Bkash

সারাদেশ

খোলা হয়েছে পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলেছে ৩২ বস্তা টাকা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩০ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খোলা হয়েছে পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলেছে ৩২ বস্তা টাকা

খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর মসজিদের ১০টি দান বাক্স ও ৩টি সিন্দুক থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনা কার্যক্রম।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ঢেলে সকাল ৯টায় গণনা শুরু হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী গণনা শেষে সন্ধ্যায় টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

গণনায় ৩৪০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন শিক্ষক ও স্টাফ, ৯ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন আনসার ব্যাটালিয়ন ১০ জন আনসার সদস্য, ১০০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। প্রতিবার তিন মাস পর খেলা হলেও এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর খোলা হয়েছে।

দেশি টাকার পাশাপাশি মিলেছে স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্স খোলা হয়েছে। প্রতিবার টাকা, স্বর্ণ-রুপার পাশাপাশি আলোচনায় থাকে মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া চিঠি নিয়ে। এসব চিঠিতে লোকজন জীবনের প্রাপ্তি, বিরহ-বেদনা, আয়- উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, মনের মানুষকে কাছে পাওয়া, পরীক্ষায় ভালো ফলালের আশা, রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। ৮ ঘণ্টা গণনা শেষে বিকেল ৫টায় মোট টাকার পরিমাণ জানা যায়।

পাগলা মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট দানের পরিমাণ ৯১ কোটি টাকারও বেশি রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান।

এদিকে গত ৪ জুলাই দেশ ও দেশের বাইরে থেকে দান করার জন্য চালু হয়েছে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট।

মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাগলা মসজিদের প্রচার দিয়ে প্রতারকচক্র বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পাগলা মসজিদে দান করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ ও দেশের বাইরের অনেকেই দান করতে পারছেন না। তাদের কথা মাথায় রেখে অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত পাওয়ায় পুরো গ্রামের বিদ্যুৎ কেটে দিল প্রেমিক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩১ আগস্ট, ২০২৫ ২০:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত পাওয়ায় পুরো গ্রামের বিদ্যুৎ কেটে দিল প্রেমিক

সিনেমার পর্দায় দেখানো যুক্তি-বুদ্ধিহীন প্রেম যখন বাস্তবের প্রেমিক যুগলকেও অনুপ্রাণিত করে তখনই ঘটে যেতে পারে ভয়ংকর ঘটনা। সম্প্রতি ‘সাইয়ারা’ সিনেমায় কৃষ ও বাণীর প্রেমকাহিনির মতোই ‘ইনটেন্স লাভ’-এর দেখা মিলল বাস্তবেও। প্রেমিকার ফোন একটানা ব্যস্ত থাকায় রাগের চোটে ইলেকট্রিক পোলে উঠে বিদ্যুতের হাইটেনশন তার কেটে দিলেন এক যুবক। ব্যস, বিদ্যুৎহীন প্রেমিকার গোটা গ্রাম।

ফোন থেকে প্রেমিকার মনোযোগ সরাতেই এমনই পন্থা বেছে নিলেন প্রেমে মত্ত এক যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমনটাই দেখা গেছে। ভাইরাল ভিডিওটি ঠিক কোথাকার সে সম্পর্কেও স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।

ভিডিওতে শুধু দেখা যাচ্ছে, হাইটেনশন তারের পোস্টে উঠে বড় একটি লোহার তার কাটার যন্ত্র দিয়ে একের পর এক বিদ্যুতের তার কেটে দিচ্ছেন ওই যুবক।এমন ভিডিও দেখে নেটপাড়ায় কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে।

এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘অনেক প্রেমিককে দেখেছি কিন্তু এই প্রথম প্রেমের জন্য এমন পাগল প্রেমিক দেখলাম। একজন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘প্রেমের ক্ষোভে প্রেমিকরা সাধারণত নিজেদের হাতের শিরা কেটে ফেলে। এ তো গোটা গ্রামের শিরা কেটে ফেলল। অন্য এক নেটিজেন-এর মতে, ‘কথায় বলে প্রেমে অন্ধ কিন্তু এর প্রেমে এখন গোটা গ্রাম অন্ধ।’

