০৪ জুন, ২০২৫ ১২:২০
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে পিরোজপুরের পশুর হাটগুলো। তবে হাটে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা ও দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। দাম যাচাই করে চলে যাচ্ছেন অনেকে। এতদিন ধরে কষ্ট করে বড় করা কোরবানির পশুটি কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে অনেক খামারিকে।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাট ঘুরে গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীঘিরজান হাটে দেখা যায়, পিরোজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ট্রাক ভরে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। কোরবানির গরুতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে পুরো পশুর হাট।
ছোট-বড় সব ধরনের কোরবানির পশুর নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। ট্রাকভর্তি গরু, সাজানো পশুর সারি, উচ্চস্বরে ডাক সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু এতসব আয়োজনের মাঝেও নেই কাঙ্ক্ষিত সেই ক্রেতা। ফলে দিন শেষে পশু বিক্রির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
গরু নিয়ে আসা খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, বছরজুড়ে কষ্ট করে বড় করেছি কোরবানির গরু। খাবার, চিকিৎসা, পরিচর্যা সব কিছুতেই প্রচুর খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন হাটে গরুর প্রকৃত দাম পাচ্ছি না। লোক আসে, দেখে, দাম জেনে চলে যায়।
দীঘিরজান হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি লিটু শেখ বলেন, আমি একটি গরু লালন-পালন করেছি। এই গরুর পেছনে আমার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার ওপরে। কিন্তু এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি কেউ দিতে চায় না। আমরা তো এত কমে দিলে লোকসান ছাড়া কিছুই থাকছে না।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছেন বেপারী মো. রেদোয়ান। তিনি বলেন, দীঘিরজান হাট সব থেকে বড় হাট। তাই আমি বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরুগুলো কিনে নিয়ে প্রথম এখানেই এসেছি। একটি গরু বিক্রি করেছি। ক্রেতা খুব কম, যারা আছেন তারা দাম ঠিকঠাক বলছেন না। প্রত্যেকটা গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম বলছেন।
ক্রেতারা বলছেন, তারা এখনো বাজার যাচাই করছেন। ঈদের আরও কিছুদিন বাকি থাকায় অনেকে অপেক্ষায় আছেন দাম আরও কিছুটা কমে গেলে কিনবেন। সাজিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকে মূলত গরু দেখতে এসেছি। গরুর দাম এবছর কমই মনে হচ্ছে। দু-একদিন পরে গরু কিনবো। কেননা আজই গরু কিনে বাড়িতে এতদিন রাখার সুযোগ নাই।
এদিকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা এড়াতে নিয়মিত নজরদারি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং জাল টাকা নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে তাদের।
উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান শরিফ বলেন, গরুর হাট শতবর্ষ পুরনো একটি হাট। এটি পিরোজপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। এ বছর এই হাটে প্রচুর পরিমাণ গরুর আমদানি হয়েছে।
তবে ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দাম কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল চলছে। প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হেলথ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আশাকরি, ধীরে ধীরে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে জেলার ছোট-বড় প্রায় ৫৩ হাজার বিভিন্ন জাতের পশুর খামার থেকে কোরবানিযোগ্য ৪৬ হাজার ৯৩৫টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ষাঁড় ও গাভী গরু মিলিয়ে রয়েছে মোট ২৬ হাজার ৯২০টি, মহিষ রয়েছে ২১০টি, ছাগল রয়েছে ১৭ হাজার ৭০০টি, ভেড়া রয়েছে ১৮ হাজার ৮৭টি এবং অন্যান্য কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮টি। এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ২৫৭টি।
উদ্বৃত্ত বা বাড়তি পশু রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬৭৮টি, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া পিরোজপুর জেলায় যে পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ আছে, তাতে প্রায় ২১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা লেনদেন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে পিরোজপুরের পশুর হাটগুলো। তবে হাটে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা ও দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। দাম যাচাই করে চলে যাচ্ছেন অনেকে। এতদিন ধরে কষ্ট করে বড় করা কোরবানির পশুটি কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে অনেক খামারিকে।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাট ঘুরে গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীঘিরজান হাটে দেখা যায়, পিরোজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ট্রাক ভরে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। কোরবানির গরুতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে পুরো পশুর হাট।
ছোট-বড় সব ধরনের কোরবানির পশুর নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। ট্রাকভর্তি গরু, সাজানো পশুর সারি, উচ্চস্বরে ডাক সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু এতসব আয়োজনের মাঝেও নেই কাঙ্ক্ষিত সেই ক্রেতা। ফলে দিন শেষে পশু বিক্রির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
গরু নিয়ে আসা খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, বছরজুড়ে কষ্ট করে বড় করেছি কোরবানির গরু। খাবার, চিকিৎসা, পরিচর্যা সব কিছুতেই প্রচুর খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন হাটে গরুর প্রকৃত দাম পাচ্ছি না। লোক আসে, দেখে, দাম জেনে চলে যায়।
দীঘিরজান হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি লিটু শেখ বলেন, আমি একটি গরু লালন-পালন করেছি। এই গরুর পেছনে আমার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার ওপরে। কিন্তু এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি কেউ দিতে চায় না। আমরা তো এত কমে দিলে লোকসান ছাড়া কিছুই থাকছে না।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছেন বেপারী মো. রেদোয়ান। তিনি বলেন, দীঘিরজান হাট সব থেকে বড় হাট। তাই আমি বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরুগুলো কিনে নিয়ে প্রথম এখানেই এসেছি। একটি গরু বিক্রি করেছি। ক্রেতা খুব কম, যারা আছেন তারা দাম ঠিকঠাক বলছেন না। প্রত্যেকটা গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম বলছেন।
ক্রেতারা বলছেন, তারা এখনো বাজার যাচাই করছেন। ঈদের আরও কিছুদিন বাকি থাকায় অনেকে অপেক্ষায় আছেন দাম আরও কিছুটা কমে গেলে কিনবেন। সাজিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আজকে মূলত গরু দেখতে এসেছি। গরুর দাম এবছর কমই মনে হচ্ছে। দু-একদিন পরে গরু কিনবো। কেননা আজই গরু কিনে বাড়িতে এতদিন রাখার সুযোগ নাই।
এদিকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা এড়াতে নিয়মিত নজরদারি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং জাল টাকা নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে তাদের।
উপজেলার দীঘিরজান স্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদারের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান শরিফ বলেন, গরুর হাট শতবর্ষ পুরনো একটি হাট। এটি পিরোজপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। এ বছর এই হাটে প্রচুর পরিমাণ গরুর আমদানি হয়েছে।
তবে ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দাম কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল চলছে। প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হেলথ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। আশাকরি, ধীরে ধীরে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে জেলার ছোট-বড় প্রায় ৫৩ হাজার বিভিন্ন জাতের পশুর খামার থেকে কোরবানিযোগ্য ৪৬ হাজার ৯৩৫টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ষাঁড় ও গাভী গরু মিলিয়ে রয়েছে মোট ২৬ হাজার ৯২০টি, মহিষ রয়েছে ২১০টি, ছাগল রয়েছে ১৭ হাজার ৭০০টি, ভেড়া রয়েছে ১৮ হাজার ৮৭টি এবং অন্যান্য কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮টি। এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ২৫৭টি।
উদ্বৃত্ত বা বাড়তি পশু রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬৭৮টি, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া পিরোজপুর জেলায় যে পরিমাণ কুরবানির পশু মজুদ আছে, তাতে প্রায় ২১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা লেনদেন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৯
পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে রায়েরকাঠী হয়ে নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার প্রায় সব অংশেই দেখা গেছে গর্ত ও খানাখন্দ। শুকনা মৌসুমে ধুলার ঝড় আর বর্ষায় জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এই সড়কটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র শ্রীরামকাঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। আগে প্রতিদিন শত শত যান চলাচল করত। এখন কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আর এই পথে চলেন না। সাধারণ মানুষ বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছেন, এতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ‘ইফতি ইটিসিএল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই রাস্তার নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুইটি প্যাকেজে মোট ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর, শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৫ নভেম্বর। কিন্তু অভিযোগ আছে, কাজ শুরু না করেই ঠিকাদার পুরো টাকা তুলে নিয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, ৬ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এই দুর্ভোগে আছেন। আগে রাস্তায় প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলত, এখন চলেই না বলা যায়। তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার টাকা তুলেও কাজ করেননি, অথচ তাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক শাহিন শেখ বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো মানেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। প্রতিদিন গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে নষ্ট হয়, যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন। আগে দিনে ১৫-২০ বার যাতায়াত করতাম, এখন ১-২ বারও যাই না।
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার পণ্য আনতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। চালকেরা এই রাস্তায় আসতে চান না, ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে। ব্যবসায় বড় ক্ষতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তার বলেন, স্কুলে যেতে গিয়ে ধুলা আর কাদার ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষায় হাঁটা যায় না, শুকনো মৌসুমে ধুলায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন রাস্তা পড়াশোনার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, এই রাস্তায় অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। অ্যাম্বুলেন্স গর্তে আটকে যায়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় মোট ৭০০ কিলোমিটার সড়ক থাকলেও এর মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারই চলাচলের অযোগ্য। এর মধ্যে পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী সড়কটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, এই রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। সম্ভবত টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। সরকারি টাকা কাজ না করেই তোলা হয়েছে, তাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছাড়া আমরা কিছু করতে পারছি না।
পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে রায়েরকাঠী হয়ে নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার প্রায় সব অংশেই দেখা গেছে গর্ত ও খানাখন্দ। শুকনা মৌসুমে ধুলার ঝড় আর বর্ষায় জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এই সড়কটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র শ্রীরামকাঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। আগে প্রতিদিন শত শত যান চলাচল করত। এখন কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আর এই পথে চলেন না। সাধারণ মানুষ বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছেন, এতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ‘ইফতি ইটিসিএল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই রাস্তার নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুইটি প্যাকেজে মোট ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর, শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৫ নভেম্বর। কিন্তু অভিযোগ আছে, কাজ শুরু না করেই ঠিকাদার পুরো টাকা তুলে নিয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, ৬ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এই দুর্ভোগে আছেন। আগে রাস্তায় প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলত, এখন চলেই না বলা যায়। তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার টাকা তুলেও কাজ করেননি, অথচ তাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক শাহিন শেখ বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো মানেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। প্রতিদিন গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে নষ্ট হয়, যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন। আগে দিনে ১৫-২০ বার যাতায়াত করতাম, এখন ১-২ বারও যাই না।
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার পণ্য আনতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। চালকেরা এই রাস্তায় আসতে চান না, ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে। ব্যবসায় বড় ক্ষতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তার বলেন, স্কুলে যেতে গিয়ে ধুলা আর কাদার ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষায় হাঁটা যায় না, শুকনো মৌসুমে ধুলায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন রাস্তা পড়াশোনার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, এই রাস্তায় অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। অ্যাম্বুলেন্স গর্তে আটকে যায়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় মোট ৭০০ কিলোমিটার সড়ক থাকলেও এর মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারই চলাচলের অযোগ্য। এর মধ্যে পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী সড়কটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, এই রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। সম্ভবত টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। সরকারি টাকা কাজ না করেই তোলা হয়েছে, তাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছাড়া আমরা কিছু করতে পারছি না।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৮
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় পুত্রবধূর হাতে আসমা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা আদালত চত্বরে স্থানীয় শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ভাই বিদেশে থাকেন। এ সুযোগে ভাইয়ের স্ত্রী জান্নাতি আক্তার ফুফাতো ভাই কালাম হাওলাদারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে জান্নাতি ও কালাম মিলে পরিকল্পিতভাবে তার মা আসমা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও জানানো হয়, হত্যাকারী কালামের পরিবার ভুক্তভোগী পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলেছে। বক্তারা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় পুত্রবধূর হাতে আসমা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা আদালত চত্বরে স্থানীয় শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার বড় ভাই বিদেশে থাকেন। এ সুযোগে ভাইয়ের স্ত্রী জান্নাতি আক্তার ফুফাতো ভাই কালাম হাওলাদারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে জান্নাতি ও কালাম মিলে পরিকল্পিতভাবে তার মা আসমা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও জানানো হয়, হত্যাকারী কালামের পরিবার ভুক্তভোগী পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলেছে। বক্তারা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত পিরোজপুর-১, (নাজিরপুর-পিরোজপুর-জিয়ানগর) আসনের সাংসদ সদস্য প্রার্থী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুযোগ্য সন্তান জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য, খনিজ, বনজ সম্পদ, সব থেকে বড় সম্পদ মানব সম্পদ সহ সকল সম্পদের অভাব না থাকলেও দুর্নীতির কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। আমাদের শুধুমাত্র সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। আগামীতে সৎ, যোগ্য দেশ প্রেমিক কোরআন প্রেমী নেতৃত্বে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ সঠিক পথে পরিচালিত হলে, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের কর্মী সমাবেশে শেখমাঠিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তজবিহ হাতে জামায়াত-শিবিরকে কটাক্ষ করতো, সব সময় তাদের পিছনে লেগেই থাকতো। ঠিক একই পথে বিএনপিও হাঁটছে। এটা শুধু মালিকানার পরিবর্তন হয়েছে, তসবিহ ঠিকই আছে। বাংলাদেশের কোথাও কিছু ঘটলে জামায়াত-শিবিরের উপর দায় চাপানো হয়।
আমরা ন্যায়ের পথে আছি বলেই আমাদের সফলতা দিন দিন বেড়েই চলছে। খুনী হাসিনা আমাদের অভিভাবকদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে, ভাইদেরকে গুলি করে মেরেছে, এত কিছু করেও আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, ভবিষ্যতে ও কেউ পারবে না।
ডাকসু নির্বাচনকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০৪ বছরের ইতিহাসে ২৮ টি পদের মধ্যে ২৩টি পদে ছাত্রশিবিরের যোগ্য নেতৃবৃন্দ বিজয় ছিনিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে, এটা তাদের আদর্শ, সততা, আচার আচরণের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। আমাদের ঈমান মজবুত আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন তারা জয় করতে পেরেছে।
তিনি আগামী নির্বাচনকে উল্লেখ্য করে বলেন, পিরোজপুর- ১,২,৩ এই তিনটি আসন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিপুল ভোটে বিজয় ছিনিয়ে আনবে। মনে রাখতে হবে আগামী সংসদ নির্বাচন আগামী মাসে হবে এটা মনে করে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবেন না, কেউ আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
তিনি পিআর পদ্ধতি উল্লেখ্য করে বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে এবং সে সকল নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন তা পর্যালোচনা করে দেখা যায় তারা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, বাকি ৬৫ ভাগ ভোটারদের কোন মতামতের প্রয়োজন ছিল না।
৩৫ ভাগ ভোট পেয়ে সংসদে বসে আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন গঠন করে দেশ চালিয়েছেন। আমরা সকল জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ চালাতে চাই বলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। তারা চায় না বলে পি আর পদ্ধতিকে ভয় পায়।
এ সময়ে কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মজলিসুল মুফাসসিরিন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলম, জেলা জামায়াতের সাংস্কৃতি সম্পদক অধ্যাপক সোহরাব হোসাইন জুয়েল, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারী সাবেক সেনাকর্মকর্তা কাজী মোসলেহ্ উদ্দিন, উপজেলা যুব বিভাগের সহ-সভাপতি মো: জাহিদুল হক, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. মাহাফুজুর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ ইমরান হোসাইন সহ জামায়াতে ইসলামীর জেলা উপজেলা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত পিরোজপুর-১, (নাজিরপুর-পিরোজপুর-জিয়ানগর) আসনের সাংসদ সদস্য প্রার্থী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সুযোগ্য সন্তান জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য, খনিজ, বনজ সম্পদ, সব থেকে বড় সম্পদ মানব সম্পদ সহ সকল সম্পদের অভাব না থাকলেও দুর্নীতির কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। আমাদের শুধুমাত্র সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। আগামীতে সৎ, যোগ্য দেশ প্রেমিক কোরআন প্রেমী নেতৃত্বে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ সঠিক পথে পরিচালিত হলে, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের কর্মী সমাবেশে শেখমাঠিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হাফেজ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তজবিহ হাতে জামায়াত-শিবিরকে কটাক্ষ করতো, সব সময় তাদের পিছনে লেগেই থাকতো। ঠিক একই পথে বিএনপিও হাঁটছে। এটা শুধু মালিকানার পরিবর্তন হয়েছে, তসবিহ ঠিকই আছে। বাংলাদেশের কোথাও কিছু ঘটলে জামায়াত-শিবিরের উপর দায় চাপানো হয়।
আমরা ন্যায়ের পথে আছি বলেই আমাদের সফলতা দিন দিন বেড়েই চলছে। খুনী হাসিনা আমাদের অভিভাবকদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে, ভাইদেরকে গুলি করে মেরেছে, এত কিছু করেও আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, ভবিষ্যতে ও কেউ পারবে না।
ডাকসু নির্বাচনকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০৪ বছরের ইতিহাসে ২৮ টি পদের মধ্যে ২৩টি পদে ছাত্রশিবিরের যোগ্য নেতৃবৃন্দ বিজয় ছিনিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে, এটা তাদের আদর্শ, সততা, আচার আচরণের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। আমাদের ঈমান মজবুত আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন তারা জয় করতে পেরেছে।
তিনি আগামী নির্বাচনকে উল্লেখ্য করে বলেন, পিরোজপুর- ১,২,৩ এই তিনটি আসন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিপুল ভোটে বিজয় ছিনিয়ে আনবে। মনে রাখতে হবে আগামী সংসদ নির্বাচন আগামী মাসে হবে এটা মনে করে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবেন না, কেউ আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
তিনি পিআর পদ্ধতি উল্লেখ্য করে বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে এবং সে সকল নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন তা পর্যালোচনা করে দেখা যায় তারা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, বাকি ৬৫ ভাগ ভোটারদের কোন মতামতের প্রয়োজন ছিল না।
৩৫ ভাগ ভোট পেয়ে সংসদে বসে আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন গঠন করে দেশ চালিয়েছেন। আমরা সকল জনগণের মতামতের ভিত্তিতে দেশ চালাতে চাই বলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। তারা চায় না বলে পি আর পদ্ধতিকে ভয় পায়।
এ সময়ে কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা মজলিসুল মুফাসসিরিন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলম, জেলা জামায়াতের সাংস্কৃতি সম্পদক অধ্যাপক সোহরাব হোসাইন জুয়েল, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারী সাবেক সেনাকর্মকর্তা কাজী মোসলেহ্ উদ্দিন, উপজেলা যুব বিভাগের সহ-সভাপতি মো: জাহিদুল হক, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. মাহাফুজুর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ ইমরান হোসাইন সহ জামায়াতে ইসলামীর জেলা উপজেলা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.