৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ছদ্মবেশি বাছেত ঘুরছে সৌদিতে, বাবা ছেলে হুমকি দিচ্ছে মঠবাড়িয়ায়!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সৌদিতে একটি বড় ধরনের প্রতারণা করে দেশে ফিরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আবুল আবদুলের বিরুদ্ধে। ছোট ভাই বাছেত সিদ্দিক ও তার সেই প্রতারণার বিষয়টি মিডিয়ায় আসলে একই এলাকার অর্থাৎ মঠবাড়িয়া বড়শৌলা গ্রামের প্রবাসী শ্রমিক পরিবারদের হুমকির ওপর রাখছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে অগ্রসর হলে সৌদিতে বসবাসরত শাহিন মিয়া নামে প্রতিবেশি প্রবাসীর পরিবারকে গুম-খুনের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

এই বিষয়টি সংশিষ্ট মঠবাড়িয়া থানা পুলিশকে অবগত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে সৌদিতে প্রতারণার অনুঘটক এই বাবুলের ভাই বাছেত সিদ্দিক অবস্থান নিয়ে রয়েছেন। কিন্তু তার লাগাম টানতে পারছে না প্রবাসী পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে- বাছেত বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সৌদিতে ছদ্মবেশি রুপ নিয়েছেন। সেখানে তিনি অভিরাম নামে ভারতের নাগরিক হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন। খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- সৌদির রিয়াদে ‘রাবিকা’ নামে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কন্ট্রাকটিং ম্যানেজার ছিলেন বড়শৌলা গ্রামের সিদ্দিক মেম্বরের ছেলে বাবুল আব্দুল।

সাম্প্রতিকালে তিনি দেশে ফেরার আগে ছোট ভাই বাছেত সিদ্দিককে সৌদিতে নিয়ে ওই কোম্পানির দায়িত্ব দেন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেখানে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের ২ মাসের বেতন পরিশোধ না করে লাপাত্তা হয়েছেন। প্রবাসী শ্রমিকরা দুই মাসের ১ লাখ ৩০ হাজার রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় ২৬ লাখ টাকা) হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বাছেতের বড় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সাড়া দেননি। বরং তিনি বাংলাদেশে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সৌদিতে বড় ধরনের মানববন্ধনসহ আরও কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে বাবুল নিজ গ্রামে তোপের মুখে পড়েন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে প্রবাসী শ্রমিক পরিবারদের মুখ বন্ধ রাখতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বাবা সিদ্দিক মেম্বরের বিরুদ্ধে। নিশ্চিত হওয়া গেছে- বাবুল ও তার ভাই পালিয়ে যাওয়ার পরে তাদের প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন সৌদিতে একই ধরনের একটি কোম্পানির প্রবাসী শাহিন মিয়া। কারণ দুই ভাই পালিয়ে যাওয়ার পরে তাকেই এই ঘটনায় দোষারোপ করা হচ্ছে।

তবে তিনি যে ওই ঘটনায় জড়িত নন সেই বিষয়টিও ইতিমধ্যে পরিস্কার হয়েছে। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই সংবাদ প্রকাশের পরে এখন প্রবাসীদের থামাতে মঠবাড়িয়ায় বসবাসরত পরিবারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি প্রবাসীদের পরিবারের পক্ষ থেকে মঠবাড়িয়া পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ দেখি দেখছি বলে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

তবে মঠবাড়িয়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ার বলছেন- বিষয়টি পত্রিকায় পেয়েছেন। কিন্তু কেই কোন অভিযোগ করেনি। তার পরেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন