
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:২০
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে পিরোজপুরের পশুর হাটগুলো। তবে হাটে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা ও দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। দাম যাচাই করে চলে যাচ্ছেন অনেকে। এতদিন ধরে কষ্ট করে বড় করা কোরবানির পশুটি কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে অনেক খামারিকে।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাট ঘুরে গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীঘিরজান হাটে দেখা যায়, পিরোজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ট্রাক ভরে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। কোরবানির গরুতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে পুরো পশুর হাট।
ছোট-বড় সব ধরনের কোরবানির পশুর নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। ট্রাকভর্তি গরু, সাজানো পশুর সারি, উচ্চস্বরে ডাক সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু এতসব আয়োজনের মাঝেও নেই কাঙ্ক্ষিত সেই ক্রেতা। ফলে দিন শেষে পশু বিক্রির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
গরু নিয়ে আসা খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, বছরজুড়ে কষ্ট করে বড় করেছি কোরবানির গরু। খাবার, চিকিৎসা, পরিচর্যা সব কিছুতেই প্রচুর খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন হাটে গরুর প্রকৃত দাম পাচ্ছি না। লোক আসে, দেখে, দাম জেনে চলে যায়।
দীঘিরজান হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি লিটু শেখ বলেন, আমি একটি গরু লালন-পালন করেছি। এই গরুর পেছনে আমার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার ওপরে। কিন্তু এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি কেউ দিতে চায় না। আমরা তো এত কমে দিলে লোকসান ছাড়া কিছুই থাকছে না।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছেন বেপারী মো. রেদোয়ান। তিনি বলেন, দীঘিরজান হাট সব থেকে বড় হাট। তাই আমি বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরুগুলো কিনে নিয়ে প্রথম এখানেই এসেছি। একটি গরু বিক্রি করেছি। ক্রেতা খুব কম, যারা আছেন তারা দাম ঠিকঠাক বলছেন না। প্রত্যেকটা গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম বলছেন।
ক্রেতারা বলছেন, তারা এখনো বাজার যাচাই করছেন। ঈদের আরও কিছুদিন বাকি থাকায় অনেকে অপেক্ষায় আছেন দাম আরও কিছুটা কমে গেলে কিনবেন। সাজিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকে মূলত গরু দেখতে এসেছি। গরুর দাম এবছর কমই মনে হচ্ছে। দু-একদিন পরে গরু কিনবো। কেননা আজই গরু কিনে বাড়িতে এতদিন রাখার সুযোগ নাই।
এদিকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা এড়াতে নিয়মিত নজরদারি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং জাল টাকা নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে তাদের।
উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান শরিফ বলেন, গরুর হাট শতবর্ষ পুরনো একটি হাট। এটি পিরোজপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। এ বছর এই হাটে প্রচুর পরিমাণ গরুর আমদানি হয়েছে।
তবে ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দাম কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল চলছে। প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হেলথ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আশাকরি, ধীরে ধীরে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে জেলার ছোট-বড় প্রায় ৫৩ হাজার বিভিন্ন জাতের পশুর খামার থেকে কোরবানিযোগ্য ৪৬ হাজার ৯৩৫টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ষাঁড় ও গাভী গরু মিলিয়ে রয়েছে মোট ২৬ হাজার ৯২০টি, মহিষ রয়েছে ২১০টি, ছাগল রয়েছে ১৭ হাজার ৭০০টি, ভেড়া রয়েছে ১৮ হাজার ৮৭টি এবং অন্যান্য কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮টি। এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ২৫৭টি।
উদ্বৃত্ত বা বাড়তি পশু রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬৭৮টি, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া পিরোজপুর জেলায় যে পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ আছে, তাতে প্রায় ২১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা লেনদেন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে পিরোজপুরের পশুর হাটগুলো। তবে হাটে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা ও দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। দাম যাচাই করে চলে যাচ্ছেন অনেকে। এতদিন ধরে কষ্ট করে বড় করা কোরবানির পশুটি কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে অনেক খামারিকে।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাট ঘুরে গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীঘিরজান হাটে দেখা যায়, পিরোজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ট্রাক ভরে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। কোরবানির গরুতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে পুরো পশুর হাট।
