
০৫ জুন, ২০২৫ ১৩:৫৬
পবিত্র ঈদউল আযহা (কুরবানি) ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট।
কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরন্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী (বেপারীরা) এ পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার ৫জুন দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে। অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেয়া যায়।
ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশী। আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানা সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে। অনেকে গরু পছন্দ করলেও মূল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে। বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।তবে ছাগল ও ভেঁড়ার ক্রেতা সন্তোষজনক।
ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী কবির উদ্দিনের সাথে তিনি জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। অনেক লাভও হয় তার।
তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে, বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনি বেশি গরু কিনতে পারেননি বলে জানান।
গরু কিনতে আসা বড় আচড়া গ্রামের ডা, শফি বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা খামারিরা জানান, এ বারের কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে। সব ক্রেতাদের ছোট গরুর প্রতি ঝোক বেশী। আমরা খামারিরা যারা বড় গরু লালনপালন করেছি এ ঈদে বিক্রির জন্য সে গরু গুলায় লাভের চেয়ে লসের হবে বলে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, শার্শায় মোট১১শ’৩১টি ছোট বড় খামার আছে। এইসব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭শত ১০টি গরু, ৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল ও ৯৪ টি ভেঁড়া, প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর শার্শায় কুরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজরদারির জন্য বিজিবি’র প্রতি আহ্বান জানান
পবিত্র ঈদউল আযহা (কুরবানি) ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দক্ষিণ বঙ্গের সব চেয়ে বড় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাট।
কুরবানির গরু ও ছাগল কিনতে দূর দূরন্ত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী গরু ব্যবসায়ী (বেপারীরা) এ পশুহাট থেকে পছন্দমত গরু ও ছাগল কিনে স্ব স্ব এলাকার বাজারে সরবরাহ করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার ৫জুন দুপুরে সাতমাইল পশুহাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু ছাগল উঠেছে এই বাজারে। অনেক ধরনের গরু ও ছাগল সেই সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা।
সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে এই হাট। সকাল ৮টার পর থেকে বেলা ১২টা ১ টার মধ্যে বাজার ভরে যায় গরু ও ছাগলে। সেই সাথে মহিষ ও ভেড়াও দেয়া যায়।
ঈদের বাজার ধরতে স্থানীয় ছোট ছোট খামারিরা তাদের পোষা গরু ও ছাগল বিক্রি করতে এসে অনেকে কাঙ্খিত মূল্য না পেয়ে অখুশী। আবার অনেকে ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নানা সাইজের নানান ধরনের হাজার হাজার গরু। ক্রেতারাও তেমনি তাদের পছন্দের গরু দেখে ক্রয় করছে। অনেকে গরু পছন্দ করলেও মূল্য নিয়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকে ছোট ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে। বাজারে অনেক বড় বড় গরু উঠলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।তবে ছাগল ও ভেঁড়ার ক্রেতা সন্তোষজনক।
ঢাকা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী কবির উদ্দিনের সাথে তিনি জানান, অনেক বছর ধরে এই পশু হাট থেকে গরু ক্রয় করে তার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করে। অনেক লাভও হয় তার।
তিনি আরও জানান, এ হাটে এবার গরুর অনেক দাম হাঁকা হচ্ছে। তার জন্য গরু কেনায় সমস্যা হচ্ছে, বেপারী ও খামারিরা তাদের গরুর দাম বেশি বলায় বেচাকেনা অনেক কম। এ জন্য তিনি বেশি গরু কিনতে পারেননি বলে জানান।
গরু কিনতে আসা বড় আচড়া গ্রামের ডা, শফি বলেন, ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এ বছর দামটা একটু বেশি।
হাটে গরু বিক্রির জন্য আসা খামারিরা জানান, এ বারের কুরবানির ঈদে বড় গরু বিক্রি কম হচ্ছে। সব ক্রেতাদের ছোট গরুর প্রতি ঝোক বেশী। আমরা খামারিরা যারা বড় গরু লালনপালন করেছি এ ঈদে বিক্রির জন্য সে গরু গুলায় লাভের চেয়ে লসের হবে বলে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাক্তার তপু কুমার সাহা জানান, শার্শায় মোট১১শ’৩১টি ছোট বড় খামার আছে। এইসব খামারে কুরবানির জন্য ৩ হাজার ৭শত ১০টি গরু, ৯৪ টি মহিষ ও ১০ হাজার ৩১২টি ছাগল ও ৯৪ টি ভেঁড়া, প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর শার্শায় কুরবানীর চাহিদা পশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৬ টি। তবে শার্শা উপজেলায় কুরবানির চাহিদা মেটানোর পর ১ হাজার ৫০০ টি পশু বাড়তি থাকায় তা বাইরের এলাকায় বিক্রি করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ না করলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। এজন্য সীমান্তে ঈদের সময় কড়া নজরদারির জন্য বিজিবি’র প্রতি আহ্বান জানান

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১২
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪১
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.