১৭ জুলাই, ২০২৫ ১৪:০৫
নদীটির নাম খাপড়াভাঙ্গা। শিববাড়িয়া নদী নামে বেশ পরিচিত। কলকল স্রোতে বয়ে যাওয়া নদীটির দু’প্রান্ত সাগরের সাথে মিলিত হবার কারণে ‘খাপড়াভাঙ্গা দোন’ বলা হয়। নদীটির পশ্চিম প্রান্তে আন্ধারমানিক মোহনা, আর পূর্ব প্রান্ত মিলিত হয়েছে রামনাবাদ মোহনায়।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলারগুলো দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে বিধায় ‘প্রোতাশ্রয় নদী’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠেছে আশাখালী মৎস্যপল্লী, চাপলী বাজার, লক্ষ্মীরহাট এবং আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর। এসব বন্দরের মৎস্য ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক ফেলা হচ্ছে নদীতে।
নদীর পেটের এসব প্লাস্টিক ও পলিথিন ভাটার স্রোতে ভেঁসে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। ধীরে ধীরে ছোট ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়ে খাদ্য ও পানির মাধ্যমে জলজপ্রাণী গ্রহণ করে। এতে ধ্বংস হচ্ছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, কমছে মাছের উৎপাদন। শেষমেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরাই। আর পরিবেশ নষ্টের অন্যতম কারণ এসব প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং মৎস্য বিভাগকে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানায় অবস্থিত খাপড়াভাঙ্গা নদীটি। এটি আকারে ছোট্ট হলেও এই উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দীর্ঘ বছর ধরে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অসচেতনতার কারণে দখল দূষণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে নদীটি। প্রতিনিয়ত নির্বিচারে মৎস্য বন্দরে ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ফেলা হচ্ছে নদীর পাড়ে। পলিথিনের বিকল্প না পেয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আর মৎস্য বন্দরের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার অজুহাতে ফেলছে নদীতে। অথচ আলীপুর, মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য শুধুমাত্র দু’পাড়ে দুইটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার। আলীপুরের অবতরণ কেন্দ্রটি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করলেও মহিপুরেরটি ব্যবহার করছেন না। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে বার বার বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তর।
এ প্রসঙ্গে আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পলিথিন ফেলার জন্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার জায়গা চেয়েছি। তারা কোন জায়গা নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই বিভিন্ন সময় জেলেরা যে পলিথিনগুলো ফেলে দেয় তা নদীর পানির সাথে মিশে যায়।’
পরিবেশ দূষণ রোধ, মাটির উর্বরতা রক্ষা, পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ কমানো, ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী মশা নির্মূল করা এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালের ১লা মার্চ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধনী) এর মাধ্যমে পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু আইনটি কার্যকরভাবে প্রয়োগ না করায় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ হয়নি। তাছাড়া মাছ সংরক্ষণ ও রপ্তানির জন্য পলিথিনের বিকল্প কিছুই পাচ্ছে না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মাছে বরফ দেয়ার জন্য পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন একই দামে পলিথিনের বিকল্প পেলে তারা ব্যবহার করবেন।
এ বিষয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী এম.আনিসুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমাদের আহরিত মাছগুলো পলিতে প্যাকেট করলে ভালো থাকে। এর বিকল্প যে ব্যাগ আছে তা মাছ প্যাকেট করার উপযোগী না। মাছ সংরক্ষণের জন্য পলিথিনের বিকল্প কিছু আসলে আমরা অবশ্যই ব্যবহার করবো।’
পলিথিন অপচনশীল হওয়ায় ১০০-৪৫০ বছর পর্যন্ত পরিবেশে অবশিষ্ট থাকে। যার ফলে নদী ও সমুদ্রের পানিতে মিশে জলজপ্রাণীর জীবনহানি ঘটায়। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে। সামুদ্রিক পরিবেশ দূষিত করে। অনেক সামুদ্রিক কচ্ছপ, মাছ এবং পাখি ভুলবশত পলিথিন খেয়ে ফেলে, যা তাদের খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে হজমে বাধা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যু হয়।
গবেষণার তথ্যানুযায়ী, প্রতিদিন সমুদ্রে ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ছে। এতে ৩০০ ধরণের প্লাস্টিক পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে কোমল পানীয়র বোতল থেকে শুরু করে কসমেটিকসের মোড়ক রয়েছে। প্লাস্টিক বোতলের একটি বড় অংশ যাচ্ছে উপকূলের মাছ ধরা ট্রলারে।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ কলাপাড়া উপজেলা সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, ‘উপকূলের মৎস্যবন্দর ব্যবসায়ী ও জেলেদের সচেতন করতে হবে। শুধুমাত্র বিশ্ব পরিবেশ দিবসে একটি র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। উপজেলা পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটিকে কার্যকরী উদ্যোগ নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন রাখতে হবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও পুনব্যবহারের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে সরকার, উৎপাদক, ব্যবহারকারী এবং পরিবেশবাদীদের সম্মিলিতভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেফাস প্রজেক্টের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যরে কারণে নদী ও সমুদ্র দূষণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরকে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক দপ্তর অন্য দপ্তরের উপর দায় চাপিয়ে নিশ্চুপ থাকলে আমাদের সামুদ্রিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ দিন দিন নষ্ট হবে। আমাদের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্যজীবীদের আরো বেশি সচেতন করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মহিপুর-আলীপুর ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ফেলছে। এতে আমাদের পরিবেশ ও জলজ পরিবেশ প্রতিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে বহুবার বন্দরের ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর জলজপ্রাণী রক্ষা ও নদী দূষণ রোধে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে। দ্রুত বন্দর ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করে তাদের ব্যবহৃত পলিথিন নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
