০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
থাইল্যান্ডের সংসদ রক্ষণশীল বিরোধী দল ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। শুক্রবারের ভোটে জিতে অনুতিন ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টির পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। গত মাসে নীতিশাস্ত্র কেলেঙ্কারির কারণে সাংবিধানিক আদালত পেতংতার্নকে বরখাস্ত করেছিল। খবর আলজাজিরার।
উদারপন্থি পিপলস পার্টির সমর্থনে অনুতিন জনপ্রিয় ফেউ থাইয়ের প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। ৫০০ আসনের পার্লামেন্টে বৃহত্তম দলের বিপক্ষে অনুতিনের জয়ের অন্যতম কারণ হলো, তিনি চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে ছোট দলগুলোও তাকে সমর্থন জানায়।
ভোটগ্রহণ এবং গণনা চলাকালীনই তার জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভূমজাইথাই নেতা ২৪৭টিরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তার চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি এবং তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি বিরোধীদের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক উত্তেজনা চলার মধ্যেই ফোনালাপ ফাঁস হয়।
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেনের সঙ্গে বিতর্কিত ফোন কলের জন্য নৈতিক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর জেরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে অপসারণ করেছে।
আদালত বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জুন মাসে হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপের সময় একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক মান লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘাতের তীব্রতা রোধ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আদালত আরও বলেছে, পেতংতার্ন জাতির স্বার্থের চেয়ে তার ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন এবং দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন।
থাইল্যান্ডের সংসদ রক্ষণশীল বিরোধী দল ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। শুক্রবারের ভোটে জিতে অনুতিন ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টির পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। গত মাসে নীতিশাস্ত্র কেলেঙ্কারির কারণে সাংবিধানিক আদালত পেতংতার্নকে বরখাস্ত করেছিল। খবর আলজাজিরার।
উদারপন্থি পিপলস পার্টির সমর্থনে অনুতিন জনপ্রিয় ফেউ থাইয়ের প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। ৫০০ আসনের পার্লামেন্টে বৃহত্তম দলের বিপক্ষে অনুতিনের জয়ের অন্যতম কারণ হলো, তিনি চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে ছোট দলগুলোও তাকে সমর্থন জানায়।
ভোটগ্রহণ এবং গণনা চলাকালীনই তার জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভূমজাইথাই নেতা ২৪৭টিরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তার চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি এবং তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি বিরোধীদের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক উত্তেজনা চলার মধ্যেই ফোনালাপ ফাঁস হয়।
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেনের সঙ্গে বিতর্কিত ফোন কলের জন্য নৈতিক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর জেরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে অপসারণ করেছে।
আদালত বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জুন মাসে হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপের সময় একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক মান লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘাতের তীব্রতা রোধ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আদালত আরও বলেছে, পেতংতার্ন জাতির স্বার্থের চেয়ে তার ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন এবং দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৬
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:১০
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৪
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে গভীর রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০০০ মানুষ।
রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
রোববার গভীর রাতে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ সময় দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। দেশটির কর্মকর্তারা সোমবার জানান, এ ভূমিকম্পের আঘাতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না, তাই প্রশাসন আহতদের উদ্ধার ও বিমানে তোলার জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কমপক্ষে ১০০০ জন আহত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নাঙ্গাহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল)। অগভীর ভূমিকম্পের ফলে বেশি ক্ষতি হয়।
কুনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নুর গুল, সোকি, ওয়াটপুর, মানোগি এবং চাপাদরে জেলায় কমপক্ষে ২৫০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছে। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং দেশগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সংযোগের কারণে জালালাবাদ একটি ব্যস্ত বাণিজ্য শহর।
ওই পৌরসভার মতে, এর জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ হলেও, এর মহানগর এলাকাটি অনেক বড় বলে মনে করা হয়। এর বেশিরভাগ ভবনই নিচু ভবন, বেশিরভাগই কংক্রিট এবং ইটের তৈরি, এবং এর বাইরের এলাকায় মাটির ইট এবং কাঠ দিয়ে তৈরি বাড়িঘর রয়েছে। অনেকগুলো নিম্নমানের নির্মাণ।
জালালাবাদে উল্লেখযোগ্য কৃষিকাজের যার মধ্যে রয়েছে লেবুজাতীয় ফল এবং ধান। কাবুল নদী এ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, এরপর এ শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত। তালেবান সরকারের অনুমান কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ মারা গেছে।
তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এদিকে, কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে বলেন, বন্যা ও ভূমিকম্প-পরবর্তী ধসের কারণে সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ এখন কেবল আকাশপথে করা সম্ভব।
তালেবান কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তাদের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে হেলিকপ্টারসহ সাহায্য চেয়েছেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো যায়।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে গভীর রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০০০ মানুষ।
রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
রোববার গভীর রাতে এ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ সময় দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। দেশটির কর্মকর্তারা সোমবার জানান, এ ভূমিকম্পের আঘাতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধারকারী দলগুলো বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না, তাই প্রশাসন আহতদের উদ্ধার ও বিমানে তোলার জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কমপক্ষে ১০০০ জন আহত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার এ ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নাঙ্গাহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরের ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল)। অগভীর ভূমিকম্পের ফলে বেশি ক্ষতি হয়।
কুনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নুর গুল, সোকি, ওয়াটপুর, মানোগি এবং চাপাদরে জেলায় কমপক্ষে ২৫০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছে। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং দেশগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সংযোগের কারণে জালালাবাদ একটি ব্যস্ত বাণিজ্য শহর।
ওই পৌরসভার মতে, এর জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ হলেও, এর মহানগর এলাকাটি অনেক বড় বলে মনে করা হয়। এর বেশিরভাগ ভবনই নিচু ভবন, বেশিরভাগই কংক্রিট এবং ইটের তৈরি, এবং এর বাইরের এলাকায় মাটির ইট এবং কাঠ দিয়ে তৈরি বাড়িঘর রয়েছে। অনেকগুলো নিম্নমানের নির্মাণ।
জালালাবাদে উল্লেখযোগ্য কৃষিকাজের যার মধ্যে রয়েছে লেবুজাতীয় ফল এবং ধান। কাবুল নদী এ শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, এরপর এ শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত। তালেবান সরকারের অনুমান কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষ মারা গেছে।
তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধারকাজে সহায়তা দিতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এদিকে, কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে বলেন, বন্যা ও ভূমিকম্প-পরবর্তী ধসের কারণে সড়কপথ বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ এখন কেবল আকাশপথে করা সম্ভব।
তালেবান কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তাদের কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে হেলিকপ্টারসহ সাহায্য চেয়েছেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো যায়।
৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৭
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে নিজেকে তুলে ধরার প্রবণতা যেন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রনিক সেলফাইটিস নামক এক ধরনের মানসিক সমস্যা ভোগেন অতিরিক্ত সেলফি ওঠানো ব্যক্তিরা।
যেখানে অজস্রবার সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট না করে যেনো শান্তি পায় না। বিশেষজ্ঞরা একে সেলফি সিনড্রোমের মারাত্মক ধাপ বলছেন। এর ফলে ‘সেলফি এলবো’ নামক সমস্যাও হয় যা কনুইয়ের জয়েন্টে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
তবে এসবের চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে সেলফি তোলাকে ঘিরে বাড়তে থাকা প্রাণহানি। স্মৃতি ধরে রাখার এই চেষ্টায় বহু মানুষ হারাচ্ছেন নিজের জীবন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য বারবার ল’ ফার্ম গুগল নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে সেলফি-সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটিতে গত এক দশকে ২১৭টি সেলফি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন।
ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সহজ প্রবেশাধিকার যেমন রেললাইন, পাহাড়চূড়া, উঁচু ভবন এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়ার আগ্রহই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। রাশিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে, যেখানে প্রাণ গেছে ১৮ জনের। পাকিস্তানে মারা গেছেন ১৬ জন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সেলফি তুলতে গিয়ে ছাদ, পাহাড়চূড়া বা উঁচু স্থাপনা থেকে পড়ে যাওয়াই মৃত্যুর প্রধান কারণ, যা মোট মৃত্যুর ৪৬ শতাংশ। সম্প্রতি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে হোটেলের অষ্টম তলা থেকে পড়ে এবং এথেন্সে ঝোড়ো হাওয়ায় গির্জার পাশে সেলফি তুলতে গিয়ে দুজন পর্যটক প্রাণ হারান।