ছোট-বড় সব ধরনের কোরবানির পশুর নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। ট্রাকভর্তি গরু, সাজানো পশুর সারি, উচ্চস্বরে ডাক সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু এতসব আয়োজনের মাঝেও নেই কাঙ্ক্ষিত সেই ক্রেতা। ফলে দিন শেষে পশু বিক্রির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
গরু নিয়ে আসা খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, বছরজুড়ে কষ্ট করে বড় করেছি কোরবানির গরু। খাবার, চিকিৎসা, পরিচর্যা সব কিছুতেই প্রচুর খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন হাটে গরুর প্রকৃত দাম পাচ্ছি না। লোক আসে, দেখে, দাম জেনে চলে যায়।
দীঘিরজান হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি লিটু শেখ বলেন, আমি একটি গরু লালন-পালন করেছি। এই গরুর পেছনে আমার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার ওপরে। কিন্তু এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি কেউ দিতে চায় না। আমরা তো এত কমে দিলে লোকসান ছাড়া কিছুই থাকছে না।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছেন বেপারী মো. রেদোয়ান। তিনি বলেন, দীঘিরজান হাট সব থেকে বড় হাট। তাই আমি বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরুগুলো কিনে নিয়ে প্রথম এখানেই এসেছি। একটি গরু বিক্রি করেছি। ক্রেতা খুব কম, যারা আছেন তারা দাম ঠিকঠাক বলছেন না। প্রত্যেকটা গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম বলছেন।
ক্রেতারা বলছেন, তারা এখনো বাজার যাচাই করছেন। ঈদের আরও কিছুদিন বাকি থাকায় অনেকে অপেক্ষায় আছেন দাম আরও কিছুটা কমে গেলে কিনবেন। সাজিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকে মূলত গরু দেখতে এসেছি। গরুর দাম এবছর কমই মনে হচ্ছে। দু-একদিন পরে গরু কিনবো। কেননা আজই গরু কিনে বাড়িতে এতদিন রাখার সুযোগ নাই।
এদিকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা এড়াতে নিয়মিত নজরদারি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং জাল টাকা নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে তাদের।
উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান শরিফ বলেন, গরুর হাট শতবর্ষ পুরনো একটি হাট। এটি পিরোজপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। এ বছর এই হাটে প্রচুর পরিমাণ গরুর আমদানি হয়েছে।
তবে ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দাম কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল চলছে। প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হেলথ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আশাকরি, ধীরে ধীরে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে জেলার ছোট-বড় প্রায় ৫৩ হাজার বিভিন্ন জাতের পশুর খামার থেকে কোরবানিযোগ্য ৪৬ হাজার ৯৩৫টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ষাঁড় ও গাভী গরু মিলিয়ে রয়েছে মোট ২৬ হাজার ৯২০টি, মহিষ রয়েছে ২১০টি, ছাগল রয়েছে ১৭ হাজার ৭০০টি, ভেড়া রয়েছে ১৮ হাজার ৮৭টি এবং অন্যান্য কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮টি। এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ২৫৭টি।
উদ্বৃত্ত বা বাড়তি পশু রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬৭৮টি, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া পিরোজপুর জেলায় যে পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ আছে, তাতে প্রায় ২১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা লেনদেন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৪৩
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কন্যা লামিয়া আক্তার মুন্নি (১৫) এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনশনে বসেছেন মোশারফ হোসেন হাওলাদার। রোববার (০৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশনে বসেন তিনি। দুপুর ২টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম আইনগত সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জুস পান করিয়ে মোশারফ হোসেনের অনশন ভাঙান।
এর আগে, মোশারফ হোসেন একই দাবিতে গত ৪ নভেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। মোশারফ হোসেন মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে।
মোশারফ হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ২০২৩ সালের ২০ মার্চ দশম শ্রেণি পড়ুয়া তার মেয়ে লামিয়া আক্তার মুন্নি নৃশংসভাবে খুন হয়। মেয়ে হত্যার বিবরণ হিসেবে তিনি জানান, তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার সোনি সুন্দরী হাওয়ায় তৎকালীন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার লোলুপ দৃষ্টি দেয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে দিয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে তার ঘরে এক ধরনের রক্ষিতা হিসেবে রেখে দেয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী দাউদখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই পরকীয়া বৈধ করতে তার মেয়ে মুন্নিকে শহিদুল মেম্বারের ছেলে হাসানের সাথে কথিত বিয়ে দেয়। মোশারফ হোসেনের দাবি তার মেয়ের কোনো বিয়ে হয়নি। এক সময় সাহিদা আক্তার ও শহিদুল মেম্বার এলাকা থেকে পালিয়েও যায়। তিনি ধারণা করছেন, সাহিদা আক্তার ও শহিদুল মেম্বারের অবৈধ কর্মকান্ড তার মেয়ে মুন্নি দেখে ফেলায় নৃশংসভাবে খুন হয় তার মেয়ে। শহিদুল মেম্বারের বাড়ির লোকজন তার মেয়ের লাশ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। ১৮ ঘণ্টা পর তিনি মেয়ে খুনের বিষয়টি জানতে পারেন। নিজ খরচে লাশের ময়নাতদন্ত করেন। সেখানেও আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রশাসনের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করেন।
