১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৫৯
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি, মগড়সরই, খোজাখালী, দরিরচর, তিমিরকাঠি, সিকদারপাড়া, কাঠিপাড়া, বহরমপুরসহ ১০টিরও বেশি গ্রামে ভয়াবহভাবে ভাঙছে সুগন্ধা নদী।
ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছে বসতভিটা, ফসলি জমি, পানের বরজ ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নদীপারের মানুষ মারাত্মক অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
সুগন্ধা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০০ মিটার। এটি বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার মধ্যে প্রবাহিত প্রধান নৌপথ। বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি ও জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর তীর দুর্বল হয়ে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীভাঙনে ইতিমধ্যে শত শত কোটি টাকার জমি ও সম্পদ বিলীন হয়েছে। সরই গ্রামের মাকসুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে আমার ছেলেরা অন্য জায়গায় বাড়ি করেছিল, সেটিও নদীর পেটে গেছে।
এমনকি স্বামীর কবরটাও নদীর মধ্যে চলে গেছে।’ কাঠিপাড়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ‘আগে এখানে ২০-৩০টি বসতবাড়ি ছিল, এখন মাত্র দু-তিনটি পরিবার বেঁচে আছে। নদী আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর দুর্বল ও গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে স্রোতের চাপ বেড়ে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। যদিও নলছিটি উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা করে থাকে, তবে তা বন্ধ হচ্ছে না। রাতের আঁধারে অবৈধ বালু উত্তোলনের কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। দেখে মনে হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তা করা হয়।
একই এলাকার বাসিন্দা নিখিল দাস বলেন, ‘৫০ বছর ধরে নদীভাঙন চলতে আছে, এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শত শত পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতঘর, গাছপালা, পানের বরজ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।’
বারইকরন গ্রামের হ্যাপী বেগম বলেন, ‘ঘর গোছাতে গোছাতে নদী এসে মেঝেতে স্পর্শ করছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না।’ মগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মাঝি, দুলাল মাঝি, নূর আলম খান, ফরিদসহ অনেকে জানান, বাপ-দাদার বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি সরকার এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন, নদীর ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমরা অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি, কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি নেই, শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ‘নলছিটি ও ঝালকাঠির ভাঙন এলাকা নিয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। অন্যান্য ভাঙন স্থানে জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি, মগড়সরই, খোজাখালী, দরিরচর, তিমিরকাঠি, সিকদারপাড়া, কাঠিপাড়া, বহরমপুরসহ ১০টিরও বেশি গ্রামে ভয়াবহভাবে ভাঙছে সুগন্ধা নদী।
ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছে বসতভিটা, ফসলি জমি, পানের বরজ ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নদীপারের মানুষ মারাত্মক অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
সুগন্ধা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০০ মিটার। এটি বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার মধ্যে প্রবাহিত প্রধান নৌপথ। বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি ও জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর তীর দুর্বল হয়ে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীভাঙনে ইতিমধ্যে শত শত কোটি টাকার জমি ও সম্পদ বিলীন হয়েছে। সরই গ্রামের মাকসুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে আমার ছেলেরা অন্য জায়গায় বাড়ি করেছিল, সেটিও নদীর পেটে গেছে।
এমনকি স্বামীর কবরটাও নদীর মধ্যে চলে গেছে।’ কাঠিপাড়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ‘আগে এখানে ২০-৩০টি বসতবাড়ি ছিল, এখন মাত্র দু-তিনটি পরিবার বেঁচে আছে। নদী আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর দুর্বল ও গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে স্রোতের চাপ বেড়ে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। যদিও নলছিটি উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা করে থাকে, তবে তা বন্ধ হচ্ছে না। রাতের আঁধারে অবৈধ বালু উত্তোলনের কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। দেখে মনে হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তা করা হয়।
একই এলাকার বাসিন্দা নিখিল দাস বলেন, ‘৫০ বছর ধরে নদীভাঙন চলতে আছে, এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শত শত পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতঘর, গাছপালা, পানের বরজ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।’
