
২৯ মে, ২০২৫ ১৭:৪৫
চলতি বছরের শেষদিকে দেশের সাত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনোনয়নের কাজও এগিয়ে নিয়েছে দলটি।
বরিশাল সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। হাইকমান্ডের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নিহত তার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ছোট ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। বিশেষ করে খোকন সেরনিয়াবাতের ওপরে সুনজর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। তবে একই পরিবারের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বড় ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকেও মাথায় রাখছেন তারা।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের এই দুই সদস্যের কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন, তা নির্ভর করবে নির্বাচনের আগ মুহূর্তের পরিবেশ এবং পরিবারের অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপরও নির্ভর করতে হতে পারে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এতোদিন চট্টগ্রামেই বেশি থেকেছেন হঠাৎ আলোচনায় আসা খোকন সেরনিয়াবাত। বরিশালে গেলে থাকেন তার শ্বশুরের বাসা নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ডে। ঢাকায় বসবাস করেন ধানমণ্ডিতে।
বরিশালের নেতারা জানান, পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিভৃতচারী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী খোকন সেরনিয়াবাতের দলে কোনো পদ-পদবি নেই। সাবেক সংসদ সদস্য ও সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পরে প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের শোকসভা ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এখন মাঝে-মধ্যেই এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য ভোজসভার আয়োজন করে থাকেন ভোজনরসিক খোকন।
পারিবারিকভাবে অনেক আগে থেকেই সম্পর্কে ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে খোকন সেরনিয়াবাতের চাপা দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে এখন মনোনয়ন নিয়ে তা বাড়ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।
খোকন সেরনিয়াবাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবেই শুনেছি। এটি সম্পূর্ণ দল ও নেত্রীর বিষয়। বরিশালের মানুষের চাওয়া-না চাওয়ার বিষয়ও থাকতে পারে। নেত্রী ও বরিশালের মানুষ যদি আমাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান, তখনতো চিন্তা করতেই হবে’।
বড় ভাইয়ের ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহ’র সম্ভাব্য প্রার্থীতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছার স্বাধীনতা সবারই আছে। তিনি যদি প্রার্থী হন এবং দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয়, তাতে কোনো সমস্যা দেখি না। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই, দ্বন্দ্বও নেই’।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেরও নেতৃত্বে আছেন।
বর্তমানে বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে অঘোষিতভাবেই রয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য হওয়ায় প্রভাব আর নেতৃত্বগুণে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তার সঙ্গেই থাকেন।
অবশ্য বদনামও রয়েছে তার। হিরণের সঙ্গে হাসানাত পরিবারের পুরনো দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে হিরণপতœী বরিশাল সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের সঙ্গেও। আর সাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বর্তমানে জেবুন্নেছাপন্থীদেরকে দলে অনেকটাই কোনঠাসা করে রেখেছেন তিনি।
আরও অভিযোগ রয়েছে, বরিশালের সকল সরকারি দপ্তরেই রয়েছে তার একক আধিপত্য। ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে কুয়াকাটার হোটেলরুমে গুলিবিদ্ধ হন। ওই গুলি সাদিকের আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই বের হয়েছিল বলে প্রথমে অভিযোগ উঠলেও অজ্ঞাত কারণে তা আর সামনে আসেনি। যদিও পরে একান্ত ঘনিষ্টজন টুটুলের চিকিৎসা ও কৃত্রিম পা বসানোর কাজ সাদিকের চেষ্টায়ই সফল হয়।
চেষ্টা করেও সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।’’
চলতি বছরের শেষদিকে দেশের সাত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মনোনয়নের কাজও এগিয়ে নিয়েছে দলটি।
বরিশাল সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। হাইকমান্ডের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নিহত তার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ছোট ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। বিশেষ করে খোকন সেরনিয়াবাতের ওপরে সুনজর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। তবে একই পরিবারের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বড় ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকেও মাথায় রাখছেন তারা।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের এই দুই সদস্যের কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন, তা নির্ভর করবে নির্বাচনের আগ মুহূর্তের পরিবেশ এবং পরিবারের অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপরও নির্ভর করতে হতে পারে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এতোদিন চট্টগ্রামেই বেশি থেকেছেন হঠাৎ আলোচনায় আসা খোকন সেরনিয়াবাত। বরিশালে গেলে থাকেন তার শ্বশুরের বাসা নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ডে। ঢাকায় বসবাস করেন ধানমণ্ডিতে।
বরিশালের নেতারা জানান, পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিভৃতচারী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী খোকন সেরনিয়াবাতের দলে কোনো পদ-পদবি নেই। সাবেক সংসদ সদস্য ও সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পরে প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের শোকসভা ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এখন মাঝে-মধ্যেই এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য ভোজসভার আয়োজন করে থাকেন ভোজনরসিক খোকন।
পারিবারিকভাবে অনেক আগে থেকেই সম্পর্কে ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে খোকন সেরনিয়াবাতের চাপা দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে এখন মনোনয়ন নিয়ে তা বাড়ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।
খোকন সেরনিয়াবাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবেই শুনেছি। এটি সম্পূর্ণ দল ও নেত্রীর বিষয়। বরিশালের মানুষের চাওয়া-না চাওয়ার বিষয়ও থাকতে পারে। নেত্রী ও বরিশালের মানুষ যদি আমাকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান, তখনতো চিন্তা করতেই হবে’।
বড় ভাইয়ের ছেলে সাদিক আব্দুল্লাহ’র সম্ভাব্য প্রার্থীতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছার স্বাধীনতা সবারই আছে। তিনি যদি প্রার্থী হন এবং দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয়, তাতে কোনো সমস্যা দেখি না। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই, দ্বন্দ্বও নেই’।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেরও নেতৃত্বে আছেন।
বর্তমানে বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে অঘোষিতভাবেই রয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য হওয়ায় প্রভাব আর নেতৃত্বগুণে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তার সঙ্গেই থাকেন।
অবশ্য বদনামও রয়েছে তার। হিরণের সঙ্গে হাসানাত পরিবারের পুরনো দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে হিরণপতœী বরিশাল সদর আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজের সঙ্গেও। আর সাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বর্তমানে জেবুন্নেছাপন্থীদেরকে দলে অনেকটাই কোনঠাসা করে রেখেছেন তিনি।
আরও অভিযোগ রয়েছে, বরিশালের সকল সরকারি দপ্তরেই রয়েছে তার একক আধিপত্য। ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে কুয়াকাটার হোটেলরুমে গুলিবিদ্ধ হন। ওই গুলি সাদিকের আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই বের হয়েছিল বলে প্রথমে অভিযোগ উঠলেও অজ্ঞাত কারণে তা আর সামনে আসেনি। যদিও পরে একান্ত ঘনিষ্টজন টুটুলের চিকিৎসা ও কৃত্রিম পা বসানোর কাজ সাদিকের চেষ্টায়ই সফল হয়।
চেষ্টা করেও সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।’’

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৫
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.