Bkash

ঝালকাঠি

ঝালকাঠির সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী গুলশান থেকে গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠির সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী গুলশান থেকে গ্রেপ্তার

রাজধানীর নিকেতন সোসাইটি (গুলশান-১) এলাকা থেকে ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৩ আগস্ট) ডিএমপি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, লিয়াকত আলীকে বিএনপির পল্টন অফিসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঝালকাঠি সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলারও আসামি তিনি।

ওই রাতেই ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন ফরাজীকেও রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৯টা পর্যন্ত আমরা লিয়াকত আলী গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে কোনো কাগজপত্র পাইনি। তবে বিস্ফোরক আইনের মামলায় তিনি আমাদের থানায় আসামি।

ডিএমপি বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। তাদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানের আরও ২১ জন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন।

তবে ঝালকাঠিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত আরও অনেকেই এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছেন।

সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপু লস্কর, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম জাকির, সাবেক কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান সুরুজ ও যুবলীগ নেতা কামাল শরীফসহ অনেকেই এখনো পলাতক।

অভিযোগ রয়েছে, এদের অনেকেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করছেন। স্থানীয় এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ একাধিক দপ্তরের কোটি টাকার প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টেন্ডার সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন তারা। এমনকি বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এসব পলাতক আসামিদের পক্ষে বিল পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জুলাই আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা প্রধান সমন্বয়ক মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, যারা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। প্রশাসন এখনও নিষ্ক্রিয় কেন, তা বোধগম্য নয়। সব অপরাধীর বিচার চাই।

আরও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে জাল নোট মামলায় দুজনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ঝালকাঠিতে জাল নোট মামলায় দুজনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

ঝালকাঠিতে জাল নোট রাখার দায়ে দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে অপর আসামি জসিম খলিফা পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডিতরা হলেন ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নুপুর বেগম (৩৫) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউড়ি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে জসিম খলিফা (৩৬)। মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী (এডিশনাল পিপি) মো. আককাস সিকদার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজবাড়ি সড়কে বিএডিসি অফিসের সামনে থেকে ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবর্ণচন্দ্র দে আসামিদের আটক করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নোটগুলোর মধ্যে ছিল— ১৯৬টি এক হাজার টাকার, ২০০টি পাঁচশ টাকার এবং ৫টি দুইশ টাকার নোট।

সেদিন রাতেই এসআই সুবর্ণচন্দ্র দে বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৮ জুন তদন্ত শেষে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন রায়ের বিষয়ে বলেন, জাল নোটের মতো গুরুতর অপরাধ সমাজ ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই মামলায় আদালত যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন, তা অন্যদের জন্যও সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বনি আমিন বাকলাই।

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না অসুস্থ দিনমজুর নাছিরের

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

আরিফ হোসেন, ঝালকাঠি

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না অসুস্থ দিনমজুর নাছিরের

এক সময় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো নাছির খান। আর তার আয়ে চলতো ৫ সদস্যের সংসার। দীর্ঘ ১ বছর ধরে অসুস্থ থাকার কারণে তার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে।

অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন নাছির খান ও তার পরিবার।

অসুস্থ নাছির খানের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন গ্রামে।তিনি ওই এলাকার মৃত জবেদ আলী খানের ছেলে। তার ছোট ছোট তিনটা সন্তান রয়েছে।

নাছির খানের স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা সবাই শেষ হয়ে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়িতে এসেছেন । কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে নাছির খান বলেন, আমার টাকা পয়সা নেই যে আর চিকিৎসা চালাবো। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।

আমার পরিবারকে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে  খুব উপকার হবে। নলছিটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান পলাশ বলেন, আমাদের কাছে আবেদন করলে সামান্য কিছু সরকারি অনুদান দেওয়া যেতে পারে।

গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে সিএনজি চালককে হয়রানি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:২০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে সিএনজি চালককে হয়রানি

ঝালকাঠির নলছিটিতে গরু চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে এক সিএনজি চালককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলা 

প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর দোয়ারীর  মেয়ে জান্নাতি আক্তার এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে জান্নাতি আক্তার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঢাপর এলাকার ফিরোজ হাওলাদার ওরফে ফিরোজ ড্রাইভারের চারটি গরু চুরি হয়। প্রতিদিনের মতো গাড়ি চালিয়ে ওইদিন রাতেও আমার বাবা বাড়িতে ফিরেন। রাতের খাবার খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হন। তখন একজন মানুষের মতো দেখতে পান পরে আমার মাকে লাইট নিয়ে আসতে বলে পরে আর কাউকে দেখতে পাননি। পরেরদিন সকালে শুনতে পান পাশের বাসায় ফিরোজ হাওলাদারের চারটি গরু চুরি হয়ে গেছে। তখন গিয়ে এসব খুলে বললে তাদের সন্দেহ হন আমার বাবা গরু চুরির সাথে জড়িত । পরে তারা থানায় মামলা করলে পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য তার আয়ের আমাদের সংসার চলে। এখন আয় বন্ধ থাকায় আমাদের না খেয়ে দিন কাটছে। সঠিক তদন্ত করে আমার বাবাকে মুক্তি দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে ফিরোজ হাওলাদার বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এরজন্য তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গরু চুরির একটি মামলা তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।'

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.