ঝালকাঠিতে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে ৩বছর দৈহিক চাহিদা মিটানো এক তরুণীকে ফেলে পালানোর পর বাবা-মা অন্যত্র বিয়ে দিলে পুনরায় সাবেক পুলিশ সদস্য সন্ত্রাসী প্রেমিক সজীব তালুকদারের নানামুখী তান্ডবে স্বামী-সংসার সর্বস্বহারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার কালিয়ান্দার গ্রামের আব্দুল মালেক তালুকদারের গুনধর পুত্র ও সাবেক পুলিশ সদস্য প্রেমিক সজীব তালুকদার বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দৈহিক লালসা মিটানোর পর এখনও তাদের ক্রমাগত খুন-গুমের হুমকির কারণে তাদের প্রতিবেশী এ তরুণীর জীবনে অমানিশার অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে।
ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে নি:স্ব এ তরুণী আগামী (২০১৮ সালে) এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা থাকলেও লম্পট প্রেমিক সজিব ও তার পরিবারের হুমকির কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ বিষয় স্বামী-সংসার হারা ও যৌন নির্যাতন শিকার তরুণী জানান, দীর্ঘ তিন বছর আগে সজীবের পাশের বাড়ির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী থাকাকালে আমার ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে তোলে।
আমার পরিবারের দারিদ্রতার সুযোগে সজীব তালুকদার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে জোরপূর্বক দৈহিক মেলা মেশা করে। এভাবে প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলে এক বছর পূর্বে সজীব পুলিশ কনষ্টেবল হিসেবে চাকুরী পেয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আমার বাবা মানপাশা গ্রামের একটি নিরীহ-ভদ্র পরিবারের ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দেয়। সে আরও জানায়, এ খবর পেয়ে সজীব আমাকে ও আমার স্বামীকে নানাভাবে হুমকি-ধূমকি ও তালাক দেয়া আল্ট্রিমেটামসহ আমার স্বামীকে মামলায় ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এসব হুমকির তোয়াক্কা না করলে সে পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের দুজনের তোলা একত্রিত ছবি আমার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ায় শ্বশুর বাড়িতে লোকেরা ও আমার স্বামী লম্পট সজীবের ভয়ে আমাকে তালাক দেয়।
গত ১৩ জানুয়ারী দিবাগত রাতে ১২টার দিকে সজীব আমার সাথে দেখা করতে আমাদের বাড়িতে ঢুকলে আমার বড় ভাই টের পেয়ে চোর চোর বলে ধাওয়া কারার একপর্যায় তাকে ধরে ফেললে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সজীবের পকেট থেকে তার মানিব্যাগ ফেলে যায়। ওই প্রমাণ আড়াল করার জন্য গত ১৪ জানুয়ারি সকালে সজীব তার কিছু বখাটে বন্ধুদের পাঠিয়ে আমার বাবা, মা ও ভাইয়ের ওপর হামলা করে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কোন রকম মামলা করলে তোরা কেউ এলাকায় থাকতে পারবি না বলে হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।
স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সজীবের বাবা আব্দুল মালেক ছেলের বদনাম গোছাতে ও মামলার হাত থেকে বাচতে উল্টো ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার দাবি তুলে একটি মিথ্যা মামলা করে। এনিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এলাকার একটি বাড়িতে ৩ নম্বর নবগ্রাম ইউপি সদস্য চুননু সিকদার, স্থানীয় বারেক হাওলাদার, হাসেম আলী, বাবুল ফকির ও তৌহিদ মলি¬ক মিথ্যা ৫০ হাজার টাকা দাবির বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়।
বর্তমানে সজীব ও তাদের পরিবাবরের ভয়ে অসহায় পিতা তার মেয়েকে এইসএসসি পরীক্ষা না দিতে দিয়ে জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয় জানতে সজীবের পরিবারের কাছে খোঁজ নিতে গেলে থেকে মিমাংশা করে নিবে বলে জানায়। আর মেয়ের সম্মানের জন্য অনুরোধ জানায়। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ বিষয় সাবেক পুলিশ সদস্য সজীবের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন নম্বরে (০১৭১৫৯৭৮৩৪২) যোগাযোগ করতে গেলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।”
Other