Bkash

আন্তর্জাতিক

মাস্কের নতুন দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৬ জুলাই, ২০২৫ ১৬:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মাস্কের নতুন দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

তিনি জানান, ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। দলটিকে তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের আধিপত্যের বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নাটকীয় বিরোধে জড়িয়ে পড়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই এ ঘোষণা দিলেন তিনি। তবে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্ম নেওয়ায় মাস্ক নিজে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য। দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন, তাও উল্লেখ করেননি তিনি।

ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানোর সময়ই মাস্ক প্রথম এই দল গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং তার সাবেক মিত্র ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন।

সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক্স-এ একটি মতামত জরিপ চালান, যেখানে তিনি অনুসারীদের জিজ্ঞেস করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কি না। শনিবার সেই জরিপের প্রসঙ্গ টেনে মাস্ক লেখেন, ‘জরিপে অংশগ্রহণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ নতুন দল চেয়েছেন এবং সেটাই আপনারা পেতে চলেছেন!’

এক্সে তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশকে অপচয় ও দুর্নীতিতে দেউলিয়া করে ফেলার ক্ষেত্রে আমরা একদলীয় শাসনে বাস করি, কোনও প্রকৃত গণতন্ত্রে নয়। আজ আমেরিকা পার্টি গঠিত হলো আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে।’

শনিবার পর্যন্ত দলটির নিবন্ধনের কোনো কাগজপত্র যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইলেকটোরাল কমিশন প্রকাশ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত দুই প্রধান দলের বাইরে থেকে রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলার চেষ্টা আগে অনেকেই করেছেন। তবে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বাস্তব হুমকি হয়ে ওঠা তাদের জন্য বরাবরই কঠিন হয়েছে।

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লিবার্টারিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টি এবং পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ট্রাম্প বা তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ঠেকাতে ব্যর্থ হন।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাস্ক গত বছর নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের সঙ্গে নাচতেও দেখা গেছে তাকে। এমনকি তার চার বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে সাক্ষাৎ করেন।

মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান আর্থিক পৃষ্ঠপোষকও। তিনি ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচনের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ নামে একটি নতুন দফতরের প্রধান করা হয়। দফতরটির কাজ ছিল ফেডারেল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁটের পরিকল্পনা করা।

তবে মে মাসে মাস্ক প্রশাসন ত্যাগ করলে এবং ট্রাম্পের কর ও ব্যয় পরিকল্পনার প্রকাশ্য সমালোচনা করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত এই বিল সম্প্রতি কংগ্রেসে খুব অল্প ব্যবধানে পাস হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাতে স্বাক্ষর করেছেন।

বিলটিতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বরাদ্দ এবং কর ছাড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং আগামী এক দশকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতিতে অতিরিক্ত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি যুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘বিলটি যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে।’ টেসলার মালিক হিসেবে মাস্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিলটিতে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বা ইলেকট্রিক গাড়ির মতো পণ্যের জন্য কোনও প্রণোদনা রাখা হয়নি।

ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘ইতিহাসে কোনও মানুষ এত বেশি ভর্তুকি পেয়েছেন বলে জানা যায় না, যতটা মাস্ক পেয়েছেন। ভর্তুকি ছাড়া ইলন সম্ভবত দোকান বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতেন।’

তিনি আরও বলেন, সরকারি দক্ষতা বিভাগকে মাস্কের কোম্পানিগুলোর জন্য দেওয়া ভর্তুকি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হবে। ট্রাম্প মাস্কের অন্যান্য ব্যবসার দিকেও ইঙ্গিত করেন।

এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন এবং ট্রাম্পের করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধি বিলের সমর্থন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের পরবর্তী নির্বাচনে হারাতে অর্থ ব্যয় করবেন।

রিপাবলিকানদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী কংগ্রেস নির্বাচনে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন:

বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় বাজেটে কাটছাঁটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ দেশের ছোট-বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থি দলগুলোর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরণের আন্দোলনের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে।

ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী হওয়ার তথ্য দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ও ধস্তাধস্তি

প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।

বিক্ষোভের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। দেশজুড়ে ওষুধের দোকানগুলোর ৯৮ শতাংশও বন্ধ রয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ফলে প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

বিক্ষোভের কারণ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

মূল কারণ হল জাতীয় বাজেটে কাটছাঁট। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারকে স্বস্তি দিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজেটের বিভিন্ন খাত থেকে মোট ৪,৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

