২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৫৮
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মেয়র পদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে আপাতত বিরত থাকার বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট এলজিইডি মন্ত্রণালয় ও দলের হাইকমান্ড থেকে গত এক সপ্তাহকাল আগে পৃথক দুটি নির্দেশনা এসেছে- এধরনের খবর বরিশাল নগরজুড়ে জোর আলোচনায় রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে গত দুদিন ধরে এই আলোচনা বাতাসের দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ায় উৎসুক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে- আসলে এখবরের সত্যতা কতটুকু, নাকি মহল বিশেষ গুজব রটিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গোলকধাঁধার সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে? যদিও মেয়রকে কেন্দ্র করে এরূপ সিদ্ধান্তের অকট্য প্রমাণ কোনো মহল বা দায়িত্বশীল সূত্র দিতে পারেনি। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এনিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যখ্যা-বিবৃতি দেওয়া হয়নি বা হচ্ছেনা।
ফলে আকস্মিক উদ্ভাবিত এই উড়ো খবরের সত্য- মিথ্যা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে চলমান আলোচনার অবসান ঘটছে না, বরং উৎসুক প্রশ্নের আরও ডালপালা বিস্তৃতি ঘটছে। অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলে বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। কোথা থেকে এই গুজবের সৃষ্টি সে ধারনা না পাওয়া গেলেও এই কর্মকর্তার বক্তব্য হচ্ছে, দলের মধ্যেকার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার সন্ধানী সুযোগ এবং মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে সামাজিকভাবে বিতর্কের মাঝে ঘুরপাক খাওয়াতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।
তবে এই গুজব বা খবরের সত্যতা অনুসন্ধানে ধারণা মেলে নগর উন্নয়ন অর্থাৎ মূল শহর অভ্যন্তরে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হলেও সংস্কার উদ্যোগ সাময়িক কিছুদিন স্থগিত থাকার কারণেই এই গুজব রটাতে সহায়ক হয়। তার ওপর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ গত একমাসকাল শূন্য থাকার পরও নতুন কর্মকর্তার যোগদান প্রক্রিয়ার কালবিলম্ব ঘটাও অন্যতম কারণ। আবার কারও দাবি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তিন দফা আসা তদন্ত টিমের কাছে সিটি কর্পোরেশনের ৬ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে অনিয়ম ধরা পড়ায় মেয়রের ব্যর্থতা থেকেও এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বশেষ বরিশাল বিসিকের ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে একজন শিল্প উদ্যোক্তার সাথে বিরোধ থেকে তার অনুসারীদরে অব্যাহত সন্ত্রাস এবং বরিশাল অচল করে একজন যুবলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে থানা ঘেরাও করায় দলীয় হাইকমান্ড মহানগর রাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ওপর নাখোশ হওয়ায় তার ক্ষমতা খর্ব করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক এই বিষয় নিয়ে নানা মন্তব্য আলোচনায় আসলেও যদি ঘটনা সত্যিই হয়ে থাকে, তবে কবে-কখন মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে, এবিষয়ে কেউ কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারছে না। সবই ধারণাপ্রসূত তথ্য যা গুজবে আকারে এক কান থেকে দুইকানে পৌছে গোটা নগরীতে ছড়িয়ে পড়ে। আবার বেশকিছু সূত্র বলছে , বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল আ’লীগ নেতা নাম প্রকাশে অপারগতার শর্তে এই খবরকেও সত্য বলে দাবি করায় বিষয়টি সন্দেহ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। মেয়রকে অব্যাহতি দেয়ার প্রসঙ্গে এসকল নেতৃবৃন্দ যুক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে খবরের বাস্তবতার আলামত হিসেবে উপস্থাপন করেন, গত দুইমাস ধরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বন্ধের বিষয়টি।
তাছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও বরিশালের ক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত কেনো? এমন প্রশ্নের সাথে নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগদানে অনিহা প্রকাশ করায় কালক্ষেপনের বিষয়টিও মূল্যায়নে তালিকায় উপস্থাপন করে তাদের কাছে প্রাপ্ত খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে চায়।
অপর একটি সূত্র খোদ দলীয় নেতৃবৃন্দের এই অভিমতকে উড়িয়ে না দিয়ে সহমত পোষণ করে বলছে, একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার দলীয় অনুসারীদের বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিয়ে বরিশাল পরিস্থিতি নাজুক বলে উল্লেখ করায় সেখানে উদীয়মান এই নেতার ব্যর্থতার প্রসঙ্গ দলীয় হাইকমান্ড মূল্যায়ন করে তার ক্ষমতা খর্ব করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। সঙ্গত কারণে বরিশাল আ’লীগ দুই ভাগে বিভক্ত একাংশের অনুসারীরা এমন অনুমাননির্ভর তথ্যের সংমিশ্রণে কথার মালা গেঁথে এই গুজব সহসায় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হয়েছে, এমনটি মনে করছেন মেয়র সাদিক সমর্থিতরা।
এই নেতার অনুসারীদের মন্তব্য হচ্ছে, ‘হঠাৎ সৃষ্টি খবরটি’ সমূলেই গুজব। এবং রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে করে অপর একটি অংশ নিজেদের বলয় বৃদ্ধির যেমন কৌশল নিয়েছে। পাশাপশি মেয়রকে বিতর্কের মাঝে ফেলায় সর্বশেষ পন্থা হিসেবে এমন গুজব দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠা করার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখে চলেছে। এই গুজব নতুন নয়, মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেয়ার পর নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হলে অপর সেই অংশটি নাখোশ হওয়াসহ মাঠের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ায়ে সময়বিশেষ এমন গুজব প্রতিষ্ঠায় জোর বাতাস বইয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার সর্বশেষ বর্তমান সময়ে আবার তৎপর হয়ে উঠায় এবার শহরবাসীর মধ্যে গোলকধাাঁধা সৃষ্টি করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। সেক্ষেত্রে বরিশাল বিসিকে উন্নয়ন কাজ নিয়ে মেয়র সমর্থিতদের সাথে সেখানকার ব্যবসায়ীদের টানপোড়নে কিছুটা অশান্ত হয়ে ওঠা বরিশাল পরিবেশকে মোক্ষম সময়ে সহায়ক হিসেবে লুফে নিয়েছে।
কিন্তু এই গুজব যতই জোর রুপ নিচ্ছে, মেয়র সাদিক ততোই নিরব থাকাসহ পূর্বেকার মতো মাঠের রাজনীতিতে সরব না থাকায় এই খবরের অন্তরালে সত্যতা খুঁজতে সাধারন মানুষ নানা মহলে যোগাযোগ করছে। স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরাও এই গুজবের রহস্যভেদে ছুটছে দায়িত্বশীল নানা মহলের দরজায়। কিন্তু কেউই এবিষয়ে পরিস্কার ধারনা না দিয়ে অপেক্ষায় থাকার কথায় রহস্য আরও উস্কে দিচ্ছে। তবে সার্বিক প্রেক্ষাপট বলছে ভিন্ন কথা। যদি মেয়রের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েই থাকে, তাহলে বর্তমানে নগর উন্নয়ন তথা ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট নতুন আদলে তৈরীতে সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যস্ত কেন? এমন প্রশ্নের সাথে উড়ো খবরের মিল খুঁজে না পাওয়া যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে আসলেই বিষয়টি গুজব।
এতকথা তবুও কেন মেয়র সাদিক নিরব? সেক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে ঘোলাটে পরিবেশ পরিস্কার করা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তার ভাষ্য হচ্ছে- কোন প্রতিষ্ঠানিক বা বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে মেয়রের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক এই গুজব নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই, বিধায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ কিছুটা বিস্মিতি এবং সঙ্গত কারণেই নিশ্চুপ।
প্রাসঙ্গিক এই বিষয় নিয়ে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সাথে আজ অপরাহ্নে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থতায় তার কোন প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
আর এ কারণেই এখবর ধীরালয়ে গুজব আকারে প্রতিষ্ঠার পর এখন জোরালো রুপ পাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।’
