নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ফুর্তি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বুড়িগঙ্গায় ডুবে না ফেরার দেশে চলে গেল রাকিবুল ইসলাম শান্ত (১৮)। পরে বুড়িগঙ্গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ফতুল্লার পাগলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
শান্ত পাগলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার শফিকুল ইসলাম রতনের ছেলে শান্ত পরিবারের সাথে ওই জেলার পাগলা নয়ামাটি এলাকার মিলন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতো।
শান্তর মা আসমা বেগমের দাবি- পরিকল্পিতভাবে নদীতে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে শান্তকে হত্যা করেছে তার বন্ধুরা। পরে নৌপুলিশ শান্তর মায়ের অভিযোগে নিহতের চার বন্ধুকে আটক করেছে।
আটকরা হলো- পাগলা নয়ামাটি এলাকার আবুল বাশারের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবেল, একই এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী সজিব, আমির হোসেনের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান শুভ ও একই এলাকার মোখলেছের ছেলে ওয়ার্কসপ শ্রমিক রাব্বি।
পাগলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফরহাদ আলম জানান, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শান্ত তার চার বন্ধুর সঙ্গে বুড়িগঙ্গার অন্য পারে কেরানীগঞ্জের পানগাও এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখানে ফুর্তি শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারে বাড়ি ফেরার পথে বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে ডুবে যায়।
পরে খবর পেয়ে পাগলা কোস্ট স্টেশনের সদস্যরা এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুড়িগঙ্গা থেকে শান্তর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তবে নিহতের মায়ের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
শিরোনামOther