বায়রো আস্থা ভোটে পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করা হয়নি।

নাগরিক ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া

৩৬ বছর বয়সী আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে এসেছি কারণ আমি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি পছন্দ করি না। গণপরিষেবা ও সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানো উচিত নয়, বরং বাড়ানো হোক। ধনীদের কর আরও বাড়ানো হোক।’

ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেট জানান, ‘আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। ধনীদের তুষ্ট রাখার নীতি থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও বলেছেন, ‘বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থামিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভালো হবে। না হলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে।’ কট্টর বামপন্থি দলগুলোর জোট এলএফআই সতর্ক করেছে, ‘সরকারের যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।’

নেপালে ফের বিক্ষোভ, নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও চায় না জেন-জি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নেপালে ফের বিক্ষোভ, নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও চায় না জেন-জি

নেপালে আবারও রাজপথে নেমেছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগ দাবি করে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর বালুওয়াটারের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি শক্তিশালী অংশ।

তরুণদের আইকন সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ থেকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ—গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বণ্টনের আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি, অথচ এই আন্দোলনের জোরেই কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন।

নেপালের ডিজিটাল ম্যাগাজিন সেতোপতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং স্লোগান দিয়ে কার্কির পদত্যাগ দাবি করে। তাদের ভাষ্য, ‘আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই সরকার গঠিত হয়েছে—তাহলে সিদ্ধান্তের সময় আমাদের পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না?’

বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন গত সপ্তাহে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

গুরুং স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তার কথায়, ‘আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।’

রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়ালের নিয়োগ। গুরুংসহ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, আরিয়াল ভেতরের খেলায় নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করেছেন। শান্তি-নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই পদে নিয়োগের প্রশ্ন তাই এখন জনমতের কেন্দ্রে। এছাড়া সুশীলা কার্কি শপথ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল জেন-জি আন্দোলনের চাপের মুখে। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি ওম প্রকাশ আরিয়ালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন, রমেশ্বর খানালকে অর্থ এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব যদি সমাধান না হয়, তবে নেপালের রাজনীতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। একদিকে তরুণদের বিক্ষোভ তীব্র হতে পারে, অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নিতে পারে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের দাবি পূরণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র পথ হলো দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতা। তা না হলে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচিরেই নতুন ঝড় বইতে পারে।

বিহারের পর আসাম, ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে ছাত্র আন্দোলন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিহারের পর আসাম, ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে ছাত্র আন্দোলন

জেন জি বিক্ষোভে নেপালে যখন সরকার পতন হয়েছে, তখন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী ভারতেও। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে মানুষ।

গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছিল বিহারের বিভিন্ন এলাকা। এবার বিক্ষোভে উত্তাল হলো দেশটির আরেক রাজ্য আসাম।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় মোড়ান সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের দাবি— অবিলম্বে মোড়ানদের ‘তফসিলি উপজাতি’ (এসটি) মর্যাদা দিতে হবে।

অল মোড়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএমএসইউ) নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয় তালাপ, কাকোপাথার ও মার্ঘেরিটায় ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে। এর পর তারা তিনসুকিয়া শহরে এক বিশাল সমাবেশ করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের আসাম সফরের ঠিক আগে এই বিক্ষোভ পুরো শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় বরগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।

সমাবেশে এএমএসইউ সভাপতি পোলিন্দ্র বরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে মোড়ানসহ আরও পাঁচটি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা দেওয়া হবে।

কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও কিছুই হলো না। সরকার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে যদি আমাদের এসটি মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূরণ না হয়, আমরা আরও তীব্র আন্দোলনে যাবো।

বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার যদি স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধ।একই সুরে এএমএসইউ সাধারণ সম্পাদক জয়কান্ত মোড়ান বলেন, কংগ্রেস আমাদের ঠকিয়েছে, আঞ্চলিক দল আসাম গণপরিষদ (এজিপি) ঠকিয়েছে, আর এখন বিজেপিও একই কাজ করছে। আমাদের সবসময় রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে।

এএমএসইউ মোদীর আসন্ন সফরকে সামনে রেখে মোড়ানদের প্রতিশ্রুতি পূরণের সময়সীমা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভের পর তিনসুকিয়া থানার চারিআলিতেও এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রনেতারা মোড়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.