বরিশালের উজিরপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারিসহ বিএনপি-জামায়াতের ৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আব্দুল খালেক বেপারি (৫০), শিকারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. কামরুজ্জামান পিকিং (৪০), বামরাইল ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি মো. আলম মৃধা (৫৫) ও ওটরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ (৪৫)।
উজিরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে বিএনপির দুই নেতার ওপর হামলা চালিয়েছিল ওই ইউনিয়ন যুব-শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। এতে উল্টো হামলায় আহত দুই বিএনপি নেতাসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ওই দিনই থানায় মামলা দায়ের করেন স্থানীয় আ’লীগ নেতা কবির হোসেন বালী। সেই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শিকারপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান পিকিং’কে বুধবার গভীর রাতে তার বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
একইভাবে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতে উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের দাসেরহাট বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ইউনিয়ন আ’লীগের একটি শাখা কার্যালয়সহ পাঁচটি দোকানঘর ভস্মীভূত হয়েছে। সে ঘটনায় ওই দিনই উপজেলা আ’লীগের সদস্য আতাহার আলী খান বাদী হয়ে জামায়াত-বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলার সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলা জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারিসহ অপর দুই বিএনপি নেতাকেও পুলিশ একইভাবে বুধবার গভীর রাতে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
এ সকল নেতাকর্মীদের পরিবারের দাবি আটকদের নামে কোনো মামলা নেই। এছাড়া তারা কোনো নাশকতা কর্মকা-ের সঙ্গেও যুক্ত ছিল না।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন, গত বছর থানায় দায়ের করা দুইটি নিয়মিত মামলার সাথে সন্দেহভাজন থাকায় ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট কি না জানা নেই।
উল্লেখ্য যে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়। আর এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই রাজধানী ছাড়িয়ে এবার উপজেলা পর্যায়েও জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর পুলিশি প্রভাব পড়েছে।
যে কারণে হঠাৎ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে শুধু বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে বলে দাবি একাধিক বিএনপি নেতার।’’
শিরোনামOther