তিনি ক্ষোভের সাথে আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন, শহিদুল মেম্বার, শহিদুল মেম্বারের ছেলে হাসান ও নিহত মুন্নির মা সাহিদা আক্তার সোনি এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। কিন্তু চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার নিজেদের রক্ষা করার জন্য সেই সাহিদাকে বাদী বানিয়ে শহিদুল মেম্বারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়সারা একটি মামলা করেন। যা পরবর্তীতে অর্থের বিনিময় মীমাংসা হয়ে যায়। আমি বিজ্ঞ আদালতে আমার মেয়ে হত্যার ঘটনায় সকলকে জড়িয়ে একটি মামলা করি। কিন্তু চেয়ারম্যান রিপন জমাদারের প্রভাবে আমি এলাকায় আসতে পারিনি এবং মামলা পরিচালনাও করতে পারিনি। যে কারণে মামলাটি নষ্ট হয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। আমার মামলাটি পুনরায় চালু করে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি চাই।
অনশন চলাকালীন মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমরা মোশারফ হোসেনের মেয়ের বিচার পেতে সর্বাত্মক আইনি সহযোগিতা করব।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কন্যা লামিয়া আক্তার মুন্নি (১৫) এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনশনে বসেছেন মোশারফ হোসেন হাওলাদার। রোববার (০৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশনে বসেন তিনি। দুপুর ২টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম আইনগত সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জুস পান করিয়ে মোশারফ হোসেনের অনশন ভাঙান।
এর আগে, মোশারফ হোসেন একই দাবিতে গত ৪ নভেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। মোশারফ হোসেন মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে।
মোশারফ হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ২০২৩ সালের ২০ মার্চ দশম শ্রেণি পড়ুয়া তার মেয়ে লামিয়া আক্তার মুন্নি নৃশংসভাবে খুন হয়। মেয়ে হত্যার বিবরণ হিসেবে তিনি জানান, তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার সোনি সুন্দরী হাওয়ায় তৎকালীন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার লোলুপ দৃষ্টি দেয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে দিয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে তার ঘরে এক ধরনের রক্ষিতা হিসেবে রেখে দেয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রী দাউদখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই পরকীয়া বৈধ করতে তার মেয়ে মুন্নিকে শহিদুল মেম্বারের ছেলে হাসানের সাথে কথিত বিয়ে দেয়। মোশারফ হোসেনের দাবি তার মেয়ের কোনো বিয়ে হয়নি। এক সময় সাহিদা আক্তার ও শহিদুল মেম্বার এলাকা থেকে পালিয়েও যায়। তিনি ধারণা করছেন, সাহিদা আক্তার ও শহিদুল মেম্বারের অবৈধ কর্মকান্ড তার মেয়ে মুন্নি দেখে ফেলায় নৃশংসভাবে খুন হয় তার মেয়ে। শহিদুল মেম্বারের বাড়ির লোকজন তার মেয়ের লাশ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। ১৮ ঘণ্টা পর তিনি মেয়ে খুনের বিষয়টি জানতে পারেন। নিজ খরচে লাশের ময়নাতদন্ত করেন। সেখানেও আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন প্রশাসনের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করেন।
তিনি ক্ষোভের সাথে আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন, শহিদুল মেম্বার, শহিদুল মেম্বারের ছেলে হাসান ও নিহত মুন্নির মা সাহিদা আক্তার সোনি এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। কিন্তু চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার নিজেদের রক্ষা করার জন্য সেই সাহিদাকে বাদী বানিয়ে শহিদুল মেম্বারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দায়সারা একটি মামলা করেন। যা পরবর্তীতে অর্থের বিনিময় মীমাংসা হয়ে যায়। আমি বিজ্ঞ আদালতে আমার মেয়ে হত্যার ঘটনায় সকলকে জড়িয়ে একটি মামলা করি। কিন্তু চেয়ারম্যান রিপন জমাদারের প্রভাবে আমি এলাকায় আসতে পারিনি এবং মামলা পরিচালনাও করতে পারিনি। যে কারণে মামলাটি নষ্ট হয়ে যায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। আমার মামলাটি পুনরায় চালু করে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের শাস্তি চাই।
অনশন চলাকালীন মোশারেফ হোসেনের বক্তব্য শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমরা মোশারফ হোসেনের মেয়ের বিচার পেতে সর্বাত্মক আইনি সহযোগিতা করব।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩৬
পিরোজপুর নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই বদলে যাচ্ছে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতু এখন স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