বাংলাদেশেও সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর হার কম না। ট্রেনের ধাক্কা বা পাহাড়ের চূড়া থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু ঘটছে অহরহ। এছাড়াও সেলফি আসক্তিতে সামাজিক ও পারিবারিক অনিষ্টতার প্রভাবও বাড়ছে দিনদিন।
সেলফি এখন শুধুই স্মৃতি নয়, এক ভয়ানক আসক্তি। এটা যেখানে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে, সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিজেকে তুলে ধরার এই প্রতিযোগিতা আমাদের জীবনকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এটা ভাববার সময় এখনই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে নিজেকে তুলে ধরার প্রবণতা যেন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রনিক সেলফাইটিস নামক এক ধরনের মানসিক সমস্যা ভোগেন অতিরিক্ত সেলফি ওঠানো ব্যক্তিরা।
যেখানে অজস্রবার সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট না করে যেনো শান্তি পায় না। বিশেষজ্ঞরা একে সেলফি সিনড্রোমের মারাত্মক ধাপ বলছেন। এর ফলে ‘সেলফি এলবো’ নামক সমস্যাও হয় যা কনুইয়ের জয়েন্টে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
তবে এসবের চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে সেলফি তোলাকে ঘিরে বাড়তে থাকা প্রাণহানি। স্মৃতি ধরে রাখার এই চেষ্টায় বহু মানুষ হারাচ্ছেন নিজের জীবন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য বারবার ল’ ফার্ম গুগল নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে সেলফি-সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটিতে গত এক দশকে ২১৭টি সেলফি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন।
ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সহজ প্রবেশাধিকার যেমন রেললাইন, পাহাড়চূড়া, উঁচু ভবন এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়ার আগ্রহই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। রাশিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে, যেখানে প্রাণ গেছে ১৮ জনের। পাকিস্তানে মারা গেছেন ১৬ জন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সেলফি তুলতে গিয়ে ছাদ, পাহাড়চূড়া বা উঁচু স্থাপনা থেকে পড়ে যাওয়াই মৃত্যুর প্রধান কারণ, যা মোট মৃত্যুর ৪৬ শতাংশ। সম্প্রতি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে হোটেলের অষ্টম তলা থেকে পড়ে এবং এথেন্সে ঝোড়ো হাওয়ায় গির্জার পাশে সেলফি তুলতে গিয়ে দুজন পর্যটক প্রাণ হারান।
বাংলাদেশেও সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর হার কম না। ট্রেনের ধাক্কা বা পাহাড়ের চূড়া থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু ঘটছে অহরহ। এছাড়াও সেলফি আসক্তিতে সামাজিক ও পারিবারিক অনিষ্টতার প্রভাবও বাড়ছে দিনদিন।
সেলফি এখন শুধুই স্মৃতি নয়, এক ভয়ানক আসক্তি। এটা যেখানে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে, সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিজেকে তুলে ধরার এই প্রতিযোগিতা আমাদের জীবনকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এটা ভাববার সময় এখনই।
১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:২৯
সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পর ইসলামাবাদকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লা থেকে দেওেয়া ভাষণে মোদি বলেছেন, ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পানিচুক্তিতে সম্মত নয় বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি বণ্টনে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানায় ভারত।
তারই ধারাবাহিকতায় মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারতের অধিকারে থাকা পানি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করারও বিরোধিতা করেন তিনি।
মোদি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদীগুলো শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছিল, যখন আমাদের কৃষকরা পানি থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন, ভারতের পানির ভাগের ওপর অধিকার কেবল ভারত ও তার কৃষকদের।
কৃষকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকিরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। শত্রু (পাকিস্তান) যদি আর কোনো দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পর ইসলামাবাদকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লা থেকে দেওেয়া ভাষণে মোদি বলেছেন, ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পানিচুক্তিতে সম্মত নয় বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি বণ্টনে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানায় ভারত।
তারই ধারাবাহিকতায় মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারতের অধিকারে থাকা পানি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করারও বিরোধিতা করেন তিনি।
মোদি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদীগুলো শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছিল, যখন আমাদের কৃষকরা পানি থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন, ভারতের পানির ভাগের ওপর অধিকার কেবল ভারত ও তার কৃষকদের।
কৃষকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকিরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। শত্রু (পাকিস্তান) যদি আর কোনো দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.