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মেয়র পদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে আপাতত বিরত থাকার বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্ট এলজিইডি মন্ত্রণালয় ও দলের হাইকমান্ড থেকে গত এক সপ্তাহকাল আগে পৃথক দুটি নির্দেশনা এসেছে- এধরনের খবর বরিশাল নগরজুড়ে জোর আলোচনায় রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে গত দুদিন ধরে এই আলোচনা বাতাসের দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ায় উৎসুক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে- আসলে এখবরের সত্যতা কতটুকু, নাকি মহল বিশেষ গুজব রটিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গোলকধাঁধার সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে? যদিও মেয়রকে কেন্দ্র করে এরূপ সিদ্ধান্তের অকট্য প্রমাণ কোনো মহল বা দায়িত্বশীল সূত্র দিতে পারেনি। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এনিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যখ্যা-বিবৃতি দেওয়া হয়নি বা হচ্ছেনা।
ফলে আকস্মিক উদ্ভাবিত এই উড়ো খবরের সত্য- মিথ্যা নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে চলমান আলোচনার অবসান ঘটছে না, বরং উৎসুক প্রশ্নের আরও ডালপালা বিস্তৃতি ঘটছে। অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলে বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। কোথা থেকে এই গুজবের সৃষ্টি সে ধারনা না পাওয়া গেলেও এই কর্মকর্তার বক্তব্য হচ্ছে, দলের মধ্যেকার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার সন্ধানী সুযোগ এবং মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে সামাজিকভাবে বিতর্কের মাঝে ঘুরপাক খাওয়াতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।
তবে এই গুজব বা খবরের সত্যতা অনুসন্ধানে ধারণা মেলে নগর উন্নয়ন অর্থাৎ মূল শহর অভ্যন্তরে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হলেও সংস্কার উদ্যোগ সাময়িক কিছুদিন স্থগিত থাকার কারণেই এই গুজব রটাতে সহায়ক হয়। তার ওপর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ গত একমাসকাল শূন্য থাকার পরও নতুন কর্মকর্তার যোগদান প্রক্রিয়ার কালবিলম্ব ঘটাও অন্যতম কারণ। আবার কারও দাবি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তিন দফা আসা তদন্ত টিমের কাছে সিটি কর্পোরেশনের ৬ কোটি টাকার ব্যয় নিয়ে অনিয়ম ধরা পড়ায় মেয়রের ব্যর্থতা থেকেও এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সর্বশেষ বরিশাল বিসিকের ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে একজন শিল্প উদ্যোক্তার সাথে বিরোধ থেকে তার অনুসারীদরে অব্যাহত সন্ত্রাস এবং বরিশাল অচল করে একজন যুবলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে থানা ঘেরাও করায় দলীয় হাইকমান্ড মহানগর রাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ওপর নাখোশ হওয়ায় তার ক্ষমতা খর্ব করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক এই বিষয় নিয়ে নানা মন্তব্য আলোচনায় আসলেও যদি ঘটনা সত্যিই হয়ে থাকে, তবে কবে-কখন মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে, এবিষয়ে কেউ কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারছে না। সবই ধারণাপ্রসূত তথ্য যা গুজবে আকারে এক কান থেকে দুইকানে পৌছে গোটা নগরীতে ছড়িয়ে পড়ে। আবার বেশকিছু সূত্র বলছে , বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল আ’লীগ নেতা নাম প্রকাশে অপারগতার শর্তে এই খবরকেও সত্য বলে দাবি করায় বিষয়টি সন্দেহ আরও প্রকট আকার ধারণ করে। মেয়রকে অব্যাহতি দেয়ার প্রসঙ্গে এসকল নেতৃবৃন্দ যুক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে খবরের বাস্তবতার আলামত হিসেবে উপস্থাপন করেন, গত দুইমাস ধরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বন্ধের বিষয়টি।
তাছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও বরিশালের ক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত কেনো? এমন প্রশ্নের সাথে নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগদানে অনিহা প্রকাশ করায় কালক্ষেপনের বিষয়টিও মূল্যায়নে তালিকায় উপস্থাপন করে তাদের কাছে প্রাপ্ত খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে চায়।
