
২৯ মে, ২০২৫ ১৬:৪২
এবার কী নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়লেন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সরকার দলীয় সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রাসাঙ্গিক বিষয়-বস্তু নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন সামনে এসে দাড়িয়েছে, এক বিধবা নারীর সাথে এই সাংসদের ২৭ আগস্ট কী ঘটেছিল? ঘটনাস্থল স্থানীয় ডাকবাংলোর সম্মুখে এই কাহিনী নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করে বরিশাল আদালতে আসা ওই নারী।
চল্লিশের কোঠায় পা ফেলা মরিয়ম বেগম গতকাল সোমবার আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে এসে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করায় সংবাদকর্মীরা তার আগমনের হেতু জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেন, সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন। তার অভিযোগ, পঙ্কজ স্থানীয় সাংসদ হয়ে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এক ধরনের প্রতারণা করেছেন।
তিনি বসতঘর নির্মাণে সরকারী বরাদ্দের টিন দেই, দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপন করেন। পরে টিন নয়, আর্থিক সহায়তা চাইলে সেক্ষেত্রেও অভিন্ন আচারণ করেন। এমনকি কোন প্রকার সহায়তা না দিয়ে সাংসদ প্রচার করেন যে তাকে চাহিদা অনুযায়ী ঘরের টিন ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এই খবরে ক্ষুব্ধ নারী গত ২৭ আগস্ট মেহেন্দিগঞ্জে সাংসদের আগমনের খবর পেয়ে ডাকবাংলোয় ছুটে যান। এসময় সাংসদ ডাকবাংলোর সামনের প্রাইভেটকারে অবস্থান করছিলেন, একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য। এক ফাঁকে ভীর ঠেলে ওই নারী সাংসদের কাছে প্রশ্ন তোলেন তার সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে উল্টো কেন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রতিত্তোরে সাংসদ তাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরে দেখা করার পরামর্শ দেন কিছুটা উত্তেজিত ভাষায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মরিয়ম বেগম। একপর্যায়ে তার গাড়ির ওপর কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। সাংসদ অনুসারী ছাত্র-যুব-সেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ ওই নারীকে টেনে হিচড়ে স্থান ত্যাগে বাধ্য করতে উদ্যোগী হয়।
মরিয়মের অভিযোগ, এসময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, এই মর্মে যে সাংসদের গাড়ির ওপর তিনি না কী জুতো নিক্ষেপ করেছেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থানা পুলিশ কোন ভুমিকা না নিয়ে বরং তাকে স্থান ত্যাগে বাধ্য করেন। মেহেন্দিগঞ্জ থানায় সাংসদ পঙ্কজের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা পাওয়া সম্ভব নয় বিধায় তিনি বরিশালে নালিশ জানাতে এসেছেন। সোমবার দুপুরের দিকে মামলার কপি ওই নারী সংবাদকর্মীদের আলাপের এক ফাঁকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরে খবর রটে যে মেহেন্দিগঞ্জের সাংসদের বিরুদ্ধে এক বিধবা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিকেল থেকে গভীর রাত অবধি সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত হতে চায়। পরে জানা গেল এ ধরনের মামলা হয়নি, তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের হতে পারে। সেক্ষেত্রে এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করলেও আসামি না করে তার অনুসারী ৬ জনের বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করে অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সংবাকর্মীদের কাছে মরিয়ম বেগমের ভাষ্য ছিল, এতে মুখ্য ভুমিকায় ছিলেন পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমু হোসেন
এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় এই নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকবাংলোয় কিছুই ঘটেনি। আবার ঘটলেও তিনি সে বিষয়ে অবগত নন। তবে ওইদিন (২৭ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় আরসি কলেজের সম্মুখে মরিয়ম বেগম সাংসদ পঙ্কজের গাড়ি আগলে ধরেছিলেন একটি ডিওলেটারে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। সাংসদ ব্যস্ত থাকায় পরে আসতে বললে নাছড়বান্দা কোনভাবেই স্থান ত্যাগে রাজি না হওয়ায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে অটোরিকশায় উঠিয়ে দেন।