এরকম ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালে, বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামের এক ব্যক্তি শুধুমাত্র অন্ধকারে গোপনে তার বান্ধবীর সাথে দেখা করার জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ কেটে দিতেন। যখন আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল তখন সেই গ্রামে দুই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। স্থানীয়রা অবশেষে অবিরাম বিদ্যুৎবিভ্রাটের আসল কারণ জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান এবং শিগগিরই লোকটির গোপন রহস্য উন্মোচিত হয়।

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতে ইসলামীর ৯ কর্মী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপিতে যোগ দিলেন জামায়াতে ইসলামীর ৯ কর্মী

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন একই পরিবারের পাঁচজনসহ জামায়াতে ইসলামীর ৯ কর্মী। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

যোগদানকারীরা হলেন, টেংরা গ্রামের মৃত মুনসুর আলির পাঁচ ছেলে হাজী আনসার আলি, কাওছার আলি, লিয়াকত আলি, আবুজার আলি ও আবুহার আলি। এছাড়া মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর ছেলে আবু বক্কর, মৃত আবেদ আলী গাজীর ছেলে আবু হাসান, মজনুর ছেলে মুকুল হোসেন এবং মৃত কচি সরদারের ছেলে অহিদ হোসেন।

যোগদানকারীরা জানান, তারা দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। নতুনভাবে রাজনৈতিক পথচলায় তারা সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।

বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যোগদানকারীরা আগে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তবে বিএনপির কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। আমরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি।

খালের ধারে বসতি, ২০ পরিবারের ১১ ব্যক্তিগত সাঁকো!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খালের ধারে বসতি, ২০ পরিবারের ১১ ব্যক্তিগত সাঁকো!

খালের ধারে গড়ে ওঠা বস্তিতে প্রায় ৭০ জন মানুষের বসবাস। তবে যাতায়াতের জন্য নেই কোনো ব্রিজ। তাই বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলছে তাদের দিনযাপন। পারাপারের সুবিধার জন্য এই বস্তির ২০ পরিবারের এখন রয়েছে ১১ ব্যক্তিগত সাঁকো।

বিভিন্ন পেশার এসব পরিবারের সদস্যদের দিন এনে দিন খাওয়া। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় গড়ে ওঠা এই বস্তিতে কেউ দুই বছর; আবার কেউ কেউ ২২ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। তবে তাদের খাল পারাপারের ছিল না কোনো ব্রিজ। তাই পরিবারগুলো বাড়িতে যাতায়াতের জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে নিজস্ব সাঁকো করেছেন। দেখা গেছে, একটি টিনের ঘর তৈরির খরচের চেয়ে তাদের পারাপারের সাঁকোর মূল্য বেশি।

জানা গেছে, পুরো বস্তি এলাকা ৩০০ গজ জায়গা জুড়ে। এই বস্তিতে যাতায়াতের জন্য খালের ওপরে ১১টি বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে নিজস্বভাবে। এর মধ্যে ৭টি বাঁশের ও ৪টি কাঠের। তুলনামূলক বাঁশের সাঁকোগুলোর চেয়ে কাঠের সাঁকো তৈরিতে খরচ কয়েকগুণ বেশি। তবে কাঠের সাঁকো তুলনামূলক টেকসই। কাঠের সাঁকো তৈরিতে খরচ পড়ে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ও বাঁশের সাঁকোগুলোতে খরচ পড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ৩০নং ওয়ার্ডের চৌদ্দপাই থেকে বুধপাড়া গণির মোড় সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় এই বস্তি। এসব বস্তির ঘর-বাড়িগুলো টিনের তৈরি। বাড়ি করার পরে হাঁটা জায়গারও সংকট দেখা দেয়। তাই সরাসরি বাড়িতে যাতায়াতের জন্য অনেকেই তৈরি করেছেন সাঁকো।