বারইকরন গ্রামের হ্যাপী বেগম বলেন, ‘ঘর গোছাতে গোছাতে নদী এসে মেঝেতে স্পর্শ করছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না।’ মগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মাঝি, দুলাল মাঝি, নূর আলম খান, ফরিদসহ অনেকে জানান, বাপ-দাদার বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি সরকার এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন, নদীর ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমরা অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি, কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি নেই, শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ‘নলছিটি ও ঝালকাঠির ভাঙন এলাকা নিয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। অন্যান্য ভাঙন স্থানে জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫৯
জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। ঝালকাঠি -২ (ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি) আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর জামায়াত নেতা শেখ নেয়ামুল করিমের নাম ঘোষণা করেন দলটি।ইতিমধ্যে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন তিনি।এসময় উপজেলা জামায়েত ও ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমপি প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম বলেন,ঝালকাঠি একটি নদী বন্দর প্রাচীন বানিজ্যিক এলাকা। এই ঐতিহ্যের আলোকে এখানে উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি। ঝালকাঠিতে অনেক রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা রয়েছে, এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নদী ভাঙন। এ এলাকায় নদী ভাঙন রোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।প্রথম কথা হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতিটি পয়সার হিসাব জনগণের কাছে পৌছাবো যাতে করে কোন রকম অন্যায় দুর্নীতি বিন্দুমাত্র হওয়ার কোন আশংকা না থাকে।
আমাদের সমাজে যে চাঁদাবাজ রয়েছে তাদের চাঁদাবাজী বন্ধ করা হবে। এছাড়া আমাদের ছাত্র সমাজ নেশার সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তাছাড়া অনেক বেকার যুবক রয়েছে এদের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। আমরা বেকার যুবকদের কর্মের হাতে রুপান্তরিত করতে চাই।আমি ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি আশাকরি তারা আমাদের পাশে থাকবেন।
জাতীয় নির্বাচনের জন্য মাঠ গোছাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। ঝালকাঠি -২ (ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি) আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর জামায়াত নেতা শেখ নেয়ামুল করিমের নাম ঘোষণা করেন দলটি।ইতিমধ্যে তিনি গণসংযোগ শুরু করেছেন।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন তিনি।এসময় উপজেলা জামায়েত ও ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমপি প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম বলেন,ঝালকাঠি একটি নদী বন্দর প্রাচীন বানিজ্যিক এলাকা। এই ঐতিহ্যের আলোকে এখানে উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি। ঝালকাঠিতে অনেক রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা রয়েছে, এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নদী ভাঙন। এ এলাকায় নদী ভাঙন রোধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।প্রথম কথা হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতিটি পয়সার হিসাব জনগণের কাছে পৌছাবো যাতে করে কোন রকম অন্যায় দুর্নীতি বিন্দুমাত্র হওয়ার কোন আশংকা না থাকে।
আমাদের সমাজে যে চাঁদাবাজ রয়েছে তাদের চাঁদাবাজী বন্ধ করা হবে। এছাড়া আমাদের ছাত্র সমাজ নেশার সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তাছাড়া অনেক বেকার যুবক রয়েছে এদের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। আমরা বেকার যুবকদের কর্মের হাতে রুপান্তরিত করতে চাই।আমি ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি আশাকরি তারা আমাদের পাশে থাকবেন।
২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:০৬
ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্যবসায়ীর স্ত্রী সাথে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ব্যবসারী নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি ইছাপাশা এলাকার নূরে আলম হাওলাদারের ছেলে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে গোদন্ডা এলাকার কুদ্দুস হাওলাদারের মেয়ে আমিনা ওরফে মিতুর সাথে ওই ব্যবসায়ীর বিবাহ হয়।তাদের দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে।বর্তমানে তারা বাহাদুরপুর এলাকায় নতুন বাড়িতে থাকতেন।
ওই বাড়িতে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল গৃহ শিক্ষক হিসেবে থাকতেন।ওই ব্যবাসয়ী বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন এলাকায় যেতেন এই সুযোগে তার স্ত্রীর সাথে ওই শিক্ষকের সম্পর্ক হয়ে উঠে।বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে বাসা থেকে বের করে দিলে তার স্ত্রীও তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এসময় তার ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ন নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম বলেন,আমাদের সংসার ভালোই চলছিলো ওই শিক্ষক ছয় মাস ধরে আমার বাসায় আসার পর থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমার দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের কি হবে?