কিন্তু সাংসদ পঙ্কজ এ তথ্য নাকচ করে দিয়ে বলেন, ডাকবাংলোতো দুরের কথা আরসি কলেজের সামনে কোন নারীর সাথে তার কোনরুপ বসচা হয়নি। অবশ্য ওই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার তথ্যমতে সেখানে উপস্থিত থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন যে তথ্য-উপাত্ত্ব দেন, তাতে প্রমাণ করে ওইদিন কিছু একটা ঘটেছে। তবে তা আরসি কলেজ সম্মুখে নয়, ডাকবাংলোর গেটে এক বিধবা নারী সহায়তা চেয়ে না পেয়ে কিছুটা উত্তেজিত হয়েছিল। পরে তিনি অর্থায়নে অটোরিকশায় তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করেন।
ফলে তিনজনের ত্রিমুখী বক্তব্যের গড়মিল থাকলেও যে যোগফল দেখা যায়, তাতে মরিয়ম বেগমের অভিযোগ অমুলক নয়। মেহেন্দিগঞ্জ আ’লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের অনেকে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবার কেউ শুনেছেন। কিন্তু পরিস্থিতিগত কারণে নিজেদের নাম প্রকাশতো দুরের কথা, প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে অপারগতা জানিয়ে অন্য মাধ্যমে খবর নিশ্চিত হওয়ায় পরামর্শ দেন।
এদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ওই মরিয়ম বেগমের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে বলে এ প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য প্রকাশ করে তারা ঘটনার আরও গভীরে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজ-খবর রাখছিলেন সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কী না। ওই গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, তিনি বরিশালে এসেছিলেন। কিন্তু দুপুর নাগাদ ফিরে গেছেন। তবে মামলা দায়ের করেছে কী না শেষান্তে তা আর জানা সম্ভব হয়নি মরিয়মের সেলফোন বন্ধ থাকায়।
মেহেন্দিগঞ্জের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২৭ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ থেকে ১টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বিস্তৃতি ঘটলেও সবাই যেন সতর্ক, কেউ না শোনে প্রাসঙ্গিক আলাপ। এদিকে পঙ্কজের অনুসারীরা এখন বলছে, ওই বিধবা নারী মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় এ ধরনের বহু কান্ড-কারখানা ঘটিয়েছে। কিন্তু মরিয়নের ভগ্নিপতি স্থানীয় কাজী হিসেবে পরিচিত রুহুল আমিন জানান, তিনি বিকারাগ্রস্ত একথা সঠিক নয়। স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মরিয়ম মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরে এক কণ্যাসন্তান নিয়ে পৌর এলাকার চরহোগলায় জরাজীর্ণ বাসায় বসবাস করছেন।
পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে এরুপ নির্যাতনের অভিযোগ ইতিপূর্বেও উঠেছিল। মরিয়ম বেগমের ন্যায় নিজ দলীয় সমর্থিত একজন নরসুন্দরের সাথে দলীয় বিবাদে তাকে ডাকবাংলোয় পিটিয়ে আহত করে। এর আগে সেই নরসুন্দরকে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনা নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি।
এছাড়া স্থানীয় ভাবে দলকে কুক্ষিগত করাসহ রাজধানী ঢাকায় ক্যাসিনো কান্ডে সম্পৃক্ততা এবং অল্পদিনে অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। ধারণা করা হচ্ছে- এসব অভিযোগের কারণে পঙ্কজ কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন। এই সাংসদ বিতর্ক অবসানে বরিশাল থেকে মিডিয়াকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় মেহেন্দিগঞ্জে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যে সেদিনকার তার ভাষ্য ছিল, তিনি দলীয় বিভাজনের রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। যেমনটি গতকালও বললেন, মরিয়ম প্রসঙ্গে অভিযোগের উত্তর সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে।
এবার কী নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়লেন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সরকার দলীয় সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রাসাঙ্গিক বিষয়-বস্তু নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন সামনে এসে দাড়িয়েছে, এক বিধবা নারীর সাথে এই সাংসদের ২৭ আগস্ট কী ঘটেছিল? ঘটনাস্থল স্থানীয় ডাকবাংলোর সম্মুখে এই কাহিনী নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করে বরিশাল আদালতে আসা ওই নারী।
চল্লিশের কোঠায় পা ফেলা মরিয়ম বেগম গতকাল সোমবার আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে এসে দিক-বেদিক ছোটাছুটি করায় সংবাদকর্মীরা তার আগমনের হেতু জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেন, সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছেন। তার অভিযোগ, পঙ্কজ স্থানীয় সাংসদ হয়ে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এক ধরনের প্রতারণা করেছেন।
