https://joinnavy.navy.mil.bd/

বিশেষ সংবাদ

৮ মাসের ক্ষমতায়, টেন্ডারবাজি, দখল বাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নয়ছয় প্রকল্পের ফাইল!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ মে, ২০২৫ ১৭:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

৮ মাসের ক্ষমতায়, টেন্ডারবাজি, দখল বাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নয়ছয় প্রকল্পের ফাইল!

  • ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ অগ্রিম টাকা নিতেন খোকন সেরনিয়াবাত

  • প্লানেট পার্কের চুক্তি নবায়নকালে উৎকোচ নিয়েছেন ৪০ লাখ টাকা

  • আত্মগোপনে থেকে মেয়রের স্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়

বরিশাল মহানগরীর রাজনীতিতে অচেনা মুখ ছিল আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। কিন্তু ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে খোকনকে প্রার্থী করে চমক দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তার মেয়রের মনোনয়ন পাওয়াটা যেমন চমক ছিল, তেমনি মাত্র আট মাসের ক্ষমতায় থেকে দখল, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করে বরিশালবাসীকে চমকে দিয়েছেন। এ সময়েই তিনি নানা বিতর্ক এবং অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। আধিপত্য বিস্তারে বরিশালের একনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র হওয়ার পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নেন। বিভিন্ন স্থাপনা, বাস টার্মিনাল, বালুমহাল, ব্যবসায়িক স্থান ইত্যাদি দখল করেন। বরিশালের বিভিন্ন হাটবাজারের ইজারা বাতিল করার পর সেগুলো তার দলের লোকজনের কাছে তুলে দেওয়া হয় এবং এর মাধ্যমে নিয়মিত উৎকোচ আদায় হতো। এ ছাড়া ছয়তলা বা তার বেশি উচ্চতার ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের সময়ও উৎকোচ গ্রহণের ব্যাপারে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ঠিকাদাররা অভিযোগ করলে খোকন সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি ওঠে তার দলেই।

বরিশাল সিটি করপোরেশন চলতি বছরের মার্চ মাসে নগরীর সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের জন্য ২৬৭ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করে। এই টেন্ডারে বরিশালের বিতর্কিত ঠিকাদার মাহফুজ খানের নামও উঠে আসে। একাধিক ঠিকাদার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, এসব প্রকল্পের কাজ ঠিকাদারদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়া হতো এবং এসব কাজের জন্য শতকরা ১০ শতাংশ অগ্রিম টাকা দাবি করা হতো। প্রায় সব ঠিকাদারি কাজে খোকন সেরনিয়াবাতের লোকজন নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ টাকা নিতেন, যা পৌঁছাত খোকনের হাতে।

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও খোকন তার লোকজন বসান। যেখানে আগে ছিলেন বাসমালিক গ্রুপের সভাপতি আফতাব হোসেন। খোকন তাকে সরিয়ে ছাত্রলীগ নেতা অসীম দেওয়ানকে সেখানে বসিয়ে দেন। স্থানীয় বাজারগুলো থেকে আয় প্রতিদিন তার বাসায় পৌঁছাত।

এ ছাড়া খোকন সেরনিয়াবাতের লোকজন বরিশাল লঞ্চঘাটসহ অন্যান্য নদীবন্দরের ঘাট দখল করে নেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা জানান, একসময় ঘাটের রাজস্ব আদায় বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। একইভাবে, বরিশালের দুটি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মাসে ২৫-৩০ লাখ টাকা আদায় করা হতো, যা খোকনকে দিতে হতো। নতুন দূরপাল্লার পরিবহনের আগমনের পরও ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা তার হাতে পৌঁছাত।

এ ছাড়া বরিশাল প্ল্যানেট পার্কের চুক্তি নবায়নকালে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পার্কের পরিচালনা পরিষদের এক সদস্য জানান, চুক্তির নবায়ন এবং সিটি করপোরেশনের ফি ছাড়াও আলাদা ৪০ লাখ টাকা খোকন সেরনিয়াবাতকে দিতে হয়েছিল।