স্ত্রী আমিনা বলেন,আমার বাবা বাড়ি থেকে যে সোনা গয়না দিছে সেগুলো আমি নিয়ে এসেছি। তার টাকা পয়সা ও সোনা গয়না নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল হাওলাদার বলেন, তারা সন্দেহভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব বলছে। এগুলোর সাথে আমি কখনো জড়িত ছিলাম না।
বিজি ইউনিয়ন একাডেমির প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দোলন মুন্সি বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ওই শিক্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্যবসায়ীর স্ত্রী সাথে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী ব্যবসারী নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি ইছাপাশা এলাকার নূরে আলম হাওলাদারের ছেলে। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে গোদন্ডা এলাকার কুদ্দুস হাওলাদারের মেয়ে আমিনা ওরফে মিতুর সাথে ওই ব্যবসায়ীর বিবাহ হয়।তাদের দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে।বর্তমানে তারা বাহাদুরপুর এলাকায় নতুন বাড়িতে থাকতেন।
ওই বাড়িতে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল গৃহ শিক্ষক হিসেবে থাকতেন।ওই ব্যবাসয়ী বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন এলাকায় যেতেন এই সুযোগে তার স্ত্রীর সাথে ওই শিক্ষকের সম্পর্ক হয়ে উঠে।বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে বাসা থেকে বের করে দিলে তার স্ত্রীও তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। এসময় তার ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ন নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম বলেন,আমাদের সংসার ভালোই চলছিলো ওই শিক্ষক ছয় মাস ধরে আমার বাসায় আসার পর থেকে ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমার দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের কি হবে?
স্ত্রী আমিনা বলেন,আমার বাবা বাড়ি থেকে যে সোনা গয়না দিছে সেগুলো আমি নিয়ে এসেছি। তার টাকা পয়সা ও সোনা গয়না নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে বিজি ইউনিয়ন একাডেমির সহকারী শিক্ষক রাসেল হাওলাদার বলেন, তারা সন্দেহভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব বলছে। এগুলোর সাথে আমি কখনো জড়িত ছিলাম না।
বিজি ইউনিয়ন একাডেমির প্রধান শিক্ষক আলী হায়দার বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দোলন মুন্সি বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ওই শিক্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
২২ আগস্ট, ২০২৫ ২০:১৫
"স্বর্নালী সম্ভাবে সাজাই জীবন" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝালকাঠির সুগন্ধা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা মাওলানা মিরাজুল ইসলাম, পৌর উপদেষ্টা মাওলানা মনিরুজ্জামান।
সকাল ১০টায় মাওলানা কাওছার হামিদীর কুরআন অধ্যায়নের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়ে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল হক'র সভাপতিত্বে পরিচালক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সংগীতের আদ্যপান্ত নিয়ে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন বাংলাদেশ সংগীত কেন্দ্রের অফিস সম্পাদক এবং গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মাসুদ রানা।
নাটক ও অভিনয়ের মৌলিক তত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের অফিস সম্পাদক বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা মনিরুল ইসলাম। সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সাহিত্য সম্পাদক, বরিশাল অঞ্চল তত্বাবধায়ক, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক ইয়াসিন মাহমুদ।
সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন তৈরির কলাকৌশল বিষয়ে আলোচনা করেন বরিশাল সংস্কৃতি কেন্দ্র ও দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দিন।
মনোমুগ্ধকর কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আশরাফুল ইসলাম। এসময় সুগন্ধা, সংশপ্তক, বিষখালী, প্রজাপতি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
সকাল ৯টায় কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়।
"স্বর্নালী সম্ভাবে সাজাই জীবন" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝালকাঠির সুগন্ধা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা মাওলানা মিরাজুল ইসলাম, পৌর উপদেষ্টা মাওলানা মনিরুজ্জামান।
সকাল ১০টায় মাওলানা কাওছার হামিদীর কুরআন অধ্যায়নের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়ে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল হক'র সভাপতিত্বে পরিচালক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সংগীতের আদ্যপান্ত নিয়ে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন বাংলাদেশ সংগীত কেন্দ্রের অফিস সম্পাদক এবং গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মাসুদ রানা।
নাটক ও অভিনয়ের মৌলিক তত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের অফিস সম্পাদক বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা মনিরুল ইসলাম। সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের সাহিত্য সম্পাদক, বরিশাল অঞ্চল তত্বাবধায়ক, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক ইয়াসিন মাহমুদ।
সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন তৈরির কলাকৌশল বিষয়ে আলোচনা করেন বরিশাল সংস্কৃতি কেন্দ্র ও দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দিন।
মনোমুগ্ধকর কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আশরাফুল ইসলাম। এসময় সুগন্ধা, সংশপ্তক, বিষখালী, প্রজাপতি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
সকাল ৯টায় কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.