পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এমপি ডা. রুস্ত আলী ফরাজির কর্মীসভায় হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন এমপির সমর্থক জাকির হোসেন (৩৫)। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঠবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভা সফল করার লক্ষে মঙ্গলবার (২০ ফেব্র“য়ারি) দুপুরে সাপলেজা ইউনিয়নের নলী তুলাতলা গ্রামের চৌরাস্তা মোড়ে এমপি রুস্তম আলী ফরাজির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় পার্টির (এ) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রুস্তম আলী ফরাজী অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়ায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদসহ মন্ত্রী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ নেতৃবৃন্দের আগমন সফল করতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নলী তুলাতলায় কর্মীসভায় নেতাকর্মীরা যোগ দেয়।
আমি সভাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মিরাজ মিয়ার নির্দেশে জাহিদুল, পলাশ, সুমন, রাসেল ও আল-আমীনের নেতৃত্বে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আমার সমর্থক জাকিরকে মারধর করে এবং সভার চেয়ার ভাঙচুর করে সভা পন্ডের চেষ্টা চালানো হয়।
এদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ঠিকাদার জসিম উদ্দিন ও জাকির হোসেনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে সভাস্থলে দুই গ্রুপ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য স্থানীয় এমপি আমাকে ও আমার সমর্থকদের এ ঘটনায় জড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শিরোনামOther