
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৪
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় বাজেটে কাটছাঁটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ দেশের ছোট-বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থি দলগুলোর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরণের আন্দোলনের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে।
ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী হওয়ার তথ্য দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ও ধস্তাধস্তি
প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।
বিক্ষোভের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। দেশজুড়ে ওষুধের দোকানগুলোর ৯৮ শতাংশও বন্ধ রয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ফলে প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভের কারণ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
মূল কারণ হল জাতীয় বাজেটে কাটছাঁট। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারকে স্বস্তি দিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজেটের বিভিন্ন খাত থেকে মোট ৪,৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
বায়রো আস্থা ভোটে পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করা হয়নি।
নাগরিক ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া
৩৬ বছর বয়সী আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে এসেছি কারণ আমি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি পছন্দ করি না। গণপরিষেবা ও সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানো উচিত নয়, বরং বাড়ানো হোক। ধনীদের কর আরও বাড়ানো হোক।’
ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেট জানান, ‘আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। ধনীদের তুষ্ট রাখার নীতি থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও বলেছেন, ‘বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থামিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভালো হবে। না হলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে।’ কট্টর বামপন্থি দলগুলোর জোট এলএফআই সতর্ক করেছে, ‘সরকারের যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।’
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় বাজেটে কাটছাঁটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ দেশের ছোট-বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থি দলগুলোর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরণের আন্দোলনের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে।
ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী হওয়ার তথ্য দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ও ধস্তাধস্তি
প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।
বিক্ষোভের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। দেশজুড়ে ওষুধের দোকানগুলোর ৯৮ শতাংশও বন্ধ রয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ফলে প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভের কারণ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
মূল কারণ হল জাতীয় বাজেটে কাটছাঁট। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারকে স্বস্তি দিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজেটের বিভিন্ন খাত থেকে মোট ৪,৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
বায়রো আস্থা ভোটে পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করা হয়নি।
নাগরিক ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া
৩৬ বছর বয়সী আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে এসেছি কারণ আমি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি পছন্দ করি না। গণপরিষেবা ও সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানো উচিত নয়, বরং বাড়ানো হোক। ধনীদের কর আরও বাড়ানো হোক।’
ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেট জানান, ‘আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। ধনীদের তুষ্ট রাখার নীতি থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও বলেছেন, ‘বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থামিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভালো হবে। না হলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে।’ কট্টর বামপন্থি দলগুলোর জোট এলএফআই সতর্ক করেছে, ‘সরকারের যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫০
কেন্টাকিতে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) শনিবার (৮ নভেম্বর) জরুরি নির্দেশ জারি করে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে।
গত মঙ্গলবার ইউপিএস পরিচালিত একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ বিমান লুইসভিল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যায়। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন ক্রু সদস্যও ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপরই ইউপিএস ও ফেডেক্স নিজেদের এমডি-১১ বহর সাময়িকভাবে গ্রাউন্ড করে, আর বিমান প্রস্তুতকারক বোয়িং (যা ১৯৯৭ সালে ম্যাকডনেল ডগলাস অধিগ্রহণ করে) সকল অপারেটরকে একই পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এফএএ-এর জরুরি নির্দেশে বলা হয়, বিমানটির বাম ইঞ্জিন ও পাইলন উড্ডয়নের সময় আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এই ধরনের ত্রুটি অন্য একই নকশার বিমানে বিদ্যমান বা ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে বলে সংস্থা নির্ধারণ করেছে।
ইউপিএস জানিয়েছে, তারা সতর্কতার স্বার্থে এবং নিরাপত্তার কারণে তাদের এমডি-১১ বহর সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এই মডেল তাদের পুরো বহরের প্রায় ৯ শতাংশ।
ফেডেক্স-ও জানিয়েছে, তারা তাদের ২৮টি এমডি-১১ বিমান চলাচল (মোট ৭০০ বিমানের বহর থেকে) বন্ধ রেখেছে।
উভয় সংস্থাই জানিয়েছে, তারা বোয়িংয়ের সুপারিশ অনুসারে কাজ করছে।
বোয়িং এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এমডি-১১ ফ্রেইটারের তিনটি অপারেটরকেই উড্ডয়ন স্থগিতের পরামর্শ দিয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অতিরিক্ত প্রকৌশল বিশ্লেষণ সম্পন্ন না হয়।
কেন্টাকিতে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) শনিবার (৮ নভেম্বর) জরুরি নির্দেশ জারি করে সব এমডি-১১ কার্গো বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে।