তবে খালটির চৌদ্দপাই থেকে বুধপাড়া গণির মোড় পর্যন্ত তিনটি সাঁকো রয়েছে। এর মধ্যে গণির মোড় এলাকায় একটি, মোহনপুরে যাতায়াতের জন্য একটি ও গ্রিজ ফ্যাক্টরিতে যাতায়াতের জন্য সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে গ্রিজ ফ্যাক্টরির কাছের ব্রিজ ব্যবহার করে বস্তির কয়েকটি পরিবার।

তবে বাকিরা দীর্ঘ পথ ঘোরার ঝামেলা এড়াতে যাতাযাতের জন্য নিজস্বভাবে তৈরি করে নিয়েছে ব্যক্তিগত সাঁকো। ফলে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। তবে নিজস্ব এই সাঁকোগুলো অন্যের ব্যবহারের সুযোগ কম হওয়ার কারণে ঘন ঘন সাঁকো তৈরি হয়েছে।

বস্তির বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম জানান- ‘তারা দুটি পরিবার মিলে কাঠের একটি সাঁকো করেছে। এই সাঁকোতে তারা যাতায়াত করেন।’ তার দাবি- অন্যরাও যাতায়াত করে। তিনি বলেন- ‘আশপাশের সাঁকোগুলো দিয়ে মালিকরা যাতায়াত করতে দেয় না। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই বিরোধ বাঁধে। সবমিলে এই সাঁকোগুলোর কারণে তাদের বাড়িতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে।’

জানা গেছে, খালটি পদ্মা নদীর শ্যামপুর এলাকায় শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে ফলিয়ার বিলে গিয়ে। দক্ষিণ দিক থেকে শুরু হওয়া খালটি উত্তরদিকে বয়ে গেছে। চৌদ্দপাই এলাকায় এই খালের পাশে সর্বপ্রথম বাড়ি করে বজলু মিয়া।

কিছুদিন পরে তার পাশে বাড়ি করেন নবাব আলী। তারা দীর্ঘদিন থেকে এখানে বসবাস করছেন। তাদের বাড়ি ছাড়া, এক সময় পুরোনো গ্রিজ ফ্যাক্টারি পর্যন্ত পরিত্যক্ত জয়গাগুলোতে হলুদের চাষ হতো। রাজশাহী ফল গবেষণার পূর্বের প্রাচীর লাগোয়া জায়গাটি গেল পাঁচ বছরে বস্তিতে রূপ নিয়েছে।

খাল পাড়ের চৌদ্দপাই এলাকায় প্রায় ২৫ বছর ধরে বসবাস করছেন বজলু ও নবাব আলীর পরিবার। পরবর্তীতে দুই পরিবার বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন। তার স্বজনরা জানায়, মূলত বাড়িতে যাতায়াতের জন্য এই বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। প্রতি বছর সাঁকো মেরামত করতে হয়। অনেক সময় মেরামত না করা হলে বাঁশ ভেঙে যায়। তখন চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

বিরিন খাতুন বলেন, তার স্বামী ব্যাটারিচালিত ভ্যান গাড়ি চালায়। সেই ভ্যানগাড়ি সড়ক থেকে বাড়িতে ঢুকানো হয় সাঁকোর ওপর দিয়ে। এই সাঁকো তৈরি করেতে দুইটা কাঠ মিস্ত্রীর দুই দিন সময় লেগেছে। তাদের সিমিন্টের খুঁটি, মেহেগুনি কাঠের বাটাম ও বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো করে তৈরি করা হয়েছে।

কাঠমিস্ত্রী রজব কালু বলেন, বিরিনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য করা সাঁকোটি তৈরি করতে সাত হাজার টাকার কাঠ লেগেছে। এছাড়া বাঁশ ও সিমেন্টের খুঁটি রয়েছে। এছাড়া দুইজন মিস্ত্রী দুইদিন কাজ করতে হয়েছে। তাদের কাঠের সাঁকোটি প্রশস্ততে বড়। কারণ সেখান দিয়ে ভ্যান গাড়ি চলাচল করবে। এছাড়া যারা বাঁশের সাঁকো বানিয়েছেন। তাদের গুলো প্রশস্ত কম। বিষয়টি নিয়ে রাসিকের ৩০নম্বর ওয়ার্ডের সচিবের মোবাইল ফোনে কল করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.