https://joinnavy.navy.mil.bd/

বিশেষ সংবাদ

পুলিশ ম্যানেজ করে বরিশাল থেকে বছরে শত কোটি টাকার জাটকা পাচার (!)

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ মে, ২০২৫ ২৩:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পুলিশ ম্যানেজ করে বরিশাল থেকে বছরে শত কোটি টাকার জাটকা পাচার (!)

বাহিনীপ্রধান টুটুল ৫ আগস্টের পরে পালিয়ে গেলেও বাণিজ্য ধরে রাখতে মরিয়া তার অনুসারীরা। অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিচ্ছে ওয়ার্ডপর্যায়ের দুই বিএনপি নেতা।

বরিশালের তালতলী বাজারের আধিপত্য ধরে রাখতে আওয়ামী সন্ত্রাসী টুটুল বাহিনী ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই বাহিনী সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজার থেকে মৎস্য সম্পদ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাচারের তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মরক্ষর্থে বাহিনীপ্রধান নিরব হোসেন টুটুল পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নিলেও তার লালিত সন্ত্রাসী মোশারেফ সিকদার, মিরাজ সিকদার, কালু সিকদার, সাকিন সিকদার, সেলিম এবং সবুজরা এখন উত্তর আমানগঞ্জ টু শায়েস্তবাদ পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আলোচিত টুটুল পলাতক থাকায় তার এই বাহিনীকে অর্থের বিনিময়ে শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মহানগরের ওয়ার্ডপর্যায়ের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বরিশালের তালতলী বাজার থেকে প্রতি বছর শত কোটি টাকার জাটকাসহ মাছ পাচার করে আসছিল বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের বাহিনী। তৎসময়ে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সিটির মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় নাজিরের পোলের টুটুল এক ধরনের এক ধরনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। মূলত তার কাঁদে ভর করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রতিবছর শত কোটি টাকার জাটকা, রেণুপোনাসহ অবৈধ মাছ পাচার করে আসছে সাকিন-কালু-মিরাজেরা।

পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, অবৈধভাবে মাছ পাচারের সাথে সম্পৃক্ত এবং জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগে বাহিনীপ্রধান টুটুলসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তাদের মধ্যে টুটুল ভারতে এবং মিরাজ সিকদার দেশে কোথায় আত্মগোপনে থাকলেও বাকিরা ভোল পাল্টে নিজেদের মস্তবড় বিএনপি নেতাকর্মী দাবি করছেন। এবং টুটুলের অবর্তমানে তারা অবৈধ ব্যবসার শেল্টারদাতা হিসেবে বরিশাল নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, এমন দুজন বিএনপি নেতার সাথে সন্ধিচুক্তিও করে নিয়েছে। মাসান্তর তাদের মোটা অংকের উৎকোচ দেওয়াসহ পূর্বের ন্যায় কাউনিয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে অবৈধ মাছ তালতলী বাজার থেকে পাচারের ফন্দি আঁটছে।

আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের মৎস্য সম্পদ পাচারের এই পূর্বপরিকল্পনা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরে মৎস্য অধিদপ্তরও নড়েচড়ে বসেছে। দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা রিপন কান্তি এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে এবার অবৈধ বাণিজ্য রুখে দেওয়া হবে। যেমন কথা তেমন কাজ, যার প্রমাণ মেলে শনিবার গভীর রাতে। মাঠ কর্মকর্তা জামালের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের অবৈধ একটি মাছের চালান শনিবার রাতে আটকে দেওয়া হয়। তিনটি অটোরিকশাভর্তি জাটকা (শিকার নিষিদ্ধ) তালতলী বাজার থেকে এই কর্মকর্তার নেতৃত্বে জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলের পুরো সময় ধরে মৎস্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিমল চন্দ্র দাস, তার বিরুদ্ধে টুটুল বাহিনীর কাছ থেকে উৎকোচগ্রহণ করাসহ বহুমুখী দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ বিতর্কিত ওই কর্মকর্তাকে নওগাঁ জেলায় শাস্তিমূলক বদলি করেছে সরকার।

মৎস্য অফিস সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলার তালতলীতে একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট রয়েছে, বিমল বাবুর বদলির পরে তারা ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার সুপারিশ নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সন্ধিচুক্তি করতে। কিন্তু জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি এবং সদর উপজেলার কর্মকর্তা জামাল হোসেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারীদের সাথে কোনো আপস নয়, বরং তাদের ঠিকানা হবে জেল!