গত মঙ্গলবার ইউপিএস পরিচালিত একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ বিমান লুইসভিল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যায়। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন ক্রু সদস্যও ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপরই ইউপিএস ও ফেডেক্স নিজেদের এমডি-১১ বহর সাময়িকভাবে গ্রাউন্ড করে, আর বিমান প্রস্তুতকারক বোয়িং (যা ১৯৯৭ সালে ম্যাকডনেল ডগলাস অধিগ্রহণ করে) সকল অপারেটরকে একই পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এফএএ-এর জরুরি নির্দেশে বলা হয়, বিমানটির বাম ইঞ্জিন ও পাইলন উড্ডয়নের সময় আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এই ধরনের ত্রুটি অন্য একই নকশার বিমানে বিদ্যমান বা ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে বলে সংস্থা নির্ধারণ করেছে।
ইউপিএস জানিয়েছে, তারা সতর্কতার স্বার্থে এবং নিরাপত্তার কারণে তাদের এমডি-১১ বহর সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এই মডেল তাদের পুরো বহরের প্রায় ৯ শতাংশ।
ফেডেক্স-ও জানিয়েছে, তারা তাদের ২৮টি এমডি-১১ বিমান চলাচল (মোট ৭০০ বিমানের বহর থেকে) বন্ধ রেখেছে।
উভয় সংস্থাই জানিয়েছে, তারা বোয়িংয়ের সুপারিশ অনুসারে কাজ করছে।
বোয়িং এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এমডি-১১ ফ্রেইটারের তিনটি অপারেটরকেই উড্ডয়ন স্থগিতের পরামর্শ দিয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত অতিরিক্ত প্রকৌশল বিশ্লেষণ সম্পন্ন না হয়।

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৩
গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিস শুক্রবারের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত ৩৭ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির রয়েছেন। তবে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। খবর আল জাজিরার।
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগ এনেছে তুরস্ক। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় পরিকল্পিতভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছেন তারা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জন নিহত হয়; ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেয়; ... গাজা অবরোধ করা হয় এবং ভুক্তভোগীদের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় তুরস্ক নির্মিত তুর্কি-ফিলিস্তিনি মৈত্রী হাসপাতালে গত মার্চে ইসরায়েলের বোমা হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে তুরস্কের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিডিয়ন সার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, অত্যাচারী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সর্বশেষ এই পদক্ষেপকে ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাকে তুরস্কের জনগণ এবং তাদের নেতাদের আন্তরিক অবস্থানের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ন্যায়বিচার, মানবতা এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তুর্কি জনগণ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রায় এক বছর পর তুরস্কের এই ঘোষণা সামনে এলো।
গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় তুরস্কও যোগ দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছে।
গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিস শুক্রবারের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত ৩৭ জন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির রয়েছেন। তবে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। খবর আল জাজিরার।
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগ এনেছে তুরস্ক। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় পরিকল্পিতভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছেন তারা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জন নিহত হয়; ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেয়; ... গাজা অবরোধ করা হয় এবং ভুক্তভোগীদের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে গাজা উপত্যকায় তুরস্ক নির্মিত তুর্কি-ফিলিস্তিনি মৈত্রী হাসপাতালে গত মার্চে ইসরায়েলের বোমা হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে তুরস্কের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিডিয়ন সার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, অত্যাচারী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সর্বশেষ এই পদক্ষেপকে ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েল।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাকে তুরস্কের জনগণ এবং তাদের নেতাদের আন্তরিক অবস্থানের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ন্যায়বিচার, মানবতা এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তুর্কি জনগণ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ’-এর অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রায় এক বছর পর তুরস্কের এই ঘোষণা সামনে এলো।
গত বছর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় তুরস্কও যোগ দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৮৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছে।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক স্কুল কমপ্লেক্সের মসজিদে শুক্রবারের (৭ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
জাকার্তা পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে উত্তর জাকার্তার কেলাপা গাডিং এলাকায়। আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর, এবং অনেকের শরীরে দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।
জাকার্তা শহরের পুলিশপ্রধান আসেপ এদি সুহেরি স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের টেপে এবং ঘটনাস্থলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মসজিদের ভবনে বড় ধরনের ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এক স্কুল কমপ্লেক্সের মসজিদে শুক্রবারের (৭ নভেম্বর) জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
জাকার্তা পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে উত্তর জাকার্তার কেলাপা গাডিং এলাকায়। আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর, এবং অনেকের শরীরে দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।
জাকার্তা শহরের পুলিশপ্রধান আসেপ এদি সুহেরি স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত দৃশ্যে দেখা যায়, স্কুলটি ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের টেপে এবং ঘটনাস্থলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। তবে মসজিদের ভবনে বড় ধরনের ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.