২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৮
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য রাখার স্থানগুলো এবং বন্দরের বাহিরে পুরাতন বাউন্ডারী প্রাচীর ও পুরাতন ইমারতের অনির্মাণ সামগ্রী ভাঙ্গা ইট,ইটের খোঁয়া,পিলারের ভগ্নাংশ সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এ সকল অনির্মাণ সামগ্রী/ আবর্জনা বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য রক্ষনাবেক্ষণে ব্যঘাত সৃষ্টি করছে। পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের এই বেনাপোল বন্দর।
এ বিষয়ে বন্দর ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরে আমদানি পণ্যের মধ্যে বর্জ্য স্তুপ এবং অনির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকায় পন্য খালাসে দুর্ভোগ ও জায়গা সংকট তৈরী হচ্ছে। বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হলো বেনাপোল। সরকার এ বন্দর থেকে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। এত বড় বাণিজ্যিক স্থাপনায় বছরের পর বছর এই দুর্দশা চললেও সরকারেরর পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হচ্ছে না।
বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজিঃ-৯২৫)’র সাধারণ সম্পাদক-মো.সহিদ আলী বলেন,এ বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড ও তিনটি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্ত ভগ্ন ইমারতের অনির্মাণ সামগ্রী ভাঙ্গা ইট,ইটের খোঁয়া,পিলারের ভগ্নাংশ সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে বন্দরের ভিতরকার ঐ ইয়ার্ড সমূহ। সাপ-বিচ্চুর ভয়ে নির্ভয়ে কাজ করতে পারেনা কুলি(শ্রমিক) সদস্যরা। এ গুলো দ্রুত অপসারণ করা অতি জরুরী।
অপরদিকে,বন্দর সংলগ্নে এবং বেনাপোল চেকপোষ্ট সন্নিকটে আন্তর্জাতিক মানের নির্মিত বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনালের ভিতরকার অবস্থা একইরকম। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনালটি নির্মান করা হয়েছে পাসপোর্ট প্যাসেঞ্জারদের আনায়নকারী দুরপাল্লার বাস রাখার জন্য। অথচ সেখানে সাপ বিচ্ছুর বাসা এবং ঝোপ-ঝাড়ে ছেয়ে আছে টার্মিনালটি।
পোর্ট কর্তৃপক্ষ এটা দেখেও দেখেনা। ভগ্ন ইমারতের অনির্মাণ সামগ্রী ভাঙ্গা ইট,ইটের খোঁয়া,পিলারের ভগ্নাংশ সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে সমগ্র বাস টার্মিনাল এরিয়া। যে কারনে রাজধানী ঢাকা কিংবা দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসগুলি টার্মিনাল অভ্যন্তরে না রেখে টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়কে রাখতে বাধ্য হয়।
কয়েকটি পরিবহন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গাড়ী পার্কিং এর সময় ঐ সমস্ত বর্জ্যস্তুপের সাথে ধাক্কা খেয়ে কোটি টাকার গাড়ীর ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ চান এ সকল পরিবহন মালিকরা।
উল্লেখ্য, স্মারক নং১৮.১৫.৪১৯০.০২৫.০৩.০০৮.২০২৪-৭০
তারিখ: ৩১-০৮-২০২৫ ইং,স্পট নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয় বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। দরপত্রে বলা হয়- বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন “বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বেনাপোল স্থলবন্দরের বাউন্ডারী ওয়ালের নির্মাণস্থল হতে বন্দর এলাকায় প্রাপ্ত পুরাতন নির্মাণসামগ্রী/মালামাল (যেখানে যে অবস্থায় আছে) স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন্য আগামী ০৪-০৯-২০২৫ খ্রি: তারিখ সকাল ১১.০০ টার সময় আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের (২য় তলা) সম্মেলন কক্ষে স্পট নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি’কে নিলামে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
স্পট নিলামের পরবর্তী কার্যক্রম জানতে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো.শামীম হোসেনের স্মরনাপন্ন হলে,তাকে না পেয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ পরিচালক(ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির এর সাথে কথা বলে জানা যায়,স্পট নিলামে অফিসিয়াল ভ্যালু(মূল্য) না আসায় স্পট নিলাম কমিটি’র প্রধান বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ “ওপেন টেন্ডার”(পত্রিকান্তরে) বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান।
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য রাখার স্থানগুলো এবং বন্দরের বাহিরে পুরাতন বাউন্ডারী প্রাচীর ও পুরাতন ইমারতের অনির্মাণ সামগ্রী ভাঙ্গা ইট,ইটের খোঁয়া,পিলারের ভগ্নাংশ সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এ সকল অনির্মাণ সামগ্রী/ আবর্জনা বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য রক্ষনাবেক্ষণে ব্যঘাত সৃষ্টি করছে। পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের এই বেনাপোল বন্দর।
এ বিষয়ে বন্দর ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরে আমদানি পণ্যের মধ্যে বর্জ্য স্তুপ এবং অনির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকায় পন্য খালাসে দুর্ভোগ ও জায়গা সংকট তৈরী হচ্ছে। বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হলো বেনাপোল। সরকার এ বন্দর থেকে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। এত বড় বাণিজ্যিক স্থাপনায় বছরের পর বছর এই দুর্দশা চললেও সরকারেরর পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হচ্ছে না।
বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন(রেজিঃ-৯২৫)’র সাধারণ সম্পাদক-মো.সহিদ আলী বলেন,এ বন্দরে বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য সংরক্ষণে রয়েছে ৩৩টি শেড ও তিনটি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড। কিন্ত ভগ্ন ইমারতের অনির্মাণ সামগ্রী ভাঙ্গা ইট,ইটের খোঁয়া,পিলারের ভগ্নাংশ সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে বন্দরের ভিতরকার ঐ ইয়ার্ড সমূহ। সাপ-বিচ্চুর ভয়ে নির্ভয়ে কাজ করতে পারেনা কুলি(শ্রমিক) সদস্যরা। এ গুলো দ্রুত অপসারণ করা অতি জরুরী।
অপরদিকে,বন্দর সংলগ্নে এবং বেনাপোল চেকপোষ্ট সন্নিকটে আন্তর্জাতিক মানের নির্মিত বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনালের ভিতরকার অবস্থা একইরকম। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনালটি নির্মান করা হয়েছে পাসপোর্ট প্যাসেঞ্জারদের আনায়নকারী দুরপাল্লার বাস রাখার জন্য। অথচ সেখানে সাপ বিচ্ছুর বাসা এবং ঝোপ-ঝাড়ে ছেয়ে আছে টার্মিনালটি।
পোর্ট কর্তৃপক্ষ এটা দেখেও দেখেনা। ভগ্ন ইমারতের অনির্মাণ সামগ্রী ভাঙ্গা ইট,ইটের খোঁয়া,পিলারের ভগ্নাংশ সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে সমগ্র বাস টার্মিনাল এরিয়া। যে কারনে রাজধানী ঢাকা কিংবা দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসগুলি টার্মিনাল অভ্যন্তরে না রেখে টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়কে রাখতে বাধ্য হয়।
কয়েকটি পরিবহন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গাড়ী পার্কিং এর সময় ঐ সমস্ত বর্জ্যস্তুপের সাথে ধাক্কা খেয়ে কোটি টাকার গাড়ীর ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ চান এ সকল পরিবহন মালিকরা।
উল্লেখ্য, স্মারক নং১৮.১৫.৪১৯০.০২৫.০৩.০০৮.২০২৪-৭০
তারিখ: ৩১-০৮-২০২৫ ইং,স্পট নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয় বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। দরপত্রে বলা হয়- বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন “বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বেনাপোল স্থলবন্দরের বাউন্ডারী ওয়ালের নির্মাণস্থল হতে বন্দর এলাকায় প্রাপ্ত পুরাতন নির্মাণসামগ্রী/মালামাল (যেখানে যে অবস্থায় আছে) স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন্য আগামী ০৪-০৯-২০২৫ খ্রি: তারিখ সকাল ১১.০০ টার সময় আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের (২য় তলা) সম্মেলন কক্ষে স্পট নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি’কে নিলামে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
স্পট নিলামের পরবর্তী কার্যক্রম জানতে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো.শামীম হোসেনের স্মরনাপন্ন হলে,তাকে না পেয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ পরিচালক(ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির এর সাথে কথা বলে জানা যায়,স্পট নিলামে অফিসিয়াল ভ্যালু(মূল্য) না আসায় স্পট নিলাম কমিটি’র প্রধান বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানালে,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ “ওপেন টেন্ডার”(পত্রিকান্তরে) বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৪৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৫
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩৪
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৭
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৫
পাবনার বেড়া পৌর এলাকার নদীর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেড়া পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বৃশালিখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেড়ার হুরা সাগর নদীর বৃশালিখা এলাকাটি সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নিজ এলাকা। আগে বৃশালিখা ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপির একাংশকে সঙ্গে নিয়ে তারা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল।
পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাসান আলীর নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছিল। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, চাঁদাবাজি গ্রুপের সঙ্গে নামধারী বিএনপির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এখন চাঁদাবাজি কারা করছে? এজন্য এ বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেয়ারই প্রয়োজন মনে করছি না। তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সবই আছে। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
পাবনার বেড়া পৌর এলাকার নদীর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেড়া পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বৃশালিখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেড়ার হুরা সাগর নদীর বৃশালিখা এলাকাটি সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর নিজ এলাকা। আগে বৃশালিখা ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপির একাংশকে সঙ্গে নিয়ে তারা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল।
পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাসান আলীর নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছিল। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মধ্যেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, চাঁদাবাজি গ্রুপের সঙ্গে নামধারী বিএনপির মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এখন চাঁদাবাজি কারা করছে? এজন্য এ বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেয়ারই প্রয়োজন মনে করছি না। তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম হাবিবুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সবই আছে। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩০
কক্সবাজারের টেকনাফে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গহিন পাহাড়ে রুদ্ধশ্বাস যৌথ অভিযান চালিয়েছে বিজিবি ও র্যাব। অভিযানে বিভিন্ন সময়ে অপহরণের শিকার ও সাগরপথে পাচারের জন্য জিম্মি করে রাখা ৮৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের হলরুমে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, বাহারছড়ার কচ্ছপিয়া পাহাড়ে কিছু ব্যক্তি সাগরপথে পাচারের জন্য মানুষ জড়ো করে জিম্মি করে রাখার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) এবং র্যাব ১৫ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অপহরণ ও মানব পাচারকারীরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। উপর থেকে পাথরও নিক্ষেপ করে তারা।
অভিযানের ১ম ধাপে ১৪ জন, ২য় ধাপে ১৩ জন, ৩য় ধাপে ৫১ জন এবং ৪র্থ ধাপে ছয়জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে বাহারছড়া উত্তর কচ্ছপিয়ার সালামত উল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ (২১), টেকনাফ সদরের বটতলী রাজারছড়ার আবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) এবং মো. ফিরোজের ছেলে মো. ইব্রাহিমকে (২০) আটক করা হয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে বুলেট ভর্তি ১টি ওয়ান শুটার গান ও ১টি একনলা বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় রামদা ও ১টি চাকু উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া একই দিন দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বড়ইতলি এলাকা থেকে আরও ৪ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
যৌথ অভিযানে বিভিন্ন পাহাড় হতে ৮৪ জন ভিকটিম উদ্ধারের ঘটনায় রেজাউল করিম (৩৭), আয়াতুল তনজিদ (৩০), রোহিঙ্গা তুফান, আব্দুল আলিম, জাকির, হাবিরছড়ার রশিদ মেম্বার, মজিব (৩০), জয়নাল (২৫) ও আব্দুল মজিতসহ (২০) অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে পলাতক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, এ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আসামির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
কক্সবাজারের টেকনাফে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গহিন পাহাড়ে রুদ্ধশ্বাস যৌথ অভিযান চালিয়েছে বিজিবি ও র্যাব। অভিযানে বিভিন্ন সময়ে অপহরণের শিকার ও সাগরপথে পাচারের জন্য জিম্মি করে রাখা ৮৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র ও গোলা-বারুদসহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের হলরুমে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, বাহারছড়ার কচ্ছপিয়া পাহাড়ে কিছু ব্যক্তি সাগরপথে পাচারের জন্য মানুষ জড়ো করে জিম্মি করে রাখার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) এবং র্যাব ১৫ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অপহরণ ও মানব পাচারকারীরা যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। উপর থেকে পাথরও নিক্ষেপ করে তারা।
অভিযানের ১ম ধাপে ১৪ জন, ২য় ধাপে ১৩ জন, ৩য় ধাপে ৫১ জন এবং ৪র্থ ধাপে ছয়জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে বাহারছড়া উত্তর কচ্ছপিয়ার সালামত উল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ (২১), টেকনাফ সদরের বটতলী রাজারছড়ার আবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) এবং মো. ফিরোজের ছেলে মো. ইব্রাহিমকে (২০) আটক করা হয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে বুলেট ভর্তি ১টি ওয়ান শুটার গান ও ১টি একনলা বন্দুক, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় রামদা ও ১টি চাকু উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া একই দিন দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বড়ইতলি এলাকা থেকে আরও ৪ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
যৌথ অভিযানে বিভিন্ন পাহাড় হতে ৮৪ জন ভিকটিম উদ্ধারের ঘটনায় রেজাউল করিম (৩৭), আয়াতুল তনজিদ (৩০), রোহিঙ্গা তুফান, আব্দুল আলিম, জাকির, হাবিরছড়ার রশিদ মেম্বার, মজিব (৩০), জয়নাল (২৫) ও আব্দুল মজিতসহ (২০) অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে পলাতক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, এ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আসামির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫৫
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও, এখন পরিচালিত হচ্ছে ১৯ শয্যার ভবনে। এতে করে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রোগীর চাপ বাড়লেও ভবন সংকটে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে সীমিত পরিসরে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করে লাপাত্তা হওয়ায় বন্ধ আছে হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভবন নির্মাণের জন্য খোড়া গর্তে ময়লা আবর্জনা পড়ে পানি জমে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বেড সংকটের কারণে হাসপাতালের ছাদে অস্থায়ী ভাবে নির্মাণ করা টিনসেড ও মেঝেতে সেবা নিচ্ছে। অবকাঠামোগত দুরাবস্থা ও প্রয়োজনীয় সেবা না থাকায় মানুষকে ন্যূনতম চিকিৎসার জন্যও ১শ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরে ছুটতে হয়।
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আমাদী ইউনিয়নের জায়গীরমহল গ্রামে স্থাপিত হয় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে ২০১১ সালে ১৯ শয্যার একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং পরবর্তীতে সেটা ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
পরে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট পুরোনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০২২ সালে অপসারণ করা হয়। একই বছরের ১৬ আগস্ট ৩১ শয্যার তিনতলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ও মেসার্স শামীম আহসান ট্রেডার্স।
তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবন নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮০ টাকা। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ১২ জুন। কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় গতি বাড়াতে বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। দুই দফা মেয়াদ শেষে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট। এ কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ৯ মাস। কার্যাদেশ পাওয়ার পর দুই বছর পার হলেও ১৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এই কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো কাজ না করায় ১৯ মার্চ কাজ বাতিলের সুপারিশ করে পত্র দেন খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা যায়, মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ও মেসার্স শামীম হাসান ট্রেডার্সের নামে বরাদ্দ হলেও কাজটি করতেন খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৯ জন চিকিৎক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৯ জন। তার মধ্যে একজন ২ মাসের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে। চরম চিকিৎসক সংকট ও হাসপাতালের অবকাঠামোগত দুরবস্থা ও প্রয়োজনীয় সেবা না থাকায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটতে হয় ১শ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরে।
দীর্ঘ তিন বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ানসহ সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। নেই কোনো পরীক্ষা- নিরীক্ষার ব্যবস্থা। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদায়ন করা হলেও আবাসিক ভবনের সুব্যবস্থা না থাকার অজুহাতে কয়রায় অবস্থান করেন না। খুলনা শহর থেকে মাঝেমধ্যে দু-একদিন আসেন।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতালের ৩১ শয্যার ভবনটি ভেঙে ফেলার পর থেকে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। সংকীর্ণ জায়গায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইখতেয়ার হোসেন বলেন, কাজে ধীরগতির জন্য কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজের মেয়াদও শেষ হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালের ভবন নির্মাণের কাজটির জন্য আমরা বার বার নতুন করে প্রস্তাব দিচ্ছি, কিন্তু এখনো পাস হয়নি।
খুলনার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও, এখন পরিচালিত হচ্ছে ১৯ শয্যার ভবনে। এতে করে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রোগীর চাপ বাড়লেও ভবন সংকটে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে সীমিত পরিসরে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করে লাপাত্তা হওয়ায় বন্ধ আছে হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভবন নির্মাণের জন্য খোড়া গর্তে ময়লা আবর্জনা পড়ে পানি জমে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা বেড সংকটের কারণে হাসপাতালের ছাদে অস্থায়ী ভাবে নির্মাণ করা টিনসেড ও মেঝেতে সেবা নিচ্ছে। অবকাঠামোগত দুরাবস্থা ও প্রয়োজনীয় সেবা না থাকায় মানুষকে ন্যূনতম চিকিৎসার জন্যও ১শ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরে ছুটতে হয়।
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আমাদী ইউনিয়নের জায়গীরমহল গ্রামে স্থাপিত হয় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে ২০১১ সালে ১৯ শয্যার একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং পরবর্তীতে সেটা ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
পরে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট পুরোনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ২০২২ সালে অপসারণ করা হয়। একই বছরের ১৬ আগস্ট ৩১ শয্যার তিনতলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ও মেসার্স শামীম আহসান ট্রেডার্স।
তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবন নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮০ টাকা। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের ১২ জুন। কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় গতি বাড়াতে বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়। দুই দফা মেয়াদ শেষে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট। এ কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ৯ মাস। কার্যাদেশ পাওয়ার পর দুই বছর পার হলেও ১৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এই কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো কাজ না করায় ১৯ মার্চ কাজ বাতিলের সুপারিশ করে পত্র দেন খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা যায়, মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স ও মেসার্স শামীম হাসান ট্রেডার্সের নামে বরাদ্দ হলেও কাজটি করতেন খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৯ জন চিকিৎক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৯ জন। তার মধ্যে একজন ২ মাসের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে। চরম চিকিৎসক সংকট ও হাসপাতালের অবকাঠামোগত দুরবস্থা ও প্রয়োজনীয় সেবা না থাকায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা নিতে ছুটতে হয় ১শ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরে।
দীর্ঘ তিন বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ানসহ সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। নেই কোনো পরীক্ষা- নিরীক্ষার ব্যবস্থা। মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদায়ন করা হলেও আবাসিক ভবনের সুব্যবস্থা না থাকার অজুহাতে কয়রায় অবস্থান করেন না। খুলনা শহর থেকে মাঝেমধ্যে দু-একদিন আসেন।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতালের ৩১ শয্যার ভবনটি ভেঙে ফেলার পর থেকে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। সংকীর্ণ জায়গায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইখতেয়ার হোসেন বলেন, কাজে ধীরগতির জন্য কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজের মেয়াদও শেষ হয়েছে। দ্রুত হাসপাতালের ভবন নির্মাণের কাজটির জন্য আমরা বার বার নতুন করে প্রস্তাব দিচ্ছি, কিন্তু এখনো পাস হয়নি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.