নগর ভবনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, খোকন সেরনিয়াবাত দায়িত্ব নেওয়ার পর বরিশাল নগরীর কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদন করেননি। কয়েক মাস পর কিছু প্ল্যান অনুমোদন হলেও ছয়তলা বা তার চেয়ে উচ্চভবনের অনুমোদন ক্ষমতা নিজ হাতে রেখে দেন। ছয়তলার নিচের ভবনের অনুমোদনের জন্য উৎকোচ দাবি করা হতো। নির্বাচনের সময় খোকন বিভিন্ন কর বাতিলের কথা বললেও, দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা খাতে কর বাড়িয়ে দেন। এর ফলে নগরবাসীকে বাড়তি করের বোঝা মাথায় চাপতে হয়। এমনকি ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ২ কোটি টাকার কভিড প্রকল্প চেক স্বাক্ষর করেন, যার বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা পার্সেন্টেজ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

পালিয়ে থেকেও বিতর্কে : ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর খোকন সেরনিয়াবাত বরিশাল ছেড়ে পালিয়ে যান, এরপর তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এদিকে, বরিশাল আওয়ামী লীগ নেতারা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, খোকন সেরনিয়াবাত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়া সরাসরি মেয়র হয়ে ওঠেন, যা বরিশালবাসীর জন্য এক দুঃখজনক ঘটনা। বরিশালবাসী এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদরা খোকন সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য পদক্ষেপ এবং সরকারিপক্ষ থেকে এসব বিষয়ে আরও খতিয়ে দেখার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে এসব বিষয়ে মন্তব্যের জন্য খোকন সেরনিয়াবাতের মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আত্মগোপনে থেকে মেয়রের স্ত্রীর ফেসবুক পোস্টে তোলপাড় : ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের স্ত্রী লুনা আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বরিশালে তোলপাড় চলছে। গত ২৮ অক্টোবর বরিশাল বিএম কলেজ এবং নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের দুটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মন্তব্য করেছেন, লুনা নিজের এই পোস্টের মাধ্যমে নিরীহ ছাত্রলীগ নেতাদের বিপদে ফেলেছেন।

 

মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘২০২২ সালে কমিটি অনুমোদনের সময় খোকন অনুসারীরা সাদিক অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু আজ সেসব কমিটির সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করে বিপদের মুখে ফেলেছেন তারা।’

এদিকে, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেছেন, ‘খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আকাশে ভাসা একজন ব্যক্তি ছিলেন। যিনি শুধু পরিবারের পরিচয়ে মেয়র হয়েছেন। তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকায় এখন তার ভুলগুলো স্পষ্ট হচ্ছে।’

লুনা আব্দুল্লাহর মন্তব্য এবং পদক্ষেপের ব্যাপারে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক। তারা যদি দলের স্বার্থ বুঝতেন, তবে এমন কিছু করতেন না।’

আরও পড়ুন:

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারের সমর্থক এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাতের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলার সাঘাটা উপজেলায় সংঘর্ষ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ জারি করেন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল। 

আদেশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

জানা গেছে, এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে শিল্পপতি ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। সে কারণে এই মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা-৫ আসনে বিএনপির নেতা কর্মীরদের মধ্যেও কোন্দল মনোমালিন্য শুরু হয়। 

রোববার দুপুর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাত এলাকায় এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। তিনি তার লোকজনকে সংগঠিত করে নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। 

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলম সরকারও আজ নির্বাচনী মহড়া দিতে প্রস্তুতি নেন। ফলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও দুই পক্ষেই অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা জুড়ে। বহিষ্কৃত নেতা নিশাত আজ শত শত নারী-পুরুষ নিয়ে ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটা উপজেলা হয়ে বোনারপাড়ার দিকে রওনা দেন। 

এ সময় নিশাতের মোটরসাইকেল বহরের সাঘাটা উপজেলার হাপানিয়ার মোড় নামক এলাকায় এলে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর এবং কয়েক জনকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

‎‎‎‎‎সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’

দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।

তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভারতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর  এনডিটিভির।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।

পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.