেন কলেজে। অভিযোগ উঠেছে, তাকে স্বপদে বসাতে কলেজে উপস্থিত হয়েছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান।
সেই আ.লীগ নেতাকে অধ্যক্ষ হিসেবে বসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। এমনকি এনিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে সভাও করেছেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এসময় তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে সকলের উপস্থিতিতে কয়েকজন শিক্ষককে উচ্চস্বরে ধমকও দেন তিনি।
কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ০৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেন, সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি।
এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে এই মামলায় জামিন পান এজাবুল হক বুলি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন কলেজ শিক্ষক ও এক কর্মচারী বলেন, গত ১০ মাস থেকে পলাতক ছিলেন আ.লীগ নেতা অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি। কিন্তু বেতন তুলেছিলেন ঠিকই। এখন হঠাৎ করেই গতকাল (২৫ জুন) কয়েক মিনিটের জন্য কলেজে এসেছিলেন।
আজকে (২৬ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজে আসেন। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে কলেজে উপস্থিত হন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এমনকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে পরীক্ষা কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বলেন। মূলত তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।
সভাচলাকালীন সময়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের ধমকও দেন সাবেক এমপি ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান। এসময় তিনি তার কথামতো কমিটি গঠন করে চলার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেন। ভিডিও ফুটেজেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এদিকে, আ.লীগ নেতা ও শিবির হত্যা মামলার আসামিকে অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা বাধায় বসাতে জামায়াত নেতার এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ শিক্ষকরা।
কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে সভা শেষে বের হওয়ার সময় এবিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান বলেন, এনিয়ে এই কলেজে আসা তিনবার হয়েছে। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে।
তাই পরিবেশ ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করার চেষ্টা করছি। এমনকি তাকে (অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি) তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। আ.লীগ নেতা এজাবুল হক বুলিকে স্বপদে বাসাতে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ অস্বীকার করেন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান।
এনিয়ে সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি বলেন, আমাকে পদে বসাতে নয়, তিনি এলাকার একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের পরিবেশ ঠিক করতেই এসেছিলেন।
দীর্ঘদিন কেন অনুপস্থিত ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে মব তৈরির কারণে আসতে পারিনি। আর ২০১৮ সালের পর থেকে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৫৭
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫২
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও জনসভায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় খলিশাউর ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মো. হুমায়ুন কবির (৩৬) উপজেলার খলিশাউর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান ছোট্ট মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের খলিশাউর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে @Humayun Kabir নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এনসিপির সমাবেশ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সক্রিয় হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী খান পাঠান বলেন, সামাজিক মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট ও সমাবেশে নাশকতার পরিকল্পনার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে এনসিপির সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছে। তবে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হুমায়ুন কবিরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৪
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনেকেই উপস্থিত। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বর। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর বাজার এলাকায়। রোববার (২৭ জুলাই) শাহ আলম (২২) নামে ওই যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। নিহত শাহ আলম নব্যচর গ্রামের শাহ জামাল মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহ আলমের বিয়ে উপলক্ষে তার বাবা শাহ জামাল সব আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতী মেহমান উপস্থিত ছিলেন। এরই মধ্যে ঘরের সিলিং ফ্যানের নষ্ট সুইচ মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় নব্যচর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাহ আলমের চাচাতো ভাই শাকিল মিয়া বলেন, ভাই কারেন্টের কাজ জানত, তাই নিজের ফ্যানের সুইচ নিজেই ঠিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই কারেন্টে শক খেয়ে মারা যায়। বিয়ের দাওয়াত খেতে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র খাদিজা আক্তার কেয়া পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে কেয়া লেখেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ (শনিবার) থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আপনারা সবাই জানেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি লেখেন, দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। খাদিজা আক্তার কেয়া বলেন, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির পদযাত্রায় পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন সামনের সারিতে ছিল।
যারা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল। এ বিষয়গুলো আমাদের শহীদের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। এগুলো দেখে এ প্ল্যাটফর্মে আমি থাকতে চাচ্ছি না। শনিবার ফেসবুকে সব স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আজ রোববার লিখিত পদত্যাগপত্র দিব।
তিনি আরও বলেন, পোস্টে সব স্পষ্ট করা হয়েছে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে ও সংস্কারের পক্ষে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.