মৎস্য অধিদপ্তরের এমন হুঁশিয়ারির পরেও থেমে নেই আওয়ামী সন্ত্রাসী টুটুল বাহিনী। তারা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে অবৈধভাবে মাছ শিকার এবং পাচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু তা কোনো দিনও হতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করেন মৎস্য কর্মকর্তা।

তালতালীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিটির ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার সদর উপজেলার অবৈধ বাণিজ্যে শেল্টার দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেনি স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, টুটুল বাহিনী গত ১৫ বছর তালতলী বাজার থেকে শত কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে এবং সেই টাকা দিয়ে সাকিন, কালু, সবজুরা একাধিক বিয়ে করাসহ গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়িও। জানা গেছে, অবৈধ পন্থায় আয় করা টাকা দিয়ে টুটুলের খাস চামচা সাকিন একটি ট্রাকও কিনিয়েছেন, মূলত সেই ট্রাক ব্যবহার করেই রাতে জাটকা পাচার করে।

ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের শাসনামলে কাউনিয়া থানা পুলিশসহ টুটুলকে মাসিক মোটা অংকের অর্থ দিয়ে মাছ পাচার করে মোশারেফ, সাকিন, কালু এবং নিজাম-সবুজেরা। স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পরে টুটুল পালিয়ে ভারতে গেলে তার সাগরেদ মিরাজ সিকদারও মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে মামলার আসামি হয়েও বিএনপি নেতাদের শেল্টারে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজাম সিকদারসহ বাহিনীর একাধিক সন্ত্রাসী। তবে আগামীতে তাদের কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা অবৈধভাবে মাছ পাচার করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় সুশীল মহলসহ তরুণসমাজ।

তালতলী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা শুধু মৎস্য সম্পদ ধ্বংসই করছে না, পাচারের মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে। অতীতে নির্বিকার পুলিশকে দেখা গেছে, বান্ডিল গুণে গুণে টাকা নিতে। বিশেষ করে এই গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, কাউনিয়া থানা পুলিশের সাবেক ওসি মো. আসাদুজ্জামান এবং মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা কাউনিয়া থানায় দায়িত্ব পালনকালে অন্তত ২ কোটি টাকার বেশি নিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করে।

এমনও অভিযোগ আছে, ভোর রাত বা সকালে ওসি আসাদুজ্জামান পুলিশের একটি টিম তালতলী বাজারে পাঠিয়ে দিলে তাদের উপস্থিতিতেই জাটকা ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, যা নিয়ে তৎকালীন সময়ে সংবাদপত্রে ব্যাপক লেখালেখি হয়েছিল। কিন্তু খোদ পুলিশই যখন ব্যবসায় জড়িত, তখন ব্যবস্থা আর নেয় কে? এমন প্রশ্নে বরিশালের রাজনৈতিক অঙ্গন তখন সরগরম হয়ে উঠেছিল।

আওয়ামী লীগের সেই সন্ত্রাসী আমল বা নীতি বিবর্জিত পুলিশ কর্মকর্তা এখন আর থানাগুলোর দায়িত্ব না থাকলেও টুটুল বাহিনীর আধিপত্য মোটেও কমেনি। জানা গেছে, টুটুল বাহিনীর এই অবৈধ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে গত বছর তরিকুল ইসলাম নামের এক সংবাদকর্মীকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসী মিরাজ, সবুজ এবং সাকিনেরা, ওই ঘটনায় আ’লীগের আমলে একটি মামলাও হয়েছিল।

সূত্রের খবর হচ্ছে, সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর টুটুল তার বাহিনীর সদস্যদের রক্ষায় তৎসময়ে আপসরফার প্রস্তাব দেওয়াসহ থানা পুলিশকে মামলা নিতে বারণও করেছিলেন। কিন্তু মূর্তিমাণ সেই সন্ত্রাসের খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসহ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ পেলে চাপে পড়ে যায় থানা পুলিশ। এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অনিচ্ছা সত্ত্বেও মামলা গ্রহণেও বাধ্য হয়।

৫ আগস্ট আওয়ামী দুশাসনের অবসান ঘটলে বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলে তারা কিছুদিন আত্মগোপনে ছিল। তবে ফাল্গুন মাস শুরু হতেই তারা এখন বিএনপি নেতাদের শেল্টার নিয়ে অবৈধ বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাচ্ছে, যা দেখে ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীরাও হতবাক-বাকরুদ্ধ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের এই বাণিজ্য যে কোনো মূল্যে রুখে দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা যেমন হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কাউনিয়া থানা পুলিশকেও সেই পদাঙ্ক অবলম্বলন করা জরুরি। অবশ্য কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি নাজমুল নিশাতও সত্যের সঙ্গে থেকে তালতলী থেকে অবৈধভাবে মাছ পাচার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অতীতের ন্যায় অবৈধ বাণিজ্য কিংবা অপরাধকে কাউনিয়া থানা পুলিশ আর প্রশ্রয় দেবে না। এক্ষেত্রে জনস্বার্থে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত এমন ব্যক্তি যদি মাছ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে অপরাধারীর পরিচয় যা-ই হোক না কেনো তা দেখার সুযোগ থাকবে না।

আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে বরিশালের তালতলীতে দুই বিএনপি নেতার অবৈধ বাণিজ্যের খবর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিজরুজ্জামান ফারুকও অবগত হয়েছেন। তিনি জানান, টুটুল বাহিনীর লোকদের সাথে দুই কর্মীর একজোট হওয়ার বিষয়টি আগেই জানতে পেরেছেন এবং তিনি তাদের ডেকে নিয়ে সাবধান করে দিয়েছেন। এরপরেও যদি তারা অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং তাদের অবৈধ মাছ পুলিশ-প্রশাসনকে ধরতে আহ্বান রাখেন শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতা।’

আরও পড়ুন:

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল। 

আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়। 

রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। 

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন। 

এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

‎‎‎‎‎সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।

তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর  এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।

পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.