নদীটির নাম খাপড়াভাঙ্গা। শিববাড়িয়া নদী নামে বেশ পরিচিত। কলকল স্রোতে বয়ে যাওয়া নদীটির দু’প্রান্ত সাগরের সাথে মিলিত হবার কারণে ‘খাপড়াভাঙ্গা দোন’ বলা হয়। নদীটির পশ্চিম প্রান্তে আন্ধারমানিক মোহনা, আর পূর্ব প্রান্ত মিলিত হয়েছে রামনাবাদ মোহনায়।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলারগুলো দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে বিধায় ‘প্রোতাশ্রয় নদী’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠেছে আশাখালী মৎস্যপল্লী, চাপলী বাজার, লক্ষ্মীরহাট এবং আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর। এসব বন্দরের মৎস্য ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক ফেলা হচ্ছে নদীতে।
নদীর পেটের এসব প্লাস্টিক ও পলিথিন ভাটার স্রোতে ভেঁসে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। ধীরে ধীরে ছোট ছোট মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়ে খাদ্য ও পানির মাধ্যমে জলজপ্রাণী গ্রহণ করে। এতে ধ্বংস হচ্ছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, কমছে মাছের উৎপাদন। শেষমেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরাই। আর পরিবেশ নষ্টের অন্যতম কারণ এসব প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং মৎস্য বিভাগকে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানায় অবস্থিত খাপড়াভাঙ্গা নদীটি। এটি আকারে ছোট্ট হলেও এই উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দীর্ঘ বছর ধরে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অসচেতনতার কারণে দখল দূষণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে নদীটি। প্রতিনিয়ত নির্বিচারে মৎস্য বন্দরে ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ফেলা হচ্ছে নদীর পাড়ে। পলিথিনের বিকল্প না পেয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আর মৎস্য বন্দরের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার অজুহাতে ফেলছে নদীতে। অথচ আলীপুর, মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য শুধুমাত্র দু’পাড়ে দুইটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার। আলীপুরের অবতরণ কেন্দ্রটি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করলেও মহিপুরেরটি ব্যবহার করছেন না। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে বার বার বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তর।
এ প্রসঙ্গে আলীপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পলিথিন ফেলার জন্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার জায়গা চেয়েছি। তারা কোন জায়গা নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই বিভিন্ন সময় জেলেরা যে পলিথিনগুলো ফেলে দেয় তা নদীর পানির সাথে মিশে যায়।’
পরিবেশ দূষণ রোধ, মাটির উর্বরতা রক্ষা, পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ কমানো, ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী মশা নির্মূল করা এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালের ১লা মার্চ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধনী) এর মাধ্যমে পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু আইনটি কার্যকরভাবে প্রয়োগ না করায় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ হয়নি। তাছাড়া মাছ সংরক্ষণ ও রপ্তানির জন্য পলিথিনের বিকল্প কিছুই পাচ্ছে না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মাছে বরফ দেয়ার জন্য পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন একই দামে পলিথিনের বিকল্প পেলে তারা ব্যবহার করবেন।
এ বিষয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী এম.আনিসুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমাদের আহরিত মাছগুলো পলিতে প্যাকেট করলে ভালো থাকে। এর বিকল্প যে ব্যাগ আছে তা মাছ প্যাকেট করার উপযোগী না। মাছ সংরক্ষণের জন্য পলিথিনের বিকল্প কিছু আসলে আমরা অবশ্যই ব্যবহার করবো।’
পলিথিন অপচনশীল হওয়ায় ১০০-৪৫০ বছর পর্যন্ত পরিবেশে অবশিষ্ট থাকে। যার ফলে নদী ও সমুদ্রের পানিতে মিশে জলজপ্রাণীর জীবনহানি ঘটায়। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করে। সামুদ্রিক পরিবেশ দূষিত করে। অনেক সামুদ্রিক কচ্ছপ, মাছ এবং পাখি ভুলবশত পলিথিন খেয়ে ফেলে, যা তাদের খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে হজমে বাধা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যু হয়।
গবেষণার তথ্যানুযায়ী, প্রতিদিন সমুদ্রে ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পড়ছে। এতে ৩০০ ধরণের প্লাস্টিক পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে কোমল পানীয়র বোতল থেকে শুরু করে কসমেটিকসের মোড়ক রয়েছে। প্লাস্টিক বোতলের একটি বড় অংশ যাচ্ছে উপকূলের মাছ ধরা ট্রলারে।