বলদিয়া ইউনিয়নের ৩০ জন তরুণের উদ্যোগে ‘সবার আগে বলদিয়া’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে ওঠে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়নে এ পর্যন্ত ৩০টি সেতু সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয়দের মুখে মুখে তারা এখন পরিচিত ‘অদম্য যুবসমাজ’ নামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বলদিয়া ইউনিয়নের চামী ৩নং ওয়ার্ডের একতা বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির অধীনে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে তিনটি পুল দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে কোনো রোগী পরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারত না। রাস্তার ওই পুলসহ পুরো রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল একবার। সরকার পরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয়রা গাছ ও বাঁশের সাহায্যে পুল জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত। শনিবার ‘সবার আগে বলদিয়া’ সংগঠনের সদস্যরা সারাদিন স্বেচ্ছাশ্রমে তিনটি পুল সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেন। এতে ওই রাস্তা পুনরায় সচল হয়, হাসি ফোটে এলাকাবাসীর মুখে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় এতদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই তরুণরা প্রমাণ করেছে, উন্নয়নের জন্য শুধু বরাদ্দ নয়, দরকার ইচ্ছা আর আগ্রহ।’
একই ইউনিয়নের বলদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে ৬০ ফুট লম্বা একটি সেতুও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পার হতো। সংগঠনের উদ্যোগে সেটি সংস্কার করা হলে এখন শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, ‘আগে সেতু পার হতে ভয় লাগত, এখন মনে হয় নতুন রাস্তা পেয়েছি।’
উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার থেকে জিনুহার গ্রাম পর্যন্ত সড়কেও একই চিত্র। নাথপাড়া এলাকায় স্কুল, মসজিদ ও মন্দিরসংলগ্ন তিনটি পুল ১৫ বছর ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনের নেতা মো. মাসুদ পারভেজ ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে নতুন করে তিনটি সেতু নির্মিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেব তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছেন। আমরা সেই অর্থে পাঁচটি সেতু করেছি। এ ছাড়া আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে পূর্বে ২৭টি সেতু সংস্কার করেছি।’
সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের অর্থায়নে ২২টি সেতু সংস্কার করেছি। পরে সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেবের সহায়তায় আরও পাঁচটি নতুন সেতু করেছি। শনিবার চামি গ্রামে আরও তিনটি সেতু সংস্কার শেষে আমাদের মোট কাজের সংখ্যা ৩০-এ পৌঁছেছে। শুরুতে সদস্য ছিল ৩০ জন, এখন শতাধিক তরুণ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, যুবকদের এমন কাজে প্রশংসার দাবিদার এবং দৃষ্টান্ত। তিনি এ কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘অসাধারণ উদ্যোগ। অন্য ইউনিয়নের লোকগুলোও এগিয়ে আসতে পারেন এমনি করে নিজেদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য।’
পিরোজপুর নেছারাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জনপ্রতিনিধি বা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই বদলে যাচ্ছে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র। অবহেলিত জনপদের ভাঙাচোরা সড়ক ও অকেজো সেতু এখন স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত নতুন কাঠামোয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
বলদিয়া ইউনিয়নের ৩০ জন তরুণের উদ্যোগে ‘সবার আগে বলদিয়া’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে ওঠে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়নে এ পর্যন্ত ৩০টি সেতু সংস্কার করা হয়েছে। স্থানীয়দের মুখে মুখে তারা এখন পরিচিত ‘অদম্য যুবসমাজ’ নামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বলদিয়া ইউনিয়নের চামী ৩নং ওয়ার্ডের একতা বাজার থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির অধীনে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে তিনটি পুল দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ছিল। ওই রাস্তা দিয়ে কোনো রোগী পরিবহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারত না। রাস্তার ওই পুলসহ পুরো রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল একবার। সরকার পরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয়রা গাছ ও বাঁশের সাহায্যে পুল জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করত। শনিবার ‘সবার আগে বলদিয়া’ সংগঠনের সদস্যরা সারাদিন স্বেচ্ছাশ্রমে তিনটি পুল সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেন। এতে ওই রাস্তা পুনরায় সচল হয়, হাসি ফোটে এলাকাবাসীর মুখে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ না পাওয়ায় এতদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই তরুণরা প্রমাণ করেছে, উন্নয়নের জন্য শুধু বরাদ্দ নয়, দরকার ইচ্ছা আর আগ্রহ।’
একই ইউনিয়নের বলদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে ৬০ ফুট লম্বা একটি সেতুও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পার হতো। সংগঠনের উদ্যোগে সেটি সংস্কার করা হলে এখন শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে চলাচল করছে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, ‘আগে সেতু পার হতে ভয় লাগত, এখন মনে হয় নতুন রাস্তা পেয়েছি।’
উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাগরকান্দা বাজার থেকে জিনুহার গ্রাম পর্যন্ত সড়কেও একই চিত্র। নাথপাড়া এলাকায় স্কুল, মসজিদ ও মন্দিরসংলগ্ন তিনটি পুল ১৫ বছর ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর সংগঠনের নেতা মো. মাসুদ পারভেজ ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে নতুন করে তিনটি সেতু নির্মিত হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেব তিনটি সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছেন। আমরা সেই অর্থে পাঁচটি সেতু করেছি। এ ছাড়া আমরা আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে পূর্বে ২৭টি সেতু সংস্কার করেছি।’
সংগঠনের সভাপতি মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘প্রথমে নিজেদের অর্থায়নে ২২টি সেতু সংস্কার করেছি। পরে সোহেল মঞ্জুর সুমন সাহেবের সহায়তায় আরও পাঁচটি নতুন সেতু করেছি। শনিবার চামি গ্রামে আরও তিনটি সেতু সংস্কার শেষে আমাদের মোট কাজের সংখ্যা ৩০-এ পৌঁছেছে। শুরুতে সদস্য ছিল ৩০ জন, এখন শতাধিক তরুণ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, যুবকদের এমন কাজে প্রশংসার দাবিদার এবং দৃষ্টান্ত। তিনি এ কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘অসাধারণ উদ্যোগ। অন্য ইউনিয়নের লোকগুলোও এগিয়ে আসতে পারেন এমনি করে নিজেদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য।’

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৯
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে নয় দিন ধরে অনশন করছেন এক হিন্দু তরুণী। ঘটনাটি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর-সাউদখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার নানদোয়হান গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের মেয়ে সঞ্চিতা মণ্ডল (২৬) দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দুরকানী উপজেলার চর-সাউদখালী গ্রামের কবির হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদারের (১৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কের দুই মাস পর আলীর বিয়ের আশ্বাসে সঞ্চিতা কোর্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আশ্বাসে আলী তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন এবং সম্পর্কের সুযোগে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলী তার পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান এবং সম্প্রতি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গত ১ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে কোনো উপায় না দেখে সঞ্চিতা প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে।
অনশনরত সঞ্চিতা মণ্ডল বলেন, “আমি একটি এনজিওতে চাকরি করি। ফেসবুকে আলীর সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি ভারত থেকে তাকে দেশে আনার জন্য বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন বিয়ে না করলে আমার জীবনের কোনো অর্থ থাকবে না। হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা—এই দুটোই আমার সামনে।”
আলীর মা রেশমা বেগম বলেন, “ছেলে এখন ভারতে আছে। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব।”
প্রেমিক আলী হাওলাদারের ভারতীয় মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে নয় দিন ধরে অনশন করছেন এক হিন্দু তরুণী। ঘটনাটি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর-সাউদখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার নানদোয়হান গ্রামের নারায়ণ মণ্ডলের মেয়ে সঞ্চিতা মণ্ডল (২৬) দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দুরকানী উপজেলার চর-সাউদখালী গ্রামের কবির হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদারের (১৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কের দুই মাস পর আলীর বিয়ের আশ্বাসে সঞ্চিতা কোর্টের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আশ্বাসে আলী তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন এবং সম্পর্কের সুযোগে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলী তার পরিবারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান এবং সম্প্রতি ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গত ১ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে কোনো উপায় না দেখে সঞ্চিতা প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে।
অনশনরত সঞ্চিতা মণ্ডল বলেন, “আমি একটি এনজিওতে চাকরি করি। ফেসবুকে আলীর সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি ভারত থেকে তাকে দেশে আনার জন্য বিকাশের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন বিয়ে না করলে আমার জীবনের কোনো অর্থ থাকবে না। হয় বিয়ে, না হয় আত্মহত্যা—এই দুটোই আমার সামনে।”
আলীর মা রেশমা বেগম বলেন, “ছেলে এখন ভারতে আছে। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। যদি বিষয়টি সত্য হয়, তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব।”
প্রেমিক আলী হাওলাদারের ভারতীয় মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.