অপর একটি সূত্র খোদ দলীয় নেতৃবৃন্দের এই অভিমতকে উড়িয়ে না দিয়ে সহমত পোষণ করে বলছে, একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ও তার দলীয় অনুসারীদের বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিয়ে বরিশাল পরিস্থিতি নাজুক বলে উল্লেখ করায় সেখানে উদীয়মান এই নেতার ব্যর্থতার প্রসঙ্গ দলীয় হাইকমান্ড মূল্যায়ন করে তার ক্ষমতা খর্ব করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। সঙ্গত কারণে বরিশাল আ’লীগ দুই ভাগে বিভক্ত একাংশের অনুসারীরা এমন অনুমাননির্ভর তথ্যের সংমিশ্রণে কথার মালা গেঁথে এই গুজব সহসায় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হয়েছে, এমনটি মনে করছেন মেয়র সাদিক সমর্থিতরা।
এই নেতার অনুসারীদের মন্তব্য হচ্ছে, ‘হঠাৎ সৃষ্টি খবরটি’ সমূলেই গুজব। এবং রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে করে অপর একটি অংশ নিজেদের বলয় বৃদ্ধির যেমন কৌশল নিয়েছে। পাশাপশি মেয়রকে বিতর্কের মাঝে ফেলায় সর্বশেষ পন্থা হিসেবে এমন গুজব দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠা করার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রেখে চলেছে। এই গুজব নতুন নয়, মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেয়ার পর নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হলে অপর সেই অংশটি নাখোশ হওয়াসহ মাঠের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ায়ে সময়বিশেষ এমন গুজব প্রতিষ্ঠায় জোর বাতাস বইয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার সর্বশেষ বর্তমান সময়ে আবার তৎপর হয়ে উঠায় এবার শহরবাসীর মধ্যে গোলকধাাঁধা সৃষ্টি করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। সেক্ষেত্রে বরিশাল বিসিকে উন্নয়ন কাজ নিয়ে মেয়র সমর্থিতদের সাথে সেখানকার ব্যবসায়ীদের টানপোড়নে কিছুটা অশান্ত হয়ে ওঠা বরিশাল পরিবেশকে মোক্ষম সময়ে সহায়ক হিসেবে লুফে নিয়েছে।
কিন্তু এই গুজব যতই জোর রুপ নিচ্ছে, মেয়র সাদিক ততোই নিরব থাকাসহ পূর্বেকার মতো মাঠের রাজনীতিতে সরব না থাকায় এই খবরের অন্তরালে সত্যতা খুঁজতে সাধারন মানুষ নানা মহলে যোগাযোগ করছে। স্থানীয় মিডিয়াকর্মীরাও এই গুজবের রহস্যভেদে ছুটছে দায়িত্বশীল নানা মহলের দরজায়। কিন্তু কেউই এবিষয়ে পরিস্কার ধারনা না দিয়ে অপেক্ষায় থাকার কথায় রহস্য আরও উস্কে দিচ্ছে। তবে সার্বিক প্রেক্ষাপট বলছে ভিন্ন কথা। যদি মেয়রের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েই থাকে, তাহলে বর্তমানে নগর উন্নয়ন তথা ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট নতুন আদলে তৈরীতে সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যস্ত কেন? এমন প্রশ্নের সাথে উড়ো খবরের মিল খুঁজে না পাওয়া যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে আসলেই বিষয়টি গুজব।
এতকথা তবুও কেন মেয়র সাদিক নিরব? সেক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে ঘোলাটে পরিবেশ পরিস্কার করা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তার ভাষ্য হচ্ছে- কোন প্রতিষ্ঠানিক বা বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে মেয়রের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক এই গুজব নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই, বিধায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ কিছুটা বিস্মিতি এবং সঙ্গত কারণেই নিশ্চুপ।
প্রাসঙ্গিক এই বিষয় নিয়ে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সাথে আজ অপরাহ্নে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থতায় তার কোন প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
আর এ কারণেই এখবর ধীরালয়ে গুজব আকারে প্রতিষ্ঠার পর এখন জোরালো রুপ পাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।’

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৫
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.