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’ কলাপাড়া উপজেলা সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সাংবাদিক মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, ‘উপকূলের মৎস্যবন্দর ব্যবসায়ী ও জেলেদের সচেতন করতে হবে। শুধুমাত্র বিশ্ব পরিবেশ দিবসে একটি র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। উপজেলা পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটিকে কার্যকরী উদ্যোগ নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন রাখতে হবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও পুনব্যবহারের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে সরকার, উৎপাদক, ব্যবহারকারী এবং পরিবেশবাদীদের সম্মিলিতভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেফাস প্রজেক্টের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যরে কারণে নদী ও সমুদ্র দূষণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরকে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এক দপ্তর অন্য দপ্তরের উপর দায় চাপিয়ে নিশ্চুপ থাকলে আমাদের সামুদ্রিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ দিন দিন নষ্ট হবে। আমাদের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্যজীবীদের আরো বেশি সচেতন করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মহিপুর-আলীপুর ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী খাপড়াভাঙ্গা নদীতে ফেলছে। এতে আমাদের পরিবেশ ও জলজ পরিবেশ প্রতিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে বহুবার বন্দরের ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর জলজপ্রাণী রক্ষা ও নদী দূষণ রোধে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে। দ্রুত বন্দর ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করে তাদের ব্যবহৃত পলিথিন নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:৪২
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৪
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫৬
২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৬
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০০
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পটুয়াখালীর দুমকিতে আলোচিত শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে এবং পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২) ধারায় দুই আসামিকে অতিরিক্ত ৩ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নীলুফার শিরিন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান মুন্সী (১৭), সাকিব মুন্সী (১৭) ও সিফাত মুন্সী (১৬)। আদালত আসামিদের অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে শিশু আইনের অধীনে বিচার করেন। রায়ের মাধ্যমে ইমরান মুন্সীকে ১০ বছরের এবং সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সীকে ১০ বছরের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে আরও ৩ বছর করে মোট ১৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে শহীদ জুলাই যোদ্ধার কণ্যা কলেজছাত্রী লামিয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়িতে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জঙ্গলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার দুমকি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় প্রদান করেন। রাস্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট আবদুল্লাহ আল-নোমান এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শহীদ কন্যা লামিয়াকে ঘটনার পর ঢাকায় মায়ের ভাড়া বাসায় নেওয়া হলে সেখানে লোকলজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৮
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, তার স্ত্রী দেলোয়ারা সুলতানা ও পুত্র রায়হান সাকিবের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে দুদকের অনুমোদনক্রমে দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী কমিশনার তাপস বিশ্বাস জানান, ব্যতীত আ স ম ফিরোজের বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা। অর্থাৎ ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ টাকা।
সুতরাং আসম ফিরোজের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ লাখ ৪৮৪ টাকা। অর্থাৎ তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ আয়ের পক্ষে কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
এছাড়াও অনুসন্ধানকালে, ব্যয়বতীত দেলোয়ারা সুলতানার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। অর্থাৎ ১ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২১৭ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৫০ লাখ ১১ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুতরাং দেলোয়ারা সুলতানার নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা। অর্থাৎ দেলোয়ারা সুলতানার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৪ টাকা।
অনুসন্ধানকালে, রায়হান শাকিবের ব্যয়বতীত তার বৈধ সঞ্চয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। অর্থাৎ ৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৮৪২ টাকার সম্পদ অর্জনে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৫ হাজার ৪১৪ টাকা। সুতরাং আসামি রায়হান শাকিবের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। অর্থাৎ রায়হান শাকিবের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত/বৈধ আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪ কোটি ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ টাকা। উক্ত আয়ের পক্ষে তিনি কোনো ধরনের রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি।
তাই দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক তানভীর আহমদ তিনটি মামলা রুজু করেন। অবৈধভাবে অর্জিত মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়।
২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩১
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন হারবাল সহকারী কর্তৃক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদকের একটি দল প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত হারবাল সহকারী শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে অভিযানের সময় অভিযুক্ত সবুজকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ওই দিন তার দায়িত্ব ছিল দ্বিতীয় শিফটে।
দুদকের পটুয়াখালী জেলা সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বরিশালটাইমসকে বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি মালি নন, তিনি হারবাল সহকারী। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাকে জরুরি বিভাগে কোনো দায়িত্ব দিইনি। আমার আগের যে কর্মকর্তা ছিলেন, তার সময় সবুজ ইমারজেন্সিতে ডিউটি করতেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অভিযোগ পেয়ে বলেছি, তিনি আর ডিউটি করতে পারবেন না।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.