বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ অপরাহ্ণ, ১৩ জুন ২০১৮
হে মরিয়ম হে বগুড়ার রাণী
তোমার ভালবাসা পেলে কিঙ্কর হয়ে থাকতাম
সারাদিন তোমার পিছে পিছে ছুটতাম,
তোমার হেমাঙ্গের পরিচর্যা করার দায়িত্ব আমি নিতাম
তোমার পাদপদ্মের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে
কেশের অগ্রভাগ পর্যন্ত পরিচর্যা করতাম
ভালবাসা মেখে তোমায় সুস্থ রাখতাম।
কিন্তু পারলাম না তোমার কিঙ্কর হতে
আমি পারলাম না তোমার হেমাঙ্গের পরিচর্যা করতে
আমি পারলাম না তোমার হেমাঙ্গে
ভালবাসা মাখতে।
হে মরিয়ম হে বগুড়ার রাণী
আমি পারলাম না তোমার কিঙ্কিণির তান শুনতে,
আমি পারলাম না তোমার মনে
ভালবাসার বীজ বুনতে।
আমি পারলাম না আমি পারলাম না
আমি কিছুই করতে পারলাম না!
হে মরিয়ম হে বগুড়ার রাণী
তুমি কি জানো কত কষ্টে আমি রাত কাটাই,
তুমি কি জানো
তোমায় না দেখলে কতটা আমার বুক জ্বলে?
তুমি কি জানো
তোমায় ছাড়া কোন কিছু ভাল লাগে না
মনে হয় আমার সব কিছু যাচ্ছে বিফলে?
তুমি তো কিছুই জানো না
তুমি শুধু জানো কথা বলতে ভয় হয়
তুমি তো শুধু জানো বাবা-মা আমায় পিস পিস করে কাটবে
তুমি তো শুধু জানো ছেলেরা বিশ্বাসী নয়?
হে মরিয়ম হে বগুড়ার রাণী
আমি তোমায় আর জোর করব না,
তুমি সব বোঝ তুমি সোমত্তবান
তোমাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে চাইনি
তোমায় শুধু আমার ভালবাসার নিয়ন্ত্রণে চেয়েছিলাম
তোমাকে আজীবনের মত করে নিজের করে নিতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু আমি পারলাম না
তোমার অবহেলার তীরে আমি পর্যুদস্ত হয়েছি
নিজের লাজ- শরম ক্ষুয়েছি।
হে মরিয়ম হে বগুড়ার রাণী
তুমি সতত ভাবো আমি আবেগী
জানি না আবেগ কি
আমি জানি না তোমার কাছে সত্যি আমি পাগল কি?
আমি জানি না আমি কিছুই জানি না
তবে এই বারবেলায় বলে গেলাম
একদিন এই পাগল কে অবশ্যই মনে করবে
ভাল থেক বগুড়ার রাণী
তোমার বক্ষে আর শিকড় বসাতে চাই না
তোমার সফেদ কালিন্দ নদীর আর পানি খেতে চাই না
আমি ভেসে আশা কচুরিপানা ভেসেই চলে গেলাম……..