তিনি বসতঘর নির্মাণে সরকারী বরাদ্দের টিন দেই, দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপন করেন। পরে টিন নয়, আর্থিক সহায়তা চাইলে সেক্ষেত্রেও অভিন্ন আচারণ করেন। এমনকি কোন প্রকার সহায়তা না দিয়ে সাংসদ প্রচার করেন যে তাকে চাহিদা অনুযায়ী ঘরের টিন ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এই খবরে ক্ষুব্ধ নারী গত ২৭ আগস্ট মেহেন্দিগঞ্জে সাংসদের আগমনের খবর পেয়ে ডাকবাংলোয় ছুটে যান। এসময় সাংসদ ডাকবাংলোর সামনের প্রাইভেটকারে অবস্থান করছিলেন, একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য। এক ফাঁকে ভীর ঠেলে ওই নারী সাংসদের কাছে প্রশ্ন তোলেন তার সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে উল্টো কেন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
প্রতিত্তোরে সাংসদ তাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরে দেখা করার পরামর্শ দেন কিছুটা উত্তেজিত ভাষায়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মরিয়ম বেগম। একপর্যায়ে তার গাড়ির ওপর কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। সাংসদ অনুসারী ছাত্র-যুব-সেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ ওই নারীকে টেনে হিচড়ে স্থান ত্যাগে বাধ্য করতে উদ্যোগী হয়।
মরিয়মের অভিযোগ, এসময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, এই মর্মে যে সাংসদের গাড়ির ওপর তিনি না কী জুতো নিক্ষেপ করেছেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থানা পুলিশ কোন ভুমিকা না নিয়ে বরং তাকে স্থান ত্যাগে বাধ্য করেন। মেহেন্দিগঞ্জ থানায় সাংসদ পঙ্কজের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা পাওয়া সম্ভব নয় বিধায় তিনি বরিশালে নালিশ জানাতে এসেছেন। সোমবার দুপুরের দিকে মামলার কপি ওই নারী সংবাদকর্মীদের আলাপের এক ফাঁকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরে খবর রটে যে মেহেন্দিগঞ্জের সাংসদের বিরুদ্ধে এক বিধবা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিকেল থেকে গভীর রাত অবধি সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত হতে চায়। পরে জানা গেল এ ধরনের মামলা হয়নি, তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের হতে পারে। সেক্ষেত্রে এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করলেও আসামি না করে তার অনুসারী ৬ জনের বিরুদ্ধে নাম উল্লেখ করে অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সংবাকর্মীদের কাছে মরিয়ম বেগমের ভাষ্য ছিল, এতে মুখ্য ভুমিকায় ছিলেন পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমু হোসেন
এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় এই নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকবাংলোয় কিছুই ঘটেনি। আবার ঘটলেও তিনি সে বিষয়ে অবগত নন। তবে ওইদিন (২৭ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় আরসি কলেজের সম্মুখে মরিয়ম বেগম সাংসদ পঙ্কজের গাড়ি আগলে ধরেছিলেন একটি ডিওলেটারে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। সাংসদ ব্যস্ত থাকায় পরে আসতে বললে নাছড়বান্দা কোনভাবেই স্থান ত্যাগে রাজি না হওয়ায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে অটোরিকশায় উঠিয়ে দেন।
কিন্তু সাংসদ পঙ্কজ এ তথ্য নাকচ করে দিয়ে বলেন, ডাকবাংলোতো দুরের কথা আরসি কলেজের সামনে কোন নারীর সাথে তার কোনরুপ বসচা হয়নি। অবশ্য ওই সেচ্ছাসেবকলীগ নেতার তথ্যমতে সেখানে উপস্থিত থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন যে তথ্য-উপাত্ত্ব দেন, তাতে প্রমাণ করে ওইদিন কিছু একটা ঘটেছে। তবে তা আরসি কলেজ সম্মুখে নয়, ডাকবাংলোর গেটে এক বিধবা নারী সহায়তা চেয়ে না পেয়ে কিছুটা উত্তেজিত হয়েছিল। পরে তিনি অর্থায়নে অটোরিকশায় তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করেন।
ফলে তিনজনের ত্রিমুখী বক্তব্যের গড়মিল থাকলেও যে যোগফল দেখা যায়, তাতে মরিয়ম বেগমের অভিযোগ অমুলক নয়। মেহেন্দিগঞ্জ আ’লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের অনেকে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবার কেউ শুনেছেন। কিন্তু পরিস্থিতিগত কারণে নিজেদের নাম প্রকাশতো দুরের কথা, প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে অপারগতা জানিয়ে অন্য মাধ্যমে খবর নিশ্চিত হওয়ায় পরামর্শ দেন।
এদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ওই মরিয়ম বেগমের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে বলে এ প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য প্রকাশ করে তারা ঘটনার আরও গভীরে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজ-খবর রাখছিলেন সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কী না। ওই গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, তিনি বরিশালে এসেছিলেন। কিন্তু দুপুর নাগাদ ফিরে গেছেন। তবে মামলা দায়ের করেছে কী না শেষান্তে তা আর জানা সম্ভব হয়নি মরিয়মের সেলফোন বন্ধ থাকায়।
মেহেন্দিগঞ্জের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২৭ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ থেকে ১টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বিস্তৃতি ঘটলেও সবাই যেন সতর্ক, কেউ না শোনে প্রাসঙ্গিক আলাপ। এদিকে পঙ্কজের অনুসারীরা এখন বলছে, ওই বিধবা নারী মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় এ ধরনের বহু কান্ড-কারখানা ঘটিয়েছে। কিন্তু মরিয়নের ভগ্নিপতি স্থানীয় কাজী হিসেবে পরিচিত রুহুল আমিন জানান, তিনি বিকারাগ্রস্ত একথা সঠিক নয়। স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মরিয়ম মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরে এক কণ্যাসন্তান নিয়ে পৌর এলাকার চরহোগলায় জরাজীর্ণ বাসায় বসবাস করছেন।
পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে এরুপ নির্যাতনের অভিযোগ ইতিপূর্বেও উঠেছিল। মরিয়ম বেগমের ন্যায় নিজ দলীয় সমর্থিত একজন নরসুন্দরের সাথে দলীয় বিবাদে তাকে ডাকবাংলোয় পিটিয়ে আহত করে। এর আগে সেই নরসুন্দরকে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যাচেষ্টা ঘটনা নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি।
এছাড়া স্থানীয় ভাবে দলকে কুক্ষিগত করাসহ রাজধানী ঢাকায় ক্যাসিনো কান্ডে সম্পৃক্ততা এবং অল্পদিনে অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। ধারণা করা হচ্ছে- এসব অভিযোগের কারণে পঙ্কজ কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন। এই সাংসদ বিতর্ক অবসানে বরিশাল থেকে মিডিয়াকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় মেহেন্দিগঞ্জে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যে সেদিনকার তার ভাষ্য ছিল, তিনি দলীয় বিভাজনের রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। যেমনটি গতকালও বললেন, মরিয়ম প্রসঙ্গে অভিযোগের উত্তর সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে।

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আন-নাসর, আয়াত : ১-৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾ وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾ فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّكَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾
সরল অনুবাদ
১. যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
২. আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।
৩. তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা আন-নাসর মক্কা বিজয়ের পর নাজিল হয়।
বাহ্যিকভাবে এটি একটি সামরিক ও রাজনৈতিক বিজয়ের ঘোষণা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি বিজয়ের পর মুমিনের করণীয়, ক্ষমতার নৈতিক ব্যবহার এবং অহংকার থেকে আত্মরক্ষার শিক্ষা দেয়।
সুরা আন-নাসরের আলোকে মহান বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত এই বিজয় আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা , তবে কোরআনের দৃষ্টিতে বিজয় কেবল উল্লাসের উপলক্ষ নয়; বরং এটি দায়িত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসারও সময়।
পবিত্র কোরআনের সুরা আন-নাসরে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়।
’ এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয়, সব বিজয়ের পেছনে চূড়ান্ত সহায়তা আসে আল্লাহর পক্ষ থেকেই। মানবিক ত্যাগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি এই উপলব্ধি আমাদের অহংকার থেকে রক্ষা করে এবং কৃতজ্ঞতার পথে পরিচালিত করে।
সুরাটির পরবর্তী আয়াতে বিজয়ের সামাজিক ফল তুলে ধরে বলা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন’ অর্থাৎ জুলুমের অবসান হলে মানুষ ন্যায় ও সত্যের দিকে ফিরে আসে। আর সুরার শেষ আয়াতে বিজয়ের পর করণীয় হিসেবে তাসবিহ, হামদ ও ইস্তিগফারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, বিজয় মানুষকে আরও বিনয়ী, আত্মসমালোচনামুখী ও দায়িত্বশীল করে তুলবে; এটাই কোরআনের শিক্ষা।
মহান বিজয় দিবসে আমাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত; এই আমরা কি এই স্বাধীনতাকে ন্যায়, মানবিকতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে যথাযথভাবে ব্যবহার করছি? শহীদদের আত্মত্যাগ কি আমাদের দৈনন্দিন আচরণ ও রাষ্ট্রচিন্তায় প্রতিফলিত হচ্ছে?
আমরা কি মানুষের জন্য ন্যায়, ইনসাফ, মানবিকতা আর বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে কাজ করতে পারছি?
উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যতক্ষণ হ্যা বাচক না হবে ততক্ষণ আমাদের এই বিজয়ের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। তাই সুরা আন-নাসরের আলোকে বলা যায়, প্রকৃত বিজয় সেই বিজয়; যা মানুষকে অহংকারে নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও আত্মশুদ্ধির পথে আরো দৃঢ়ভাবে দাঁড় করায়।
সুরা আন-নাসার আমাদের আহবান করে বলছে যে, ১৬ ডিসেম্বর শুধু উৎসবের দিন নয়; এটি জাতির আত্মপর্যালোচনার দিনও বটে।
কাজেই আসুন আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে কবুল করেন। সকলের মধ্যে শান্তি আর বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের মানসিকতা সৃষ্টি করে দেন। আমীন।

১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৫৫
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।
হাতকড়ায় বাঁধা দুই হাত। এ অবস্থায় পুকুরে সাঁতার কাটাই কষ্টের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ৪৯ বছর বয়সি বাসিন্দা মাইকেল মোরো অবিশ্বাস্য এক কাজ করেছেন। হাতকড়া নিয়ে প্রায় ২৯ মাইল সাঁতরেছেন তিনি। কোনো পুকুর নয়, গভীর আর প্রশস্ত নদীতে এ কাজটি করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যানহাটানের দক্ষিণাংশ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোরো পুরো দ্বীপটি চক্কর দিয়েছেন। দুই হাতে হাতকড়া পরে ইস্ট রিভার, হার্লেম আর হাডসন পেরিয়ে ২৮ দশমিক ৫ মাইলের সাঁতার শেষ করেন তিনি। এজন্য তাঁর সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সাঁতার চলাকালে মাঝেমধ্যে পানীয় পান করেছেন মোরো।
এই কীর্তির মাধ্যমে মাইকেল মোরো দুটি রেকর্ড করেছেন। স্থান করে নিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। একটি হলোÑ হাতকড়া পরে নদীতে দীর্ঘতম সাঁতার এবং প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হাতকড়ায় ম্যানহাটানের চারপাশ ঘোরা।
মোরোর এই সাঁতার ছিল একই সঙ্গে দুঃসাহসিক ও বিপজ্জনক। মোরো যখন সাঁতার কাটছিলেন, তখন প্রয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য তার আশপাশে জরুরি সহায়তাকারী একটি দল ছিল। কিন্তু মোরো ছিলেন অন্য জাতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে সাঁতার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। মোরো বলেন, ফ্রি স্টাইল সাঁতারের কিংবদন্তি ডায়ানা নিয়াড এবং রস এডজলির কীর্তি কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার চোখে পড়ে। তখন তিনি নতুন করে সাঁতার শুরুর তাড়না অনুভব করেন।
২০২২ সালে মিসরের শেহাব আল্লাম হাতকড়া পরে ১১ দশমিক ৬ কিলোমিটার সাঁতার কেটেছিলেন। এতদিন পর্যন্ত হাতকড়া পরে সাঁতারের এটাই ছিল সর্বোচ্চ রেকর্ড। মোরো এ রেকর্ড ভাঙলেন।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.