primary-ads

সারাদেশ

সহকারী জজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, আত্মসমর্পণ করে জামিন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৮ জুলাই, ২০২৫ ২১:৩৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সহকারী জজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, আত্মসমর্পণ করে জামিন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ মো. দোলন হাসান। আজ (রোববার, ২৭ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে দোলন হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে দুপক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চুয়াডাঙ্গার সহকারী জজ দোলন হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ২৫ বছর বয়সী ভুক্তভোগী তরুণী। মন দেয়া নেয়ার একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে মিরপুরের শেওড়াপাড়ার বর্ডার বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। এরপর ২০২৩ সাল থেকে গত তিন বছরে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের মাঝে।

এরপর বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে তরুণীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিচারক দোলন। কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী তরুণী। পরে মামলার এজাহার হিসেবে গণ্য করে মামলা গ্রহণ করেন আদালত।

রোববার জামিন শুনানি শেষে আদালত সহকারী জজ মো. দোলন হোসেনকে জামিন দিয়েছেন। আসামিকে জামিন দেয়ার ক্ষোভ জানায় ভুক্তভোগীর আইনজীবী এবিএম সিদ্দিকী। বলেন, ‘বিয়ের কথা বলে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। বিয়ে না করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।’

টিকটকে প্রেম, মাদারীপুরে এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ জুলাই, ২০২৫ ১৯:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

টিকটকে প্রেম, মাদারীপুরে এসে তরুণীকে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

টিকটকে পরিচয় ও ইউটার্চে চার মাসের প্রেম তাদের। অতঃপর চীন থেকে বাংলাদেশের মাদারীপুরে এসে তরুণীকে বিয়ে করেছেন সিতিয়ান জিং (২৬) নামের এক যুবক। বিয়ের পর সিতিয়ান জিং শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।

রোববার (২৭ জুলাই) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষের চরের কনের বাড়িতে পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। সিতিয়ান জিং চীনের সাং হাই শহরের সি জিং নিংয়ের ছেলে। তারা দুই ভাই।সাং হাই শহরে তার রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে। কনের নাম সুমাইয়া আক্তার। তিনি উত্তর মহিষেরচর এলাকার সাইদুর মুন্সির মেয়ে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, সিতিয়ান জিংয়ের সঙ্গে টিকটকে পরিচয় হয় সুমাইয়ার। পরে ইউটার্চের মাধ্যমে কথা আদান প্রদান হয়। উভয়ই সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক হয়।

চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন সিতিয়ান জিং। একদিন ঢাকায় থেকে ২৬ জুলাই মাদারীপুর মহিষের চরের সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন তিনি। সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা ও তার দুই আত্মীয় ঢাকা থেকে তাকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন।

বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন সিতিয়ান জিং। পরে ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে আশপাশের মানুষ ভিড় করতে থাকেন।

এ বিষয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন, চার মাসের প্রেমের সূত্রে চীন থেকে বাংলাদেশ চলে আসবেন এটা কখনও ভাবিনি। প্লেনে উঠার সময় তিনি বলেছেন আমি বাংলাদেশে আসতেছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করেনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি।

ওর তার মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। ওরাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই সিতিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন। এরমধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। ও এক মাস বাংলাদেশে থাকবেন। এরমধ্যে আমার সব কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।

সিতিয়ান জিং বলেন, বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে। আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। আমার পরিবার সব জানে।

প্রতিবেশী একজন বলেন, চীন দেশের এক নাগরিক এখানে এসে আমার প্রতিবেশী বোন সুমাইয়াকে বিয়ে করেছেন। আমার এতে খুব খুশি। তাছাড়া তাকে দেখার জন্য আশপাশের মানুষজন ভিড় করছে।

পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, কয়েকদিন আগে চীন থেকে এক ছেলে এখানে এসেছেন। তার সঙ্গে আমাদের এলাকার সুমাইয়ার বিয়ে হয়। প্রথমে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। পরে সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। শুনেছি চীনের ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছুদিনের মধ্যে সুমাইয়াকেও নিয়ে যাবে।

চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতিসহ আটক ৪

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতিসহ আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: চাঁদা আদায়ের অভিযোগে নাটোরে জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড সভাপতিসহ চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার আহাম্মেদপুর বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াত সভাপতি ও তার সহযোগীরা আহাম্মেদপুর বাজারের অন্তত ১০টি দোকানে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে দেন। তারা প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করছিলেন।

দোকান মালিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জবরদস্তি করে দোকান বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাইলে নাটোরের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী এবং বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে তারা তালা খুলে ব্যবসা চালুর ব্যবস্থা করেন এবং অভিযুক্ত জামায়াত নেতাসহ চারজনকে আটক করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ডাকাতি করতে গিয়ে আটক যুবদল নেতা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ জুলাই, ২০২৫ ১৩:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ডাকাতি করতে গিয়ে আটক যুবদল নেতা

দিনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মিছিলকারী স্থানীয় যুবদল নেতা মামুন রাতে ডাকাতি করতে গিয়ে আটক হয়েছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এই ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। ওই যুবদল নেতার নাম মামুন হোসেন (৩৮)। কুমারখালী জিয়া মঞ্চের নেতা রাকিবের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত ২৪ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি। পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুব জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শোভনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এই মিছিলের সামনে ব্যানার ধরে থাকা যুবদল নেতা মামুন হোসেন ওই রাতেই উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোরশেদপুর এসবিসি ইটভাটায় নৈশপ্রহরী লেন্টু শেখের মাথার আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি করে। ডাকাত দল ইটভাটার একটি ট্রাক্টরের ইঞ্জিনসহ সামনের অংশ এবং অন্য একটি ট্রাক্টরের ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। ট্রাক্টরের ইঞ্জিন ও ব্যাটারির বাজারমূল্য প্রায় ১৬ লাখ ১২ হাজার টাকা বলে জানা যায়।

সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায়- পুলিশের সাথে থানায় হাতকড়া অবস্থায় থাকা এবং প্রতিবাদ মিছিলে অগ্রভাগের নেতৃত্ব দেয়ার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল। কুমারখালীর স্থানীয় বিএনপির নেতারা এ নিয়ে রয়েছেন বিব্রত ও অস্বস্তিতে। কুমারখালী থানা পুলিশ গত রোববার ২৭ জ্লুাই যুবদল নেতা মামুন ও অপর ডাকাত মো: রমজানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মামুন হোসেন নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুজরুক বাঁখই গ্রামের মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের ছেলে। তিনি গত কয়েক বছর সিঙ্গাপুর ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে যুবদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে মামুনকে সক্রিয় দেখা যায়।

জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ের পদ পেতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। গত বছর নিজ গ্রামে রাতে এক এনজিও নারী কর্মীকে মাঠে নিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল মামুন। সম্প্রতি এক নারীকে কুরবানীর গোস্ত চুরির অভিযোগ তুলে মামুন ঐ নারীকে নির্যাতন চালায়। এতে থানায় মামলা হলে আসামি ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করেন তিনি। তখন কুমারখালী থানায় পুলিশের উপর চড়াও হতে দেখা যায় তাকে। মামুনের বড় ভাই সুমনের বিরুদ্ধেও অস্ত্রবাজি-ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।

কুমারখালী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হাসান রজন বলেন, মামুন যুবদলের কোনো নেতা না। জিয়া মঞ্চের উপজেলা আহ্বায়ক ইজারাদার রাকিবের আত্মীয় হওয়াই সে ঐদিন মিছিলে এসেছিল। উপজেলা বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত মিছিলে মামুন কিভাবে সামনের সারিতে থাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাজন কোনো উত্তর না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গ টানেন।

মামুনের গ্রামে সরেজমিনে গেলে একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সে। কুজে নজরুলসহ ১০/১২ জনের চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে নিয়ে মামুন জমি দখল, শালিসের নামে চাঁদাবাজি, জোর করে গাছ, গরু-ছাগল, মাছ লুটের সাথে তারা জড়িত। অস্ত্রধারী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করে না।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.