
১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৭
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বিরুদ্ধে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নামে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই জামায়াত নেতা।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রতারণার শিকার দুই ভুক্তভোগী গত ২ আগস্ট উপজেলা ও জেলা আমির বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে দলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েন সিরাজুল ইসলাম। পরবর্তীতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন সিরাজুল। জানা গেছে, বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে সাদুল্লাপুর জামায়াত কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দলীয় নেতারা বিষয়টির সমাধান করেছেন।
ভুক্তভোগীদের একজন মাসুদ রানাও জামায়াত নেতা। তিনি দমোদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ রানা নিজেই তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, ‘থানা আমিরের নেতৃত্বে সমাধান হয়েছে’। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে এবং উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরইমধ্যে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও ভুক্তভোগীদের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এ ঘটনার আরও একটি ভিডিও ও অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী মাসুদ রানা লিখিত অভিযোগে জানান, শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সিরাজুল তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি বারবার চাপ দেন। পরে চাচা আকবর আলীর অফিসে গিয়ে সিরাজুলকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দিতে থাকেন সিরাজুল।
আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হাদী জানান, তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন সিরাজুল। পরে ৭৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এবং তিনি ১৫ হাজার টাকা দেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে টাকা ফেরত চাইলে সিরাজুল তাকেও নানা অজুহাত দিতে থাকেন। পরে দলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত পান হাদী।
সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজল হকও সিরাজুলের বিরুদ্ধে জামায়াতের উপজেলা ও জেলা আমিরের কাছে অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সিরাজুল ২০-২৫ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ছেলে তাজুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়দের সহায়তায় অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার এমন কাণ্ডে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মফিজল হক বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ তাকেই সিরাজুল ইসলাম হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে তিনি পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক জামায়াত নেতা জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিবন্ধন ও সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন।
সম্প্রতি এক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়ার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে ভুক্তভোগী ও তার পক্ষের লোকজন তাজুল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সিরাজুলের সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে কয়েকজন দলীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিরাজুল টাকা লেনদেন ও ব্যাংকের চেক নেওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। প্রমাণ হিসেবে একজন ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করেন। যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেই ভুক্তভোগী বলেন, সরকারি চাকরির আশায় সিরাজুল ইসলামের কাছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা কয়েক দফায় দেন তিনি। পরে তিনি আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. এরশাদুল হক ইমন বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভিযোগের পর তা দলীয়ভাবে সমাধান হয়েছে। সিরাজুল টাকা নেননি, তিনি শুধু মধ্যস্থতা করেছেন বলেও দাবি উপজেলা জামায়াত আমিরের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সিরাজুল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করানোর অনুরোধে তিনি অভিযোগকারীদের কান্তনগর এলাকার জহুরুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এর বেশি কিছু নয়। তিনি নিজে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেন।
টাকা লেনদেনের ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি চাকরি দেয়ার আশ্বাসে দমোদরপুরের মোস্তফা নামের একজন তাজুলের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে দুই লাখ টাকা দেয়ার জন্য তাজুল তাকে বাড়িতে ডেকে আনে, যেখানে দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তার মতে, এসব ঘটনা সেক্রেটারি হওয়ার আগের। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে কয়েকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বিরুদ্ধে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নামে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই জামায়াত নেতা।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রতারণার শিকার দুই ভুক্তভোগী গত ২ আগস্ট উপজেলা ও জেলা আমির বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে দলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েন সিরাজুল ইসলাম। পরবর্তীতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন সিরাজুল। জানা গেছে, বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে সাদুল্লাপুর জামায়াত কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দলীয় নেতারা বিষয়টির সমাধান করেছেন।
ভুক্তভোগীদের একজন মাসুদ রানাও জামায়াত নেতা। তিনি দমোদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ রানা নিজেই তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, ‘থানা আমিরের নেতৃত্বে সমাধান হয়েছে’। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে এবং উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরইমধ্যে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও ভুক্তভোগীদের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এ ঘটনার আরও একটি ভিডিও ও অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী মাসুদ রানা লিখিত অভিযোগে জানান, শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সিরাজুল তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি বারবার চাপ দেন। পরে চাচা আকবর আলীর অফিসে গিয়ে সিরাজুলকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দিতে থাকেন সিরাজুল।
আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হাদী জানান, তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন সিরাজুল। পরে ৭৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এবং তিনি ১৫ হাজার টাকা দেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে টাকা ফেরত চাইলে সিরাজুল তাকেও নানা অজুহাত দিতে থাকেন। পরে দলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত পান হাদী।
সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজল হকও সিরাজুলের বিরুদ্ধে জামায়াতের উপজেলা ও জেলা আমিরের কাছে অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সিরাজুল ২০-২৫ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ছেলে তাজুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়দের সহায়তায় অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার এমন কাণ্ডে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মফিজল হক বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ তাকেই সিরাজুল ইসলাম হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে তিনি পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক জামায়াত নেতা জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিবন্ধন ও সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন।
সম্প্রতি এক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়ার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে ভুক্তভোগী ও তার পক্ষের লোকজন তাজুল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সিরাজুলের সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে কয়েকজন দলীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিরাজুল টাকা লেনদেন ও ব্যাংকের চেক নেওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। প্রমাণ হিসেবে একজন ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করেন। যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেই ভুক্তভোগী বলেন, সরকারি চাকরির আশায় সিরাজুল ইসলামের কাছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা কয়েক দফায় দেন তিনি। পরে তিনি আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. এরশাদুল হক ইমন বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভিযোগের পর তা দলীয়ভাবে সমাধান হয়েছে। সিরাজুল টাকা নেননি, তিনি শুধু মধ্যস্থতা করেছেন বলেও দাবি উপজেলা জামায়াত আমিরের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সিরাজুল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করানোর অনুরোধে তিনি অভিযোগকারীদের কান্তনগর এলাকার জহুরুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এর বেশি কিছু নয়। তিনি নিজে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেন।
টাকা লেনদেনের ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি চাকরি দেয়ার আশ্বাসে দমোদরপুরের মোস্তফা নামের একজন তাজুলের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে দুই লাখ টাকা দেয়ার জন্য তাজুল তাকে বাড়িতে ডেকে আনে, যেখানে দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তার মতে, এসব ঘটনা সেক্রেটারি হওয়ার আগের। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে কয়েকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৪
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের অভিযানের সময় ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ইমরান তৌহিদ (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ। ইমরান তৌহিদ শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা এবং শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের দিকে আসেন। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ইমরান এজাহারভুক্ত আসামি।
রোববার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইমরান বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এতে তিনি আহত হলে তাকে সৈয়দপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের অভিযানের সময় ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ইমরান তৌহিদ (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ। ইমরান তৌহিদ শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা এবং শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের দিকে আসেন। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ইমরান এজাহারভুক্ত আসামি।
রোববার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইমরান বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এতে তিনি আহত হলে তাকে সৈয়দপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৩
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. সাবলু মিয়া (৪২) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
সাবলু মিয়া ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে মো. সাবলু মিয়াকে তার বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
পরে বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরের উত্তর পাশে, পিছনের দরজার রাস্তার মাটির নিচে লুকানো তিনটি পোটলায় ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. সাবলু মিয়া (৪২) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
সাবলু মিয়া ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে মো. সাবলু মিয়াকে তার বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
পরে বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরের উত্তর পাশে, পিছনের দরজার রাস্তার মাটির নিচে লুকানো তিনটি পোটলায় ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৬
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে থাকবেন। ফলে সারা দেশের প্রায় ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে বন্ধ থাকবে পাঠদান কার্যক্রম। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার সকাল থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রবিবার থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পর বিকেলে শাহবাগে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষকরা। এ সময় একাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে আটক করা হয় কয়েকজন শিক্ষককে।
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে থাকবেন। ফলে সারা দেশের প্রায় ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে বন্ধ থাকবে পাঠদান কার্যক্রম। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার সকাল থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রবিবার থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পর বিকেলে শাহবাগে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষকরা। এ সময় একাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে আটক করা হয় কয়েকজন